Friday, January 29, 2016

12>পুরীর শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির নানা অলৌকিক রহস্যে



12>आ =Post=12>***পুরীর শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির***( 1 to 10 )

পুরীর উল্টোরথকে বলাহয় বাহুড়া যাত্রা।
জগন্নাথদেব রথে পদার্থণের অনুষ্ঠান কে
বলাহয় পাহান্ডি ।



1---------------পুরীর শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির নানা অলৌকিক রহস্যে
2---------------পুরীর শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির নানাঅলৌকিক রহস্যে ভরা . এখানে তা                                   তুলেধরছিঃ
3----------------১. পুরাণ মতে, ৫১টি সতীপীঠ এর মধ্যে একটি সতীপীঠ জগন্নাথ মন্দিরে 

                         আছে যার নাম বিমলা দেবী ।
4----------------১. জগ্ননাথের রথের নাম নন্দিঘোষ ।
5----------------১. প্রতিদিন অর্জুন জগন্নাথদেবের সাথে দেখা করতে আসতেন ।
6----------------আরও নানা বিচীত্র খবর -----
7----------------ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী মাহেশের রথযাত্রা...।
8-----------------দোল-দুর্গোৎসবের মত কলকাতার বনেদি বাড়িতে রথ নিয়েও নানা আচার-                           অনুষ্ঠান হয় ।
9>---------------জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা
10>|| দেহ রথ + শরীর রুপি রথ ||

************************************************

1>>পুরীর শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির নানা অলৌকিক রহস্যে


পুরীর শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির নানা অলৌকিক রহস্যে
জগন্নাথ পুরী মন্দিরের রান্নাঘরকে বলা হয় পৃথিবীর অদ্ভুত ও বড় রান্নাঘর । কেন এই রান্নাঘর অদ্ভুত তা
আপনাদের কাছে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরছি ।
পুরীতে আমরা কম বেশী সবাই যাই তাই তার রান্নাঘরের লীলা আমরা কম বেশি সবাই জানি । এখানে আরও
বিশদে আলোচনা করা হলো।
-----------------------------------------------------------------------------------
১. এই রান্নাঘরে বিবিধ দ্রব্য রান্না করার জন্য কোন বিদ্যুৎ বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না । উন্মুক্ত কাঠের আগুনের উপর
অনেকগুলো তেলের ল্যাম্প বা বাতি ঝুলিয়ে রাখা হয় আর তার নিচেই সেবকরা এসেই রান্না কার্য সম্পন্ন করে ।
.২. এ রান্নাঘরে এত দ্রুত রান্না করা হয় যে শুধুমাত্র একদিনের প্রস্তুতিতে একসাথে প্রায় দশ হাজার লোক বসে প্রসাদ পায় । আর এমনিতে পাঁচ হাজারের উপর দর্শনার্থী প্রসাদ পেয়ে থাকে ।
.৩. এই রান্নাঘরটি ৯টি ভাগে বিভক্ত । যাদের দুটি ভাগ ২৫০০ বর্গফুট করে এবং বাকি ৭টি ভাগ এ দুটির চেয়ে একটু ছোট হবে । এ রান্নাঘরে রয়েছে ৭৫২টি মাটির তৈরি চুলা যার প্রত্যেকটি দৈর্ঘ্যে তিন বর্গফুট করে এবং উচ্চতায় প্রায় ৪ ফুটেরও বেশি ।
.৪. চুলাগুলোতে একটির উপর একটি পাত্র বসানো হয় এভাবে প্রায় নয়টি পাত্র থাকে । শুধুমাত্র এ পাত্রগুলোর নিচে অবস্থিত আগুনের মাধ্যমেই উপরের পাত্র থেকে শুরু করে শেষে নিচের পাত্রটির রান্না অদ্ভুদ ভাবে সম্পন্ন হয় ।
এই রান্নাঘরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত রয়েছে এক হাজার সেবক । তার মধ্যে ৫০০ সেবক রয়েছে কেবলমাত্রচুলাতে রান্না করার জন্য সহায়ককারী হিসেবে ।
.৫. এখানে কোন পুরাতন পাত্রে রান্না করা হয় না, প্রতিদিন নতুন নতুন পাত্রে রান্না করা হয়, তাই একদল খালি মাটি দিয়ে পাত্র বানায়, আরেক দল তা সরবরাহ করে রান্নাঘরে নিয়ে যায় । আরেকদল পাত্রগুলো ধৌত করে, আরেকদল পাত্রে জলভর্তি করে চুলাতে নিয়ে যায় |
.৬. রান্না করার জন্য এখানে গঙ্গা আর সরস্বতী নদী (এটা একটা রূপক, পাথর বাঁধানো জলের দুটি নালী, যা সারা দিন নদীর ন্যায় ক্রমাগত জল পরিবহন করে) রান্নাঘরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে যা বাহির থেকে দেখা যায় না যা সত্যিই অদ্ভুত !!!!
৭. কেউ কেউ সব্জি ধৌত করছে আর কেউ কেউ সব্জি কাটছে আর কেউ মসলা তৈরি করছে । রান্নাঘরে যে সেবকরা থাকে তাদের বয়স যখন ১২ বছর হয় তখন থেকে তারা ট্রেনিং এ নেমে পড়ে এভাবে তারা বংশানুক্রমে প্রাপ্ত নির্দিষ্ট সেবা সারাজীবন ধরে অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করে থাকে ।
.৮. এই রান্নাঘরে ১০০টির উপর আইটেম রান্না করা হয় যা দুটি ভাগে বিভক্ত । এ দুটি ভাগকে পাক্কা এবং সুক্কা নামে ডাকা হয় । পাক্কা বলা হয় সে খাবারগুলো যেগুলো সিদ্ধ করা যেমন ডাল, চাল, খিচুরী এবং সমস্ত রকমের সবজি ।
অপরদিকে সুক্কা বলা হয় বিস্কিট, মিষ্টান্ন আর বিভিন্ন ধরনের পিঠা ।
.৯. জগন্নাথের জন্য যেসমস্ত ফল ও সবজি ব্যবহার করা হয় সেগুলো দু হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ।
শুধুমাত্র স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজি ও ফলই জগন্নাথের জন্য ব্যবহৃত হয় । অন্য কোন অঞ্চল থেকে উৎপাদিত দ্রব্য জগন্নাথের জন্য ব্যবহার করা হয় না ।
.জগন্নাথ দেব আর লক্ষ্মী দেবীর কৃপায় ধন্য এই রান্না ঘর । তাইতো পুরীর এ রান্নাঘরকে অদ্ভুত রান্নাঘর বলেই অভিহিত করা হয় ।
===================================
2>পুরীর শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির নানাঅলৌকিক রহস্যে ভরা . এখানে তা তুলেধরছিঃ
(1) এই মন্দিরের কোনো ছায়াপরে না।
(2) মন্দিরের চূড়ার পতাকাবায়ুর উল্টো দিকে ওড়ে।
(3) মন্দিরের উপর আজপযন্ত কোনো পাখি বসতেদেখা যায়নি।
(4) মন্দিরের ওপর দিয়ে কোনোবিমান,পাখি উড়ে যেতে পারে না।
(5) মন্দিরের সিংহ দ্বারেসমূদ্রের ঢেউয়ের শব্দ শোনা যায়।
(6) মহাপ্রসাদ রান্না হয় পরপরসাতটি মাটির পাত্রে একসাথে(একটির উপরেআরেকটি বসানো হয়) কিন্তুরান্না হয় উপরেরহাঁড়িতে সবার প্রথমে।
(7) ভক্ত সংখ্যা কম বেশি হলেওপ্রসাদের কম বেশি হয় না।কেউই অভুক্ত থাকেননা।
(8)মন্দিরের রান্নাঘরের ভিতর দিয়ে গঙ্গানদীপ্রবাহমান,যা বাইরে থেকে দেখা যায় না।
===========================
পুরীর শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির নানা অলৌকিক রহস্যে ভরা।

জগন্নাথ পুরী মন্দিরের রান্নাঘরকে বলা হয় পৃথিবীর অদ্ভুত ও বড় রান্নাঘর । 
কেন এই রান্নাঘর অদ্ভুত তা আপনাদের কাছে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরছি ।

পুরীতে আমরা কম বেশী সবাই যাই তাই তার রান্নাঘরের লীলা আমরা কম বেশি সবাই জানি । 
এখানে আরও বিশদে আলোচনা করা হলো।...

১. এই রান্নাঘরে বিবিধ দ্রব্য রান্না করার জন্য কোন বিদ্যুৎ বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না । 
উন্মুক্ত কাঠের আগুনের উপর অনেকগুলো তেলের ল্যাম্প বা বাতি ঝুলিয়ে রাখা হয় 
আর তার নিচেই সেবকরা এসেই রান্না কার্য সম্পন্ন করে ।

.২. এ রান্নাঘরে এত দ্রুত রান্না করা হয় যে শুধুমাত্র একদিনের প্রস্তুতিতে একসাথে 
প্রায় দশ হাজার লোক বসে প্রসাদ পায় । 
আর এমনিতে পাঁচ হাজারের উপর দর্শনার্থী প্রসাদ পেয়ে থাকে ।

.৩. এই রান্নাঘরটি ৯টি ভাগে বিভক্ত । 
যাদের দুটি ভাগ ২৫০০ বর্গফুট করে এবং বাকি ৭টি ভাগ এ দুটির চেয়ে একটু ছোট হবে । 
এ রান্নাঘরে রয়েছে ৭৫২টি মাটির তৈরি চুলা যার প্রত্যেকটি দৈর্ঘ্যে তিন বর্গফুট করে এবং 
উচ্চতায় প্রায় ৪ ফুটেরও বেশি ।

.৪. চুলাগুলোতে একটির উপর একটি পাত্র বসানো হয় এভাবে প্রায় নয়টি পাত্র থাকে । 
শুধুমাত্র এ পাত্রগুলোর নিচে অবস্থিত আগুনের মাধ্যমেই উপরের পাত্র থেকে শুরু করে 
শেষে নিচের পাত্রটির রান্না অদ্ভুদ ভাবে সম্পন্ন হয় । 
এই রান্নাঘরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত রয়েছে এক হাজার সেবক । 
তার মধ্যে ৫০০ সেবক রয়েছে কেবলমাত্র চুলাতে রান্না করার জন্য সহায়ক কারী হিসেবে ।

.৫. এখানে কোন পুরাতন পাত্রে রান্না করা হয় না, 
প্রতিদিন নতুন নতুন পাত্রে রান্না করা হয়, তাই একদল খালি মাটি দিয়ে পাত্র বানায়, 
আরেক দল তা সরবরাহ করে রান্নাঘরে নিয়ে যায় । 
আরেকদল পাত্রগুলো ধৌত করে, আরেকদল পাত্রে জলভর্তি করে চুলাতে নিয়ে যায় |

.৬. রান্না করার জন্য এখানে গঙ্গা আর সরস্বতী নদী 
(এটা একটা রূপক, পাথর বাঁধানো জলের দুটি নালী, যা সারা দিন নদীর ন্যায় ক্রমাগত 
জল পরিবহন করে) রান্নাঘরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে যা বাহির থেকে দেখা যায় না 
যা সত্যিই অদ্ভুত !!!!

.৭. কেউ কেউ সব্জি ধৌত করছে আর কেউ কেউ সব্জি কাটছে আর কেউ মসলা তৈরি করছে । রান্নাঘরে যে সেবকরা থাকে তাদের বয়স যখন ১২ বছর হয় তখন থেকে তারা ট্রেনিং এ নেমে পড়ে এভাবে তারা বংশানুক্রমে প্রাপ্ত নির্দিষ্ট সেবা সারাজীবন ধরে অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করে থাকে ।

.৮. এই রান্নাঘরে ১০০টির উপর আইটেম রান্না করা হয় যা দুটি ভাগে বিভক্ত । এ দুটি ভাগকে পাক্কা এবং সুক্কা নামে ডাকা হয় । পাক্কা বলা হয় সে খাবারগুলো যেগুলো সিদ্ধ করা যেমন ডাল, চাল, খিচুরী এবং সমস্ত রকমের সবজি । অপরদিকে সুক্কা বলা হয় বিস্কিট, মিষ্টান্ন আর বিভিন্ন ধরনের পিঠা ।

.৯. জগন্নাথের জন্য যেসমস্ত ফল ও সবজি ব্যবহার করা হয় সেগুলো দু হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে । শুধুমাত্র স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজি ও ফলই জগন্নাথের জন্য ব্যবহৃত হয় । অন্য কোন অঞ্চল থেকে উৎপাদিত দ্রব্য জগন্নাথের জন্য ব্যবহার করা হয় না ।

.জগন্নাথ দেব আর লক্ষ্মী দেবীর কৃপায় ধন্য এই রান্না ঘর । তাইতো পুরীর এ রান্নাঘরকে অদ্ভুত রান্নাঘর বলেই অভিহিত করা হয় ।

পুরুষোত্তম ক্ষেত্র পুরীতে শ্রী জগন্নাথকে বলা হয় দারুব্রহ্ম । নিম কাঠের তৈরি এই বিগ্রহ কিছু বছর পরপর বদলে ফেলা হয় । নতুন নিম কাঠ দিয়ে তৈরি হয় নতুন দেহ বা কলেবর । ভারতে আর কোনো বিগ্রহের ক্ষেত্রে এমন রীতির কথা শোনা যায়না । কিন্তু পুরনো অবয়ব থেকে "ব্রহ্মবস্তু" নামে কোন একটি পদার্থ নতুন কলেবরে প্রতিষ্ঠাও করতে হয় । মনে করা হয় ওই বস্তুটিই নিম কাঠের তৈরি এই বিগ্রহের "প্রাণ" বা "আত্মা" । "ব্রহ্মবস্তু" ঠিক কী, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত । কেউ বলেন, সেটি বুদ্ধের দাঁত । কেউ বলেন, সেটি কৃষ্ণের দেহাবশেষ । কৃষ্ণ মারা গিয়েছিলেন এক শবরের তীরে - দ্বারকায় । তাঁর দেহাবশেষ ভাসতে ভাসতে আসে পূর্ব ভারতের সমুদ্রতীরে । পুরাণ মতে, সেখান থেকেই জন্ম নীলমাধবের । জগন্নাথ বিগ্রহের এই নতুন রূপ পাওয়ার বিশেষ উৎসবটির নাম "নবকলেবর" ।

পুরীর মন্দিরের প্রাচীন রীতি অনুসারে কৃষ্ণা চতুর্দশীর মধ্য রাতে সারা পুরীর সব আলো নিভিয়ে নিম কাঠের তৈরি নতুন বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা উচিত । নিশ্চিদ্র অন্ধকারে চার প্রবীণ দৈতাপতি পাণ্ডা চোখ বেঁধে পুরনো অবয়ব থেকে "ব্রহ্মবস্তু" নতুন কলেবরে প্রতিষ্ঠা করে । তাঁদের হাতে থাকে আবরণ যাতে ত্বকের স্পর্শ এড়ানো যায় । স্নানযাত্রার সময়ই বিগ্রহগুলিকে রত্নবেদী থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্নানবেদীতে । তারপর নিয়ে আসা হয় মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনে অনসর পিন্ডিতে । ওখানেই জগন্নাথ,বলরাম, সুভদ্রার সেবা-পুজো করা হয় । মন্দিরের উত্তর দ্বার বা হস্তি দ্বারের কাছের "কৈলীবৈকুণ্ঠ" চত্বর থেকে সেখানেই নিয়ে আসা হয় নতুন বিগ্রহগুলি । তারপরেই অনসর পিন্ডিতেই নিকষ অন্ধকারের মধ্যেই পুরনো বিগ্রহটি থেকে নতুন বিগ্রহে "ব্রহ্মবস্তু" স্থানান্তরিত করা হয় ।

ব্রহ্মবস্তু স্থাপনের প্রক্রিয়া পূর্ণ করতে ১২ ঘন্টা মত সময় লাগে । ১৯৭৭ সালে রাত ১২টা থেকে পরের দিন বেলা ১১টা পর্যন্ত সময় লেগেছিল । ১৯৯৬ সালে এই প্রক্রিয়া শুরু হয় ভোর ৩টের সময়,শেষ হয় বিকেল ৩টেয় । এবার ভোর ৪টেয় শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৫টায় । কিন্তু পুরোটাই হয়েছে অমাবস্যা তিথির মধ্যে

1.. কাঠের প্রলেপে প্রথমে পাটের প্রলেপ পড়ে ।

.২. তার উপরে ওসুয়ো বা এক ধরণের ধুনোবাটা মাখানো হয় ।

৩. নির্দিষ্ট দিনে খাঁটি তিলের তেলের সাথে মন্ত্রপূত জড়িবুটি ও জুই-বেল-চাপার মত সুগন্ধী ফুল মিশিয়ে তৈরি গন্ধতেল বা ফুলুরি তেল লেপণ করা হয় ।

.৪. শুক্লা নবমীতে নবকলেবরের শ্রীঅঙ্গে খড়িলাগি বা শ্বেত অঙ্গরাগ হয় ।

.৫. তারপরে সর্বাঙ্গে চন্দন লেপণ হয় । এক-একটি বিগ্রহের জন্য এক কুইন্টাল চন্দন লাগে

ব্রহ্মবস্তু স্থাপনের প্রক্রিয়া পূর্ণ করতে ১২ ঘন্টা মত সময় লাগে । ১৯৭৭ সালে রাত ১২টা থেকে পরের দিন বেলা ১১টা পর্যন্ত সময় লেগেছিল । ১৯৯৬ সালে এই প্রক্রিয়া শুরু হয় ভোর ৩টের সময়,শেষ হয় বিকেল ৩টেয় । এবার ভোর ৪টেয় শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৫টায় । কিন্তু পুরোটাই হয়েছে অমাবস্যা তিথির মধ্যে ।

---------------------------------------------

১. পুরীর মন্দিরের মাথায় যে পতাকাটি ওড়ে সেটি প্রতিদিন বদলানো হয়, আর এটি বদলানোর জন্য একটি ১২বছরের ছেলে লাগে যে এই পতাকাটি প্রতিদিন বদলায় |

২. এই মন্দিরের কোনো ছায়া পরে না।

৩. মন্দিরের চূড়ার পতাকা বায়ুর উল্টো দিকে ওড়ে।

৪. মন্দিরের ওপর দিয়ে কোনো বিমান,পাখি উড়ে যেতে পারে না।

৫. মন্দিরের সিংহ দ্বারে সমূদ্রের ঢেউয়ের শব্দ শোনা যায়।

৬. মহাপ্রসাদ রান্না হয় পরপর সাতটি মাটির পাত্রে একসাথে(একটির উপরে আরেকটি বসানো হয়) কিন্তু রান্না হয় উপরের হাঁড়িতে সবার প্রথমে।

৭. ভক্ত সংখ্যা কম বেশি হলেও প্রসাদের কম বেশি হয় না।কেউই অভুক্ত থাকেন না।

৮. এই মন্দিরের ভক্তরা খাওয়া দাওয়া করে জগন্নাথ দেবের পূজা করে।

৯. জগন্নাথ দেবের একটা হাঁড়ির ভোগ যদি আপনারা সপরিবারে খান তবুও এইভোগ শেষ করতে পারবেননা সে যতই ছোটো ভগের হাঁড়ি হোকনা কেনো।

১০. মন্দিরের রান্নাঘরের ভিতর দিয়ে গঙ্গানদী প্রবাহমান,যা বাইরে থেকে দেখা যায় না।

--------------------------------------------

১. চৈত্রের শুক্লপক্ষের দশমীতে নবকলেবর উৎসবের শুরু ।

.২. পুরী থেকে কিছু দূরে কাকটপুরে মঙ্গলাদেবীর মন্দিরের কাছ থেকে দৈতাপতিরা নতুন বিগ্রহগুলির কাঠের জন্য নতুন গাছের সন্ধানে বেরোন ।

.৩. গাছগুলিতে কোনো পাখির বাসা থাকা চলবে না ।

.৪. গাছগুলির মূলে বিষধর সাপের বাসা থাকতে হবে ।

.৫. গাছগুলিতে শঙ্খ,চক্র,গদা এবং পদ্মের চিহ্ণ থাকতে হবে ।

.৬. তিন,পাঁচ বা সাতটি করে শাখা থাকতে হবে ।

.৭. জগ্ননাথের বিগ্রহ তৈরি হবে কৃষ্ণবর্ণের কাঠ দিয়ে । বলরামের বিগ্রহ তৈরি হবে শ্বেতবর্ণের কাঠ দিয়ে । সুভদ্রার বিগ্রহ তৈরি হবে রক্তবর্ণের কাঠ দিয়ে ।

.৮. এইসব কাঠ কাঠের শকটেই পুরীতে আনা হয় । এই শকট কোন গাছের কাঠ থেকে তৈরি হবে, সেটাও নির্দিষ্ট রয়েছে ।পুরাণ মতে, সূর্য বংশের রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন বিষ্ণুর দর্শন পেতে উদগ্রীব হলে এক সন্ন্যাসী তাকে নীলমাধব নামে এক দেবতার কথা বলেছিলেন । রাজার পুরোহিত বিদ্যাপতি শেষ পর্যন্ত বিশ্বাবসু নামে এক শবরের কাছে এসে সেই বিগ্রহের খবর পান । কিন্তু নীলমাধবকে দেখাতে বিশ্বাবসু রাজী ছিলেন না ।

.তবে বিশ্বাবসুর কন্যা ললিতা বিদ্যাপতির প্রেমে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করতে চাইলে বিশ্বাবসু রাজী হন । ললিতার অনুরোধে শেষ পর্যন্ত বিদ্যাপতির চোখ বেঁধে তিনি একদিন জঙ্গলের মধ্যে নীলমাধবের সামনে নিয়ে যান । কিন্তু পুরা-কথামতে,নীলমাধবের মূর্তি যিনি দর্শন করবেন, যম তাকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। বিদ্যাপতির কাছ থেকে খবর পেয়ে অবন্তীরাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন সৈন্য-সামন্ত নিয়ে মূর্তি দর্শন করতে আসতে চাইলে বিগ্রহটি অর্ন্তহিত হয়ে যায় ।

.ইন্দ্রদ্যুম্ন দুঃখে আত্মহত্যা করতে গেলে আকাশবাণীতে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়, বিষ্ণুর দারুব্রহ্ম মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে । বাঙ্কি মুহান নামে সমুদ্রের উপরে একটি জায়গায় স্বপ্নাদেশে তিনি সেই কাঠের সন্ধান পান । অনেকে ব্যর্থ হওয়ার পর মূর্তি তৈরি করতে আসে অনন্ত মহারাণা নামে এক বৃদ্ধ । ২১ দিন ধরে মন্দিরের দরজা বন্ধ রেখে জগন্নাথের কলেবর বা দেহ তৈরি করবেন বলে কথা দেন । তিনি বলেছিলেন, এর মধ্যে যেন দরজা না খোলা হয় ।

.কিন্তু ১৫ দিন পড়ে উদগ্রীব রাজা দরজা খুলে ফেলে দেখেন,বৃদ্ধ নেই । মূর্তিগুলোও অসম্পুর্ণ । তাঁদের হাত-পা প্রকট নয় । আঙুল দেখা যায় না । সেই রুপেই জগন্নাথদেব পতিতপাবন হয়ে এই মন্দিরে বিরাজ করেন ।

----------------------------------------------

3>১. পুরাণ মতে, ৫১টি সতীপীঠ এর মধ্যে একটি সতীপীঠ জগন্নাথ মন্দিরে আছে যার নাম বিমলা দেবী । মন্দির তাঁর সাম্রাজ্যেই চলে । সবার আগে দেবীর ভোগ চরানো হয় । তারপর জগ্ননাথের ভোগ চরে ।

২. প্রতিদিন সন্ধ্যা ৫টার পর মন্দিরের পূর্বদিকের প্রস্থান পথ বন্ধ করে দেওয়া হয় । কথিত আছে,প্রতিদিন ওই সময়ে স্বর্গরাজ্য থেকে দেব-দেবীরা এসে ওখানে চলাফেরা করে। কেউ যদি ওখানে যায় তবে মুহূর্তের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে যায় ।

৩. বলা হয়,জগন্নাথ মন্দিরের উপরে যতটা মন্দির আছে,মাটির নীচেও ততটাই আছে । আজ অবধি কেউ দেখা পায়নি মাটির নীচের মন্দিরের ।

৪. এটি একমাত্র মন্দির যেখানে হিন্দুদের ৩৩ কোটি দেব-দেবীর বাসস্থান ।

৫. কথিত আছে,৪টে শর্ত মিলে গেলে মাটির নীচের মন্দিরের দেখা পাওয়া যাবে ।

-----------------------------------------

শর্ত ৪টে হল নিম্নরপ =>

১. ধ্বজার উপর বাজপাখী এসে বসবে যেটা বসতে দেখা গেছে ।

২. জগন্নাথের মুকুট মাটিতে পড়ে যাবে যেটা ভূমিকম্পের সময় মাথা থেকে পড়ে গেছে ।

৩. জগন্নাথের মাথায় রক্ত এসে লাগবে । মন্দিরের মূল পাণ্ডারা মারপিট করার সময় তাঁদের মাথার রক্ত জগন্নাথের মাথায় এসে লাগে ।

৪. যেদিন সমুদ্রের জল এসে মন্দিরের প্রধান সিঁড়িকে ধুয়ে দেবে । এটা এখনো হয়নি ।

----------------------------------------

4>১. জগ্ননাথের রথের নাম নন্দিঘোষ । এই রথের সারথী দারুক । জগ্ননাথের রথের ঘোড়াগুলির নাম নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে । কাহ্নুচরণের মতে,ঘোড়াগুলির নাম শঙ্খিনী,রোষিকা,মোতিকা ও জ্বালিনী । অন্যমতটি হল শঙ্খ,বহ্লক,শ্বেত,হরিদাশ্ব । জগ্ননাথের ঘোড়াগুলির সবকটি সাদা ।

২. বলরামের রথের নাম তালধ্বজ । এই রথের সারথী মাতলি । কাহ্নুচরণের মতে,বলরামের রথের ঘোড়াগুলির নাম ঋক,সাম,যজু,অথর্ব ।

৩. সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন । এই রথের সারথী দেবদত্ত । কাহ্নুচরণের মতে,সুভদ্রার রথের ঘোড়াগুলির নাম শৈব্যা,সুগ্রীব,মেঘপুষ্প,বহ্লক ।

৪. জগ্ননাথের রথের ১৬টি চাকা,বলরামের রথের ১৪টি চাকা,সুভদ্রার রথের ১২টি চাকা ।

৫. নন্দিঘোষ চাকা থেকে ২৩ হাত উঁচু । তালধ্বজ ২২ হাত ও দর্পদলন ২১ হাত লম্বা ।

৬. সবকটি রথেরই দৈর্ঘ-প্রস্থ সমান । —


মন্দিরের পশ্চিম দিকের বাঘ দরজার কাছে কয়েকশো বছরের পুরনো ওড়িয়া মঠে প্রভুর গায়ের গন্ধতেল তৈরি হয় । খাঁটি তিলের তেলের সাথে মন্ত্রপূত জড়িবুটি ও জুই-বেল-চাপার মত সুগন্ধী ফুল মিশিয়ে এক বছর ধরে গোপনে এই তৈরি হয় । প্রতি বছর স্নানযাত্রায় ভিজে প্রভুর বাঁধাধরা জ্বর হয় । ম্যাজম্যাজে গায়ে তিনি একটু উঠে বসার পড়ে এই তেল মাখিয়ে দেন দৈতাপতিরা । রাতভর গুপ্তসেবায় দৈতাপতিরা মিলে অসুস্থ 'বড় ভাই'-এর হাত-পা টেপাটেপি করেন । পাখার হাওয়া বুলিয়ে তাকে ঘুম পাড়ান । অসুস্থ ঈশ্বর শুধু রাতে দু'বার সর-রাবড়ি-আম-পাকা কাঁঠাল খান । বিপুল ভোগ প্রভুকে খাইয়ে দৈতাপতিরা যতটা পারবেন,খাবেন । সেই খাবার গুপ্তসেবার স্থান থেকে বার করা বা কাউকে বিতরণ করা নিষেধ ।

--------------------------------

5>১. প্রতিদিন অর্জুন জগন্নাথদেবের সাথে দেখা করতে আসতেন । তাই প্রতিদিন ভোরবেলা মন্দিরের প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হয় । প্রমাণ হিসেবে অর্জুন-এর জুতোর সোনালী খুর পাওয়া গেছে ।

.২. মন্দিরের কোনো এক দেওয়ালে কুকুরকে প্রহরী হিসেবে পূজা দেওয়া হয় ।বলা হয় মন্দিরে কিছু চুরি হলে ওই দানবাকৃতি কুকুরকে মন্দিরে ঘুরতে দেখা যায় । কিন্তু এই পর্যন্ত জানা যায়নি ওই কুকুর কোথায় থাকে ।

.৩. জগন্নাথদেবের মন্দিরের পাশে বিমলা দেবী এবং লক্ষ্মীদেবীর মন্দিরের পিছনে দেখা যায় দেবী কালীর মন্দির ।

.৪. মন্দিরের প্রথম দরজায় একটি লোহার পদচিহ্ন দেখা যায় । মন্দিরে প্রবেশের সময় ওই পদচিহ্নে পা ফেলে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয় । বেরিয়ে আসার সময় ওই পদচিহ্ন পাশ কাটিয়ে আসতে হয় ।

.৫. মনের অন্তর থেকে চোখে জল এনে ১০৮বার জগন্নাথদেবের নাম নিয়ে মন্দিরের গর্ভগৃহের বেদীর চারপাশে ৭বার প্রদক্ষিণ করলে ৭ জন্মের পাপ ধুয়ে যায় ।—

-------------------------------------------------------------------.

6> - আরও নানা বিচীত্র খবর -----

১) ‘অবধা’ অর্থাৎ ভগবান জগন্নাথদেবের অদ্ভুদ প্রসাদের নাম যে কেউ তৈরি করে না । নিজে নিজেই এই সুস্বাদু-কৃষ্ণ প্রসাদ তৈরি হয় । সবচেয়ে অবিশ্বাস্য যে, বিশাল আকৃতির চুল্লীতে একটির পর একটি বসানো মাটির তৈরি পাত্রে সব উপাদান দিয়ে বসিয়ে দিলে সবচেয়ে উপরের পাত্রটি প্রথমে তৈরি হয়ে যায় । অথচ প্রথা অনুযায়ী বা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে নিচের পাত্রটিই আগুনের তাপে প্রথম তৈরি হওয়ার কথা । যা পুরী মন্দিরের অবিশ্বাস্য এক প্রাত্যাহিক ঘটনা । বলা হয় যে, এ প্রসাদ্গুলো স্বয়ং মহালক্ষ্মী রান্না করেন ।

২) অনেকেই হয়ত জানেন জগন্নাথ পুরীর মন্দিরটি পুরাটাই মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন তৈরি করেছেন । কিন্তু সেই জানার মধ্যে ভুল আছে । প্রকৃতপক্ষে মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন শুধু মূল মন্দিরটিই তৈরি করেছিলেন । পুরীর বাকি যেসব অবকাঠামো রয়েছে যেমন মেঘানন্দ পাচেরী, মুখ্য শালা, নাটমন্ডপ এবং অন্যান্য অবকাঠামো বা মন্দিরগুলো তৈরি করেছিল সময়ের আবর্তনে আগত বিভিন্ন রাজা এবং শাসকরা ।

৩) গর্ভ মুর, হল পুরী মন্দিরের সবচেয়ে অদ্ভুদ অংশ যেখানে ভগবানের সবরকমের মূল্যবান অলংকারসমূহ সংরক্ষণ রাখা হয় । এগুলো রক্ষনাবেক্ষনের জন্য যারা নিয়োজিত তারা হল কতগুলো বিষধর অদ্ভূত সাপ এবং স্বর্গীয় আত্মা ।

৪) অপরদিকে রত্ন মুর নামে মন্দিরে উপরের অংশটিতে একটি অদ্ভূত বৃহৎ চুম্বক শক্তি রয়েছে । যেটি মন্দিরকে ঝড়ো বা প্রবল দমকা হাওয়ার স্থির রাখতে বা কোন ধ্বংস হওয়া থেকে অদ্ভূতভাবে সুরক্ষা করে । বলা হয়ে থাকে যে, মাঝে মাঝে ঐ অংশে তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির বিশেষ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় । যা সত্যিই অদ্ভূত ।

৫) আপনি কি জানেন, রথযাত্রার সময় জগন্নাথ, বলদেব এবং সুভদ্রা দেবী যখন রথে আরোহন করে তখন সুদর্শন কোথায় অবস্থান করেন? অনেকেই বলবে জগন্নাথদেবের পাশে কিন্তু অদ্ভূত হলেও সত্য সুদর্শন জগন্নাথের পাশে না বরঞ্চ সুভদ্রা দেবীর পাশে অবস্থান করেন । তখন জগন্নাথের পাশে ‘মদনমোহন’ বিগ্রহ এবং বলদেবের দু’পাশে ‘রামচন্দ্র’ এবং ‘কৃষ্ণ’ এ দুটি পিতলের বিগ্রহ অবস্থান করেন ।
৬) জগন্নাথের সম্মুখে নৃত্য প্রদর্শনের জন্য একদল সেবিকা রয়েছে যাদেরকে দেবদাসী নামে অভিহিত করা হয় । সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এসব সেবিকারদের ৯ বছর বয়সেই বিয়ে হয় স্বয়ং জগন্নাথের বিগ্রহের সঙ্গে । এরা নিজেদেরকে ভগবানের কাছে উৎসর্গ করে শুধুমাত্র এ নির্দিষ্ট সেবা নৃত্য প্রদর্শন করে । এ প্রথা স্বয়ং জগন্নাথদেবেরই নির্দেশে প্রচলিত । এক্ষেত্রে এর পিছনে একটি প্রাচীন সুন্দর কাহিনী রয়েছে । প্রতিদিন এসব দেবদাসী কিছু বিশেষ বিশেষ সময়ে ভগবানের সামনে তাদের নৃত্য প্রদর্শন করে থাকে । নৃত্য প্রদর্শনের সময় তারা দর্শকদের দিকে তাকাবে না । তাদের সকল মনোযোগ ভগবানকে কেন্দ্র করে । তাদের জন্য পুরুষ সঙ্গ নিষিদ্ধ ।

--------------------------------------------------------------------------


7>ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী মাহেশের রথযাত্রা...।

মাহেশের রথের বিবরণ :-

উচ্চতা - ৫০ ফুট
ওজন - ১২৫ টন
তলা - ৪টি
চূড়া - ৯টি (আটটি ছোট, একটি প্রধান)
চাকা - ১২টি
চাকার বেড় - ১ফুট (প্রতিটি)

প্রথম তলায় - শ্রীচৈতন্যলীলা
দ্বিতীয় তলায় - শ্রীকৃষ্ণলীলা
তৃতীয় তলায় - শ্রীরামলীলা
চতুর্থ তলায় - শ্রীশ্রীজগন্নাথদেবের সিংহাসন

চোখ আঁকা আছে - ৯৬ জোড়া
দড়ি - ২টি
দড়ির পরিধি - ১০ ইঞ্চি
দড়ির দৈর্ঘ্য - ১০০ গজ (প্রতিটি)
ব্রেক হিসাবে ৫০ ফুট লম্বা কাঠের বীম ব্যবহার হয়
চালকদণ্ড নাই বলিয়া চাকার তলায় থান ইট ব্যবহার করিয়া রথ বাঁকানো হয়

আশ্ব - ২টি (একটি নীল ও একটি সাদা)
সারথি - ১টি
রাজহংস - ২টি —

---------------------------------------------

8>দোল-দুর্গোৎসবের মত কলকাতার বনেদি বাড়িতে রথ নিয়েও নানা আচার-অনুষ্ঠান হয় । সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের রথযাত্রা তার মধ্যে অন্যতম।

.দর্জিপাড়ার রাজকৃষ্ণ মিত্রের বাড়িতে প্রায় ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে কুলদেবতা রাজরাজেশ্বরের রথযাত্রা হয়ে আসছে । বাড়ির সকলে এই দিন তিনবার রথকে প্রদক্ষিণ করেন এবং চামর দিয়ে বাতাস করেন । পুজোয় করবী ফুল দিয়ে হোম করা হয় এবং হরির লুঠ দেওয়া হয় । রথের আরেক ঐতিহ্য ইলিশবরণ । নোড়ার উপর জোড়া ইলিশ রেখে ছোট মাছটির মাথায় সিঁদুর দেওয়া হয় । পরে ধান,দূর্বা ও জল দিয়ে মাছ দুটিকে বরণ করা হয় ।

=====================================


9>জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা

জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা,তাই ঘুম থেকে উঠার পর একটু আগে টিভিতে সেটি নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান দেখলাম।তারপর একটি কথা মনে পড়ে গেলো।আমরা হিন্দুরা আসলে কতটাই বা জানি আমাদের ধর্ম সম্পর্কে! গেলো দোল পুর্ণিমায় একজন বিদেশী নিয়ে যখন বিভিন্ন মন্দির দর্শনে বের হই তখন তাকে শুধু আমি কেন অনেকেই সঠিক উত্তর দিতে পারিনি, কেন এই দোল পূর্ণিমা এবং এ জাতীয় প্রশ্ন।তখন বেশ খারাপই লেগেছিলো।সেই সময় আমার সাথে ছিলো সিওপিসি এর বেশ কজন সদস্য,এখানে উল্লেক্ষ্য যে শুধু আমি একজনই হিন্দু ছিলাম বাকী সকলেই ইসলাম ধর্মালম্বী ও দুইজন খ্রিস্টান ধর্মালম্বী কিন্তু সবথেকে অবাকের বিষয় তাদের আগ্রহ ও সৌহার্দ্য আমাকে অনেক বেশী অভিভূত করেছিলো।এখন সেই বিদেশী উইলিয়াম স্যার আবার ধরেছেন আজ ২১ তারিখ রথযাত্রায় তাকে সাথে করে নিয়ে ঘুরতে,এবার তো আর না জেনে থাকার উপায় নেই গতবার যা লজ্জা পেয়েছি সে থেকেই যা যা পেয়েছি তা জেনেছি এবং ভালো করে মনে রাখার জন্য এবং অন্যান্যদের জানার জন্য এটি শেয়ার করলাম।

জগন্নাথ:- হিন্দু দেবতাদের মাঝে অন্যতম জগন্নাথ দেব; ইনি ভগবান শ্রী কৃষ্ণের একটি বিশেষ রূপ। জগন্নাথ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ জগৎ+নাথ=জগতের নাথ বা প্রভু।

পৌরাণিক উপাখ্যান

জগন্নাথদেবকে কেন্দ্র করে দুটি জনপ্রিয় কাহিনি প্রচলিত আছে। প্রথম কাহিনি অনুসারে, কৃষ্ণ তাঁর ভক্ত রাজা ইন্দ্রদ্যন্মুর সম্মুখে আবিভূর্ত হয়ে পুরীর সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাষ্ঠখণ্ড দিয়ে তাঁর মূর্তি নির্মাণের আদেশ দেন। মূর্তিনির্মাণের জন্য রাজা একজন উপযুক্ত কাষ্ঠশিল্পীর সন্ধান করতে থাকেন। তখন এক রহস্যময় বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ কাষ্ঠশিল্পী তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন এবং মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন। সেই কাষ্ঠশিল্পী রাজাকে জানিয়ে দেন মূর্তি নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেন। বন্ধ দরজার আড়ালে শুরু হয় কাজ। রাজা ও রানি সহ সকলেই নির্মাণকাজের ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে ওঠেন। প্রতিদিন তাঁরা বন্ধ দরজার কাছে

যেতেন এবং শুনতে পেতেন ভিতর থেকে খোদাইয়ের আওয়াজ ভেসে আসছে। ৬-৭ দিন বাদে যখন রাজা বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন এমন সময় আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়। অত্যুৎসাহী রানি কৌতুহল সংবরণ করতে না পেরে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন। দেখেন মূর্তি তখনও অর্ধসমাপ্ত এবং কাষ্ঠশিল্পী অন্তর্ধিত। এই রহস্যময় কাষ্ঠশিল্পী ছিলেন দেবশিল্পী দিশ্বকর্মা। মূর্তির হস্তপদ নির্মিত হয়নি বলে রাজা বিমর্ষ হয়ে পড়েন। কাজে বাধাদানের জন্য অনুতাপ করতে থাকেন। তখন দেবর্ষি নারদ তাঁর সম্মুখে আবির্ভূত হন। নারদ রাজাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন এই অর্ধসমাপ্ত মূর্তি পরমেশ্বরের এক স্বীকৃত স্বরূপ।

দ্বিতীয় কাহিনিটির অবতারণা করা হয়েছিল পূর্বোল্লিখিত উপখ্যানটির ব্যাখ্যা ও সংশয় নিরসনের উদ্দেশ্যে। বৃন্দাবনে গোপীরা একদিন কৃষ্ণের লীলা ও তাঁদের কৃষ্ণপ্রীতির কথা আলোচনা করছিলেন। কৃষ্ণ গোপনে সেই সকল কথা আড়ি পেতে শুনছিলেন। কৃষ্ণভগিনী সুভদ্রা নিয়োগ করা হয়েছিল গোপীরা যখন কৃষ্ণের কথা আলোচনা করেন তখন কৃষ্ণ যেন তাঁদের নিকটবর্তী না হতে পারে সেদিকে নজর রাখার জন্য। কিন্তু গোপীদের কৃষ্ণপ্রীতি দেখে পরিতুষ্ট সুভদ্রা তাঁদেরই কথা শুনতে শুনতে বিমোহিত হয়ে গেলেন। দেখতে পেলেন না যে তাঁদের দুই দাদা কৃষ্ণ ও বলরাম এগিয়ে আসছেন। শুনতে শুনতে দুই ভাইয়ের কেশ খাড়া হয়ে উঠল, হাত গুটিয়ে এল, চোখদুটি বড় বড় হয়ে গেল এবং মুখে আনন্দের উচ্চ হাসির রেখা ফুটে উঠল। এই কারণেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার এইপ্রকার রূপ।বৈষ্ণবেরা কৃষ্ণের এই বিমূর্ত রূপটিকে পূজা করেন।

==========================================

  
10> || দেহ রথ + শরীর রুপি রথ ||


1>দেহ রথ-----
<--আদ্যনাথ-->


প্রভু জগন্নাথ দেবের রথ
সত্যই মানব দেহের প্রতিরূপ।
প্রভুর রথে আছে কাঠ 206 টি,
মানব দেহে আছে হাড় 206 টি ।
রথের 16 টি চাকা/চক্র এ যেন
মানব দেহের পঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয়,
পঞ্চ কর্মেন্দ্রিয় সহ ষড় রিপুর প্রতীক।
সারথি দারুক যেন আমাদের বুদ্ধি
আর সেথায় রথী প্রভু জগন্নাথ
আমাদের আত্মা।
উল্টো রথের যাত্রা শেষে,
প্রভু জগন্নাথ রথ থেকে নেবে গেলে,
রথের সেই কাঠ করা হয় নষ্ট।
যেমন দেহ থেকে আত্মা চলে গেলে,
যেমন শরীরকে করা হয় নষ্ট।

কঠ উপনিষদেই তো আছে
জীবের দেহ রথ, জীবাত্মা রথী,
মন হচ্ছে রথের রশি আর বুদ্ধি সারথি।
অর্থাৎ আমাদের শরীর রথে
অবস্থিত আত্মাই রথের রথী,
সেই আত্মাকে নির্গুণ স্তরে পৌঁছাতে সারথি বুদ্ধি,
রশি মনের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করে দশ ইন্দ্রিয় এবং ষড় রিপু গুলোকে।
তারপরে আত্মা দেহ ত্যাগ করলে,
শরীরকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মাধ্যমে নষ্ট করাই রীতি।
<--©➽-আদ্যনাথ রায় চৌধুরী--->


======================
2>শরীর রুপি রথ
আমাদের শরীর ও জগন্নাথ দেবের রথ
যেন একই সূত্রে গাঁথা।

অনেক দিন আগের কথা। সেকালে বাজশ্রবা নামে এক মুনি ছিলেন।
মুনি ছিলেন পরম ধাৰ্মিক
এবং যাগযজ্ঞপরায়ণ।
তার এক ছিলো পুত্র —নাম নচিকেতা।
বাজশ্রবা মুনিএকদিন এক যজ্ঞ করলেন,
সেই যজ্ঞে আমন্ত্রিত ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের গোদান করলেন, উপহার-উপঢৌকনে ভরিয়ে দিলেন দরিদ্র ব্রাহ্মণদের। ছোট্ট ছেলে নচিকেতা, দূরে দাঁড়িয়ে দেখলেন বাবা যে গোরুগুলো দান করলেন, সেগুলো মৃতবৎসা। সেগুলি কখনই
দুধ দেবে না। আর উপহার সামগ্রীর বেশির ভাগ টাই অকাজের। বাবার এহেন ভ্রষ্টাচারে, লজ্জিত নচিকেতা বাবাকে জিজ্ঞেসা করলেন “বাবা, তোমার এমন লোক-ঠকানো অকিঞ্চিৎকর দানের অর্থ”? ছোট মুখে বড় কথা, বাজশ্রবা চিৎকার করে বললেন ‘এবার তোমাকেও আমি যমের দক্ষিণ দুয়ারে পাঠাব’। সেটাই হবে আমার মহত্তম দান। মুখ থেকে কথা খসামাত্রই যমদূতেরা হাজির, তারা নচিকেতাকে জোড়করে টেনে নিয়ে গেল যমরাজের দরবারে।


এদিকে যমরাজ বিশেষ কাজে যম লোকের বাইরে। যমরাজ তিনদিন বাদে ফিরে ক্ষুধা তৃষ্ণায় কাতর নচিকেতাকে এমন ভাবে দেখে তাকে নিয়ে আসার হেতু জানতে চাইলেন এবং মুগ্ধ হলেন ওইটুকু ছেলের ত্যাগ-তিতিক্ষায়।
ফুটফুটে নচিকেতাকে কোলে বসিয়ে যমরাজ ভূরিভোজনের ব্যবস্থা করলেন,এবং নচিকেতাকে তিনটি বর প্রদান করলেন।
প্রথম বরে নচিকেতা তাঁর বাবার বুদ্ধি বিভ্রমের প্রতিকার চাইলেন। যমরাজ বললেন তথাস্তু। দ্বিতীয় বরে, যজ্ঞে মোক্ষলাভের গোপন বীজমন্ত্র শিখতে চাইলেন নচিকেতা। সেটিও মঞ্জুর হল। যমরাজ আরও বললেন, তিনবার এই যজ্ঞ সমাপনে নচিকেতাকে আর জন্ম মৃত্যুর পাকেচক্রে আবর্তিত হতে হবে না। পরম ব্রহ্মের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে নচিকেতার। আর যজ্ঞটিও পরিচিত হবে ‘নচিকেতা যজ্ঞ’ নামে।
এবার তৃতীয় বরের পালা। নচিকেতা যমরাজের কাছে জানতে চাইলেন মৃত্যুর পর কী পরিণতি হয় মানুষের? গূঢ়, গোপনীয় তথ্য। যমরাজ বললেন, যে প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেবতারাও জানেন না, হে নচিকেতা তুমি তার নাগাল পাবে কীভাবে? নাছোড় নচিকেতা। মরণের পরের সংবাদ তাঁর চাইই চাই। ভুলিয়ে-ভালিয়ে যমরাজ বিশাল রাজ্য, পরমাসুন্দরী অপ্সরা, বিপুল বৈভব, ক্ষমতা আর ঐশ্বর্যের লোভ দেখালেন। খেয়ে পরে সুখে শান্তিতে দিনগুজরানের প্রতিশ্রুতি দিলেন। নচিকেতা বললেন, সুখ শান্তি কতদিনের? যে মুহূর্তে আপনি ডাকবেন, পরনের সুতোটিও ছেড়ে আপনার শরণাগত হতে হবে। তাহলে বিত্ত-বৈভব-ইন্দ্রিয়সুখ তো ক্ষণিকের মায়া, মরীচিকা। অবশেষে যমরাজ বাধ্য হয়ে বললেন পথ দুটো: একটা ভোগের, দ্বিতীয়টা ত্যাগের। প্রথম পথের শেষে স্বাগতম জানাবে মৃত্যু।
দ্বিতীয়টি আত্মজ্ঞানের,
উত্তরণ-উন্মোচন-আত্মোপলব্ধির, অমরত্বের। নচিকেতা দ্বিতীয় পথটিকেই বাছলেন।
তখন যমরাজ তাঁকে রথের উপমা টেনে শরীর-মন-বুদ্ধি-অনুভূতি-জীবাত্মার স্বরূপ
বর্ননা করে বললেন--
“আত্মানং রথিনং বিদ্ধি শরীরংরথমেব তু।
/বুদ্ধিংতু সারথিং বিদ্ধি মনঃপ্রগ্রহমেব চ।।
/ ইন্দ্রিয়াণি হয়ানহুর্বিষয়াংস্তেষু গোচরান।
/আত্মেন্দ্রিয়মনোযুক্তং ভোক্তেত্যাহর্মনীষিণঃ”
(কঠোপনিষদ ১।৩। ৩-৪)।


অর্থাৎ আত্মা রথী, শরীর নামক রথে আরূঢ় তিনি। রথের সারথি বুদ্ধি। মন হল লাগাম। আর ঘোড়া পঞ্চেন্দ্রিয়। মন, বুদ্ধি স্থির থাকলে শরীর রথ নিবাত-নিষ্কম্প। সাফল্য করায়ত্ত। কিন্তু মন-বুদ্ধি-হৃদয় বিপথগামী হলেই শরীর নামক রথও বিগড়বে। রথে জোতা অশ্বের বিশৃঙ্খল আচরণে প্রাণসংশয়ের সম্ভাবনা বাড়ে সারথি বা রথীর! রথী জীবাত্মা, সারথি পরমাত্মা। ঘোড়ারা ক্ষ্যাপামি করলে, সারথির পক্ষে রথের ভারসাম্য বজায় রেখে সঠিকপথে রথের পরিচালন অসম্ভব হয়ে পড়ে। শরীর রথের অন্দরে, হৃদয়ে সমাসীন জীবাত্মা, মন-বুদ্ধি তাকে পথ দেখিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষে পরমাত্মার সঙ্গে মিলিয়ে দেবে।
হৃদয়-মন-বুদ্ধির সামান্য বেচালে শরীর-রথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পথভ্রষ্ট হয়। জন্ম-মৃত্যুর পঙ্কিল ঘূর্ণিপাকে কলুর বদলের মত নিশিদিন ঘুরপাক খেতে থাকে নশ্বর মনুষ্যজীবন। শোক-তাপ-জরা থেকে মেলে না মুক্তি। ষড়রিপু বা ইন্দ্রিয়কে চালনা করে মন, ইন্দ্রিয়ের থেকে বড় তাই মন, মনের থেকে বুদ্ধি। হৃদয়ের অন্তঃস্থলে আসীন আত্মা—‘পুরুষ’, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারলে তবেই তার সঙ্গে মিলন হবে ‘প্রকৃতি’র। সেই ব্রাহ্মমুহূর্তে অপার্থিব আলোর ঝলকানিতে সৃজিত হবেন পরমাত্মা, পরমব্রহ্ম।
ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব বলছেন, ডাব নরম শাঁস আর জলে ভর্তি, জড় আর চেতন মিলেমিশে ঢ্যাবঢ্যাবে। ঝুনো নারকেল পরিপুষ্ট, পরিণত, খটখটে। খোসা থেকে সহজেই আলাদা করা যায়। মনকে শক্ত হাতে লাগাম পরাতে পারলেই জাগতিক কামনা বাসনা থেকে মুক্ত হয়ে, ঝুনো নারকেল, ব্রক্ষ্মের স্বরূপে উপনীত হওয়া সম্ভব।
ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব দিনের মধ্যে ৩৬ বার সমাধিস্থ হতেন, ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকার তাঁর নাড়ির হদিশ পেতেন না। আশ্চর্য হয়ে তিনি স্বগতোক্তি করেছিলেন পরমহংস ৩৬ বার মরছে আবার বেঁচেও উঠছে, কোন জাদুবলে? সমাধিকালে আত্মাকে নারকোলের মত শরীর নামক খোসা থেকে ছাড়িয়ে নিয়েই নাড়ির স্পন্দন বিরহিত হতেন রামকৃষ্ণদেব।
‘জীবনমুক্তিঃ সুখমপ্রাপ্তিঃ’।


চিকিৎসাশাস্ত্রে যার ব্যাখ্যা ডাঃ সরকার খুঁজে পাননি। সাধনমার্গের সাধকদের পক্ষেই এ মায়ার খেলা সম্ভব।
রথযাত্রা আসলে সফর/পথচলা।
ব্রক্ষ্মের সঙ্গে মিলনের বাহন রথ।
দক্ষিণ ভারতের রথোৎসবে তাই সাড়ম্বরে পালিত হয় ‘ব্রহ্মোৎসব’।
কিন্তু পুরীর রথে ব্রহ্মোৎসব অনুপস্থিত। মানুষের শরীর-রূপী রথে মোক্ষলাভের সমস্ত উপকরণই মজুত।
রথে আসীন শ্রীশ্রী জগন্নাথদেব মানুষের মধ্যে নেমে এসে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন কীভাবে যাত্রার শেষে অভীষ্ট মোক্ষের পথে পৌঁছতে হবে!
তাই পুরীর রথযাত্রায় নেই কোনও ভেদাভেদ। নেই উচ্চ-নীচ, ধনী-নির্ধনের বিচার। মোক্ষের পথ, ধর্মাধর্ম ভেদে আলাদা হতে পারে না।
গজপতি রাজাকেও, আত্মসম্মার্জনার পথে, পুরীর রথে ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করতে হয়।
ভিন্নধর্মী আলেকজান্ডার ক্যানিংহ্যাম বা শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর শ্রীমন্দিরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, পুরীর রথে স্বাগতম সকলেই।
সতেরশো শতাব্দীর ঘটনা। জাহাঙ্গিরের সুবেদার, ভক্ত কবি ‘সালাবেগ’ রথ-দর্শনে পরিত্রাহি ছোটার সময় পড়ে গিয়ে জখম হলেন। প্রভুর কাছে করুণ মিনতিতে বললেন দয়াপরবশ হয়ে প্রভু একটু যদি ‘সালাবেগের’ জন্য অপেক্ষা করেন। কী স্পর্ধিত আবদার! বড়া ডান্ডা অর্থাৎ মন্দিরের সামনের গ্র্যান্ড রোডে জগন্নাথদেবের ১৬ চাকার রথ ‘নন্দিঘোষ’ গেল আটকে, সারথির প্রাণপণ চেষ্টাতেও নড়ল না স্থাণুবৎ রথ।
আজও ‘বড়া ডান্ডায়’ রথের দিন সাময়িক আটকে থাকে রথ। ভিন্ন ধর্মের মানুষদের দর্শনাকাঙ্ক্ষা পূরণে সিংহদ্বারে জগৎপিতা সব ধর্মের মানুষকে পতিতপাবন-রূপে দিবারাত্র দর্শন দেন। ‘ব্রহ্মোৎসব’ পুরীর রথ লোকাচারে বেমানান, তাই বাতিল।
মানবশরীর যেমন পঞ্চভূতে গড়া, তার সমাপ্তিও তেমন পঞ্চভূতে বিলীন। শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীজগন্নাথদেবের রথও তেমন পঞ্চ উপাদানে তৈরি, কাঠ-ধাতু-রঙ-কাপড়-জরি। মন ও বুদ্ধি বা চেতনার যথোপযুক্ত প্রদর্শনে পুরীর রথে সারথি অর্জুন, আর মহাভারতের যুদ্ধে রথের রশি শ্রীকৃষ্ণের হাতে, রথী অর্জুন। মন, সাধারণ মানুষের বুদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে, বুদ্ধি মনকে নিয়ন্ত্রণ করলেই সাধনমার্গের দরজা খুলে যায়।
মানসিক চাপ হৃদপিণ্ডের ক্ষতি করে, ধমনীতে চর্বি জমে, রক্তপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে হার্ট অ্যাটাকের সূচনা হয়। ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধলে, মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাঁধা পায় ফলে অবশ্যম্ভাবী হয় ব্রেন স্ট্রোক।
মন-হৃদয়-মস্তিষ্ক একতারে বাঁধা। রথের রশি-অশ্ব-সারথির সন্ময় যুগলবন্দিতে সামান্য তাল কাটলে রথও যেমন বেসামাল, মানবশরীরও তাই।
<--©➽-আদ্যনাথ রায় চৌধুরী--->
====================








11>শু শোভনভাবে বাঁচা =Important to know to AGING GRACEFULLY.

11>आ =Post=11>***শুশোভনভাবে বাঁচা***( 1 to 2 )

1--------Important
                  IT IS IMPORTANT TO HEARTILY FOLLOW THE
                  TEN (10) GOLDEN RULES FOR AGING GRACEFULLY.
2>-----------आर्ट ऑफ लिविंग... की कुछ अच्छी बातें 
3-------------तजुर्बे ने ये 9 बातें सिखाई है---
4>---------শ্দ্বার্থ =এবং তাত্ত্বিক বিষয়।=হৃষীকেশ=
********************************************************************************
1>Important
      IT IS IMPORTANT TO HEARTILY FOLLOW THE TEN (10) GOLDEN RULES
      FOR AGING GRACEFULLY.  (শু শোভনভাবে বাঁচা )

  1>Live in your own place to enjoy independence and privacy.
  2>Hold on to your Bank deposits and assets with yourself or your spouse.
  3>Don't depend only on your children's promise to care for you when you grow old as
      their priorities change with time.
  4>Expand your circle of friends to include those who will outlive you.
  5>Do not compare, expect nothing from other.
  6>Do not use meddle in the life of your children. Let them live Their life not your's.
  7>Do not use old age as your shield and justification to demand care, respect and
      attention.
  8>Listen to what other say but think and act independently.
  9>Pray but do not beg even from God. Seek His grace.
 10>And finally, Do not RETIRE FROM  LIFE.
=======================================
2>👌आर्ट ऑफ लिविंग... की कुछ अच्छी बातें 👌

👉!!जीवन में आने वाली हर चुनौती को स्वीकार करे।👈
👆अपनी पसंद की चीजों के लिये खर्चा करें।👆
👆इतना हंसिये के पेट दर्द हो जाये।👆
👆आप कितना भी बुरा नाचते हो ,फिर भी नाचिये।उस खुशी को महसूस किजिये।👆
👆फोटोज् के लिये पागलों वाली पोज् दिजिये।बिल्कुल छोटे बच्चे बन जाइये।👆

👌हर पल को खुशी से जीने को ही जिंदगी कहते है।👌
👆"जिंदगी है छोटी," हर पल में खुश रहो👆
👆काम में खुश रहो,"आराम में खुश रहो👆
👉"आज पनीर नहीं," दाल में ही खुश रहो👈
👆"आज गाड़ी नहीं," पैदल ही खुश रहो 👆
👆"जिस को देख नहीं सकते," उसकी आवाज से ही खुश रहो👆
👉"जिसको पा नहीं सकते,"उसको सोच कर ही खुश रहो👈

👌"बीता हुआ कल जा चुका है," उसकी मीठी याद में ही खुश रहो👌
👆"आने वाले कल का पता नहीं," इंतजार में ही खुश रहो 👆
😄"हंसता हुआ बीत रहा है पल," आज में ही खुश रहो😄

👍"जिंदगी है छोटी," हर हाल में खुश रहो👍
👉अगर दिल को छुआ हो तो जवाब दो, वरना बिना जवाब के भी खुश रहो 👈
======================================================
3>तजुर्बे ने ये 9 बातें सिखाई है---

🙏आप भी ज़रूर पढ़ें ||🙏
🍒(1) आजकल लोग समझते 'कम' और समझाते 'ज्यादा' हैं,
तभी तो मामले सुलझते 'कम' उलझते 'ज्यादा' हैं!

🍒(2) ज़ुबान की हिफाज़त,
दौलत से ज्यादा मुश्किल है !

🍒(3) गरीबों का मज़ाक मत उड़ाओ,
क्युँकि गरीब होने में वक्त नहीं लगता !

🍒(4) अगर प्राथना नहीं कर सकते,, तो गुनाह भी मत करो !

🍒(5) दुनिया ये नहीं देखती कि तुम पहले क्या थे,,
बल्कि ये देखती है कि तुम अब क्या हो !

🍒(6) जहां अपनी बात की कदर ना हो,
वहां चुप रहना ही बेहतर है !

🍒(7) धनवान वह नहीं, जिसकी तिजोरी नोटों से भरी हो ,,
धनवान तो वो हैं जिसकी तिजोरी रिश्तों से भरी हो !

🍒(8) लोगों से मिलते वक्त इतना मत झुको,,
कि उठते वक्त सहारा लेना पड़े !

🍒(9) शिकायते तो बहुत है तुझसे ऐ जिन्दगी,
पर चुप इसलिये हु कि,
जो दिया तूने,
वो भी बहुतो को नसीब नहीं होता!..
=====================================================
4>শ্দ্বার্থ =এবং তাত্ত্বিক বিষয়।
             হৃষীকেশ=
"হৃষীকেশ " শব্দের সুন্দর দুটি ব্যাখ্যা --
1>হৃষীকেশ--হৃষীক  মানে ইন্দ্রিয় ,ইন্দ্রিয় বর্গের ( পাঁচ জ্ঞানেন্দ্রিয়, পাঁচ কর্মেন্দ্রিয়,
মন , বুদ্ধি ,চিত্ত,অহংকার ) কর্তা ,স্বামী বা ইশ্বর -হৃষীকের ঈশ তাই তিনি হৃষীকেশ।
(ঈশ=ইশ্বর,দেবতা ,প্রভু, স্বামী। হৃষীক=ইন্দ্রিয় )
গীতাতে স্পষ্ট ভাবে শ্রী ভগবান বলেছেন ,"ক্ষেত্রজ্ঞঞ্চাপি  মাংবিদ্ধি  সর্বক্ষেত্রেষু ভারত "-
সকল ক্ষেত্রেরই দ্রষ্টা ক্ষেত্রজ্ঞ এক। ক্ষেত্রজ্ঞ ক্ষেত্র থেকে পৃথক ,স্বতন্ত্র। আমাকে সেই ক্ষেত্রজ্ঞ
বলে জানবে। ক্ষেত্র অর্থাৎ দেহ ক্ষেত্রের স্বামী ক্ষেত্রজ্ঞ।

2>মহাভারতের শান্তি পর্ব থেকে আরও একটি "হৃষীকেশ " শব্দের ব্যাখ্যা এনেছেন ভাষ্যকার।
ব্যাখ্যাটি চিত্রকল্পের মতো সরজ  সরল অভিনব। কবির কল্পনায় সূর্য এবং চন্দ্রমার বিচ্ছুরিত
কিরণ মালা যেন স্রষ্টার কেশের মতো ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত বিশ্বে ,দিনে,রাত্রে,নিত্য় প্রভাতে সূর্যের
কেশসদৃশ  কিরণ মালা জাগিয়ে তোলে সংসারকে, নিশীথে চন্দ্রমার কেশরাশির স্নিগ্ধ স্পর্শে ঘুমিয়ে
পড়ে জগৎ, সংসারকে "হৃষ্ট" করে বা প্রফুল্লিত ( হৃষ ধাতু হর্ষ অর্থে ) করে।  "হৃষ্ট ওই কেশ যাঁর
তিনি হৃষীকেশ অর্থাৎ বহুব্রীহী সমাস অনুসারে নারায়ণ হচ্ছেন হৃষীকেশ। "
=====================================================================
বিশ্বকর্মা ---                                                                                            ম্
          এই জগৎ বা বিশ্বরূপ কর্ম যাঁর তিনি বিশ্বকর্মা।
অথবা তিনি বিচিত্র্রনির্মাণ শক্তিতে সম্পন্ন বলে নিরন্তর তাঁর কর্ম ,বিচিত্র তাঁর কর্ম। গীতায় ভগবান বলেছেন , তিন লোকে (তিন কালেও ) তঁর কোনও কর্তব্য নেই ,কোনও অপ্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তব্য ও নেই ,তবু নিরন্তর কর্মে তিনি অতন্ত্রিত।
=====================================================================
শ্রী ভগবান অর্জুনকে বলেছেন--এই  জগৎ "দুঃখালয়ম্ "অর্থাৎ দুঃখের আগার এবং "অশাশ্বতম্ "
অর্থাৎ ক্ষনস্থায়ী। এই দুটি বিশেষণের মাধ্যমে তিনি জগতের স্বরূপকে বোঝাতে চাইছেন। পার্থিব
স্বরূপকে বোঝাতে চাইছেন। পার্থিব জগতের যে -কোনও সুখই অত্যন্ত ক্ষনস্থায়ী ,তা কখনই
মানুষেকে স্থায়ী আনন্দ দেয়না।
স্বামী বিবেকানন্দের কথায় -সুখ সর্বদাই মানুষের জীবনে দুঃখের মুকুট পরে আসে। অর্থাৎ সুখ ও
দুঃখ পরস্পর ওতপ্রোত। একটি নিলেই অপরটিকে ও নিতে হবে। যেমন টাকার এপিঠ, ওপিঠ। এই জন্য়ই বেদের ঋষিগণ বলেছেন ,"ভূমৈবসুখং নাল্পে সুখমস্তি।" ভূমাতেই  প্রকৃত সুখ বা আনন্দ অল্পে অর্থাৎ নশ্বর পার্থিব কোনও কিছুতেই স্থায়ী সুখ নেই।
========================================================================




fallow=Diary No-MBCo-2016// ( 1 )=Page No-245







Tuesday, January 26, 2016

10>मंत्र-तंत्र केशुभ समय++दुरूपयोग हानि++कई तरह यंत्रों++ डाकिनी++ दुःख दारिद्रय निवारक64 योगिनी तंत्र++चंडिका प्रयोग:-

10>आ =Post=10>***मंत्र-तंत्र***( 1 to 8 )

1---------जानें मंत्र-तंत्र के राजमंत्र साधना में शुभ समय का रखें ध्यान
2-------- तन्त्र समाधान देता है.उलझाता नहीं इसका दुरूपयोग हानि देता है फायदा नही .
3---------हमारे हिन्दू धर्म ग्रंथो में कई तरह के यंत्रों के बारे में बताया गया है
4--------डाकिनी :: एक प्रचंड शक्ति
5--------दुःख दारिद्रय निवारक चमत्कारी उपाय ==64 योगिनी तंत्र:-
6--------चंडिका प्रयोग
7---------तंत्र, मंत्र, यंत्र और योग साधना का लाभ..
8---------काले जादू और बुरी नजर से बचाती है ये साधारण लगने वाली चीजे
9----------गुंजा=श्वेत कुच, लाल कुच


*********************************************************************************
তন্ত্র = মন্ত্র

1>जानें मंत्र-तंत्र के राजमंत्र साधना में शुभ समय का रखें ध्यान

मंत्र शब्द का अर्थ असीमित है। वैदिक ऋचाओं के प्रत्येक छन्द भी मंत्र कहे जाते हैं। तथा देवी-देवताओं की स्तुतियों व यज्ञ हवन में निश्चित किए गए शब्द समूहों को भी मंत्र कहा जाता है। तंत्र शास्त्र में मंत्र का अर्थ भिन्न है। तंत्र शास्त्रानुसार मंत्र उसे कहते हैं जो शब्द पद या पद समूह जिस देवता या शक्ति को प्रकट करता है वह उस देवता या शक्ति का मंत्र कहा जाता है।

विद्वानों द्वारा मंत्र की परिभाषाएँ निम्न प्रकार भी की गई हैं।

1. धर्म, कर्म और मोक्ष की प्राप्ति हेतु प्रेरणा देने वाली शक्ति को मंत्र कहते हैं।

2. देवता के सूक्ष्म शरीर को या इष्टदेव की कृपा को मंत्र कहते हैं। (तंत्रानुसार)

3. दिव्य-शक्तियों की कृपा को प्राप्त करने में उपयोगी शब्द शक्ति को मंत्र कहते हैं।

4. अदृश्य गुप्त शक्ति को जागृत करके अपने अनुकूल बनाने वाली विधा को मंत्र कहते हैं। (तंत्रानुसार)

5. इस प्रकार गुप्त शक्ति को विकसित करने वाली विधा को मंत्र कहते हैं।

मंत्र साधना के समय

मंत्र साधना के लिए निम्नलिखित विशेष समय, माह, तिथि एवं नक्षत्र का ध्यान रखना चाहिए।

1. उत्तम माह - साधना हेतु कार्तिक, अश्विन, वैशाख माघ, मार्गशीर्ष, फाल्गुन एवं श्रावण मास उत्तम होता है।

2. उत्तम तिथि - मंत्र जाप हेतु पूर्णिमा़, पंचमी, द्वितीया, सप्तमी, दशमी एवं ‍त्रयोदशी तिथि उत्तम होती है।

3. उत्तम पक्ष - शुक्ल पक्ष में शुभ चंद्र व शुभ दिन देखकर मंत्र जाप करना चाहिए।

4. शुभ दिन - रविवार, शुक्रवार, बुधवार एवं गुरुवार मंत्र साधना के लिए उत्तम होते हैं।

5. उत्तम नक्षत्र - पुनर्वसु, हस्त, तीनों उत्तरा, श्रवण रेवती, अनुराधा एवं रोहिणी ‍नक्षत्र मंत्र सिद्धि हेतु उत्तम होते हैं।

मंत्र साधना में साधन आसन एवं माला की विशेषताएँ

आसन - मंत्र जाप के समय कुशासन, मृग चर्म, बाघम्बर और ऊन का बना आसन उत्तम होता है।

माला - रुद्राक्ष, जयन्तीफल, तुलसी, स्फटिक, हाथीदाँत, लाल मूँगा, चंदन एवं कमल की माला से जाप सिद्ध होते हैं। रुद्राक्ष की माला सर्वश्रेष्ठ होती है।
=====================================================
2> तन्त्र समाधान देता है.उलझाता नहीं इसका दुरूपयोग हानि देता है फायदा नही ..

प्रयोग मात्र विश्वास पर आधारित.....
सरल लेकिन शक्तिशाली गोपनीय मंत्र

तंत्र विद्या गोपनीय और रहस्यमयी होती है। हर किसी को यह फलीभूत भी नहीं होती। तामसिक प्रवृत्तियों वाले व्यक्तियों को इससे दूर रहने की ही सलाह दी गई है। जो लोग सात्विकता के साथ इन्हें आजमाते हैं उन्हें यह अवश्य लाभ प्रदान करती है। कुछ मंत्र स्वयं की रक्षा के लिए वर्णित हैं, तो कुछ मंत्र आकर्षण शक्ति बढ़ाने के लिए। प्रस्तुत है कुछ चमत्कारी अचूक मंत्र-

शक्तिशाली आत्मरक्षा मंत्र

'ॐ क्षीं क्षीं क्षीं क्षीं क्षीं फट्'

प्रयोग विधि- उपरोक्त मंत्र का नित्य 500 बार जप करने से साधक को समस्त सुख प्राप्त होते हैं और आत्मभय दूर होकर व्यक्ति ‍'निर्भय' हो जाता है।

स्त्री सौभाग्यवर्धक मंत्र

ॐ ह्रीं कपालिनि कुल कुण्डलिनि मे सिद्धि देहि भाग्यं देहि देहि स्वाहा।।

प्रयोग विधि- यह मंत्र कृष्ण पक्ष की चौदस से प्रारंभ करके अगले महीने की कृष्ण पक्ष की तेरस तक- यानी एक मास तक नित्य एक हजार एक बार जाप करने से स्त्रियों की समस्त आधि-व्याधियां दूर होती हैं और स्त्री पति, पुत्र, परिवार आदि की प्रिय हो जाती है।

चोर भयहरण मंत्र

ॐ करालिनि स्वाहा ॐ कपालिनि स्वाहा चोर बंधय ठ: ठ: ठ:।।

प्रयोग विधि- यह मंत्र 108 बार जाप करने से सिद्धि होती है। प्रयोग के समय 7 बार मंत्र पढ़कर थोड़ी सी मिट्टी द्वार पर की भूमि में गाड़ दे तो भवन में चोर घुसने का भय नहीं रहता।।

धन सहित चोर पकड़ने का मंत्र

ॐ ध्रूमाजक हुंकार स्फटिका दह दह ॐ

प्रयोग विधि- मंगलवार या रविवार क दिन कर्मटिका वृक्ष के नीचे मृगासन पर बैठकर गोधूली की लकड़ी जलाएं। सरसों तथा गुग्गल से उपरोक्त मंत्र पढ़ते हुए हवन करने से चोरी किए धन सहित चोर वापस आ जाता है।यह साधको की मान्यता है ..


वशीकरण मंत्र


सबसे पहला मंत्र मोहन और सम्मोहन के सबसे बड़े देवता अर्थात् श्रीकृष्ण का है. मंत्र है-

ॐ क्लीं कृष्णाय नमः

अगर आप किसी व्यक्ति को ध्यान में रखकर और सकंल्प के साथ कहते हैं कि - हे प्रभु! आपकी कृपा से यह व्यक्ति मेरे वश में हो जाये क्योंकि मुझे स्वयं को सही साबित करने का और कोई साधन नही है. ऐसा संकल्प लेकर भगवान श्रीकृष्ण के संमुख कहेंगे तो निश्चित ही आपको लाभ मिलेगा. जिस किसी व्यक्ति को सम्मोहित करना चाहते हैं, अपनी तरफ़ करना चाहते हैं हो जायेगा.

दूसरा मंत्र भगवान नारायण का है-

ॐ नमो नारायणाय सर्व लोकन मम वश्य कुरु कुरु स्वहा.

अर्थात् हे प्रभु नारायण आपकी कृपा से सर्वलोक को वशीकरण करने की शक्ति मुझमे आ जाये. (सर्वलोक की जगह उस व्यक्ति का भी नाम लिया जा सकता है जिसे सम्मोहित करना हो) वह अवश्य आपके प्रति आकर्षित होगा.
तीसरा मंत्र दुर्गासप्तशती से है-

ज्ञानिनामपि चेतान्शी देवी भगवति हि सा

बलादाsकृष्य मोहाय महामाया प्रयच्क्षति.

इस अत्यधिक चमत्कारिक मंत्र का 40 दिन तक नियमित रुप से 108 बार जाप करना है. यह मंत्र इतना प्रभावशाली है कि इसका जाप होते ही कितना भी ज्ञानी, विद्वान व्यक्ति क्यों न हो आपके नियंत्रण में आ जायेगा.


चौथा भी एक प्रयोग ही है. इसके लिये -

कही भी जाते समय मोर की कलगी पीले रेशमी वस्त्र में बाँधकर अपने साथ रख लें.

इससे सम्मोहन और आकर्षण की शक्ति बढ़ती है. अथवा

श्वेत अपामार्ग की जड़ को घिसकर माथे पर तिलक लगायें.

इससे भी आपके अन्दर जो सम्मोहन की शक्ति है, उसमे निरन्तर वृद्धि होती है.

पांचवा एक प्रयोग है जिसको करने से केवल एक व्यक्ति ही नही पूरी-पूरी सभा को सम्मोहित किया जा सकता है. इसके लिये आपको करना यह है कि-

तुलसी के चूर्ण में सहदेई के रस को मिलाकर माथे पर तिलक करें.

यदि ऐसा तिलक करके आप किसी सभा अथवा पार्टी में जाते हैं तो सभी आपसे इम्प्रेस रहेंगे. यदि आप किसी एक व्यक्ति को ही आकर्षित करना चाहते हैं तो भी उसके संमुख यही टीका लगाकर जायें. वह अवश्य आपके नियंत्रण में आ जायेगा.
================================
3>हमारे हिन्दू धर्म ग्रंथो में कई तरह के यंत्रों के बारे में बताया गया है

हमारे हिन्दू धर्म ग्रंथो में कई तरह के यंत्रों के बारे में बताया गया है जैसे हनुमान प्रश्नावली चक्र, नवदुर्गा प्रश्नावली चक्र, राम श्लोकी प्रश्नावली, श्रीगणेश प्रश्नावली चक्र आदि। इन यंत्रों की सहायता से हम अपने मन में उठ रहे सवाल, हमारे जीवन में आने वाली कठिनाइयों आदि का समाधान पा सकते है। इन्ही में से एक श्रीगणेश प्रश्नावली यंत्र के बारे में आज आपको बता रहे है।

हिंदू धर्म में भगवान श्रीगणेश को प्रथम पूज्य माना गया है अर्थात सभी मांगलिक कार्यों में सबसे पहले श्रीगणेश की ही पूजा की जाती है। श्रीगणेश की पूजा के बिना कोई भी शुभ कार्य नहीं किया जाता। श्रीगणेश प्रश्नावली यंत्र के माध्यम से आप अपने जीवन की परेशानियों व सवालों का हल आसानी से पा सकते हैं। यह बहुत ही चमत्कारी यंत्र है।

उपयोग विधि

जिसे भी अपने सवालों का जवाब या परेशानियों का हल जानना है वो पहले पांच बार ऊँ नम: शिवाय: मंत्र का जप करने के बाद 11 बार ऊँ गं गणपतयै नम: मंत्र का जप करें। इसके बाद आंखें बंद करके अपना सवाल पूछें और भगवान श्रीगणेश का स्मरण करते हुए प्रश्नावली चक्र पर कर्सर घुमाते हुए रोक दें। जिस कोष्ठक(खाने) पर कर्सर रुके, उस कोष्ठक में लिखे अंक के फलादेश को ही अपने अपने प्रश्न का उत्तर समझें।

1- आप जब भी समय मिले राम नाम का जप करें। आपकी मनोकामना अवश्य पूरी होगी।
2- आप जो कार्य करना चाह रहे हैं, उसमें हानि होने की संभावना है। कोई दूसरा कार्य करने के बारे में विचार           करें। गाय को चारा खिलाएं।
3- आपकी चिंता दूर होने का समय आ गया है। कष्ट मिटेंगे और सफलता मिलेगी। आप रोज पीपल की पूजा            करें।
4- आपको लाभ प्राप्त होगा। परिवार में वृद्धि होगी। सुख संपत्ति प्राप्त होने के योग भी बन रहे हैं। आप कुल              देवता की पूजा करें।
5- आप शनिदेव की आराधना करें। व्यापारिक यात्रा पर जाना पड़े तो घबराएं नहीं। लाभ ही होगा।
6- रोज सुबह भगवान श्रीगणेश की पूजा करें। महीने के अंत तक आपकी सभी मनोकामनाएं पूरी हो जाएंगी।
7- पैसों की तंगी शीघ्र ही दूर होगी। परिवार में वृद्धि होगी। स्त्री से धन प्राप्त होगा।
8- आपको धन और संतान दोनों की प्राप्ति के योग बन रहे हैं। शनिवार को शनिदेव की पूजा करने से आपको           लाभ होगा।
9- आपकी ग्रह दिशा अनुकूल चल रही है। जो वस्तु आपसे दूर चली गई है वह पुन: प्राप्त होगी।
10- शीघ्र ही आपको कोई प्रसन्नता का समाचार मिलने वाला है। आपकी मनोकामना भी पूरी होगी। प्रतिदिन              पूजन करें।
11- यदि आपको व्यापार में हानि हो रही है तो कोई दूसरा व्यापार करें। पीपल पर रोज जल चढ़ाएं। सफलता             मिलेगी।
12- राज्य की ओर से लाभ मिलेगा। पूर्व दिशा आपके लिए शुभ है। इस दिशा में यात्रा का योग बन सकता है।              मान-सम्मान प्राप्त होगा।
13- कुछ ही दिनों बाद आपका श्रेष्ठ समय आने वाला है। कपड़े का व्यवसाय करेंगे तो बेहतर रहेगा। सब कुछ            अनुकूल रहेगा।
14- जो इच्छा आपके मन में है वह पूरी होगी। राज्य की ओर से लाभ प्राप्ति का योग बन रहा है। मित्र या भाई से          मिलाप होगा।
15- आपके सपने में स्वयं को गांव जाता देंखे तो शुभ समाचार मिलेगा। पुत्र से लाभ मिलेगा। धन प्राप्ति के योग            भी बन रहे हैं।
16- आप देवी मां पूजा करें। मां ही सपने में आकर आपका मार्गदर्शन करेंगी। सफलता मिलेगी।
17- आपको अच्छा समय आ गया है। चिंता दूर होगी। धन एवं सुख प्राप्त होगा।
18- यात्रा पर जा सकते हैं। यात्रा मंगल, सुखद व लाभकारी रहेगी। कुलदेवी का पूजन करें।
19- आपके समस्या दूर होने में अभी करीब डेढ़ साल का समय शेष है। जो कार्य करें माता-पिता से पूछकर करें।         कुल देवता व ब्राह्मण की सेवा करें।
20- शनिवार को शनिदेव का पूजन करें। गुम हुई वस्तु मिल जाएगी। धन संबंधी समस्या भी दूर हो जाएगी।
21- आप जो भी कार्य करेंगे उसमें सफलता मिलेगी। विदेश यात्रा के योग भी बन रहे हैं। आप श्रीगणेश का पूजन         करें।
22- यदि आपके घर में क्लेश रहता है तो रोज भगवान की पूजा करें तथा माता-पिता की सेवा करें। आपको शांति        का अनुभव होगा।
23- आपकी समस्याएं शीघ्र ही दूर होंगी। आप सिर्फ आपके काम में मन लगाएं और भगवान शंकर की पूजा              करें।
24- आपके ग्रह अनुकूल नहीं है इसलिए आप रोज नवग्रहों की पूजा करें। इससे आपकी समस्याएं कम होंगी              और लाभ मिलेगा।
25- पैसों की तंगी के कारण आपके घर में क्लेश हो रहा है। कुछ दिनों बाद आपकी यह समस्या दूर जाएगी।              आप मां लक्ष्मी का पूजन रोज करें।
26- यदि आपके मन में नकारात्मक विचार आ रहे हैं तो उनका त्याग करें और घर में भगवान सत्यनारायण का            कथा करवाएं। लाभ मिलेगा।
27- आप जो कार्य इस समय कर रहे हैं वह आपके लिए बेहतर नहीं है इसलिए किसी दूसरे कार्य के बारे में                विचार करें। कुलदेवता का पूजन करें।
28- आप पीपल के वृक्ष की पूजा करें व दीपक लगाएं। आपके घर में तनाव नहीं होगा और धन लाभ भी होगा।
29- आप प्रतिदिन भगवान विष्णु, शंकर व ब्रह्मा की पूजा करें। इससे आपको मनचाही सफलता मिलेगी और घर        में सुख-शांति रहेगी।
30- रविवार का व्रत एवं सूर्य पूजा करने से लाभ मिलेगा। व्यापार या नौकरी में थोड़ी सावधानी बरतें। आपको              सफलता मिलेगी।
31- आपको व्यापार में लाभ होगा। घर में खुशहाली का माहौल रहेगा और सबकुछ भी ठीक रहेगा। आप छोटे             बच्चों को मिठाई बांटें।
32- आप व्यर्थ की चिंता कर रहे हैं। सब कुछ ठीक हो रहा है। आपकी चिंता दूर होगी। गाय को चारा खिलाएं।
33- माता-पिता की सेवा करें, ब्राह्मण को भोजन कराएं व भगवान श्रीराम की पूजा करें। आपकी हर अभिलाषा            पूरी होगी।
34- मनोकामनाएं पूरी होंगी। धन-धान्य एवं परिवार में वृद्धि होगी। कुत्ते को तेल चुपड़ी रोटी खिलाएं।
35- परिस्थितियां आपके अनुकूल नहीं है। जो भी करें सोच-समझ कर और अपने बुजुर्गो की राय लेकर ही करें।          आप भगवान दत्तात्रेय का पूजन करें।
36- आप रोज भगवान श्रीगणेश को दुर्वा चढ़ाएं और पूजन करें। आपकी हर मुश्किल दूर हो जाएंगी। धैर्य बनाएं           रखें।
37- आप जो कार्य कर रहे हैं वह जारी रखें। आगे जाकर आपको इसी में लाभ प्राप्त होगा। भगवान विष्णु का              पूजन करें।
38- लगातार धन हानि से चिंता हो रही है तो घबराइए मत। कुछ ही दिनों में आपके लिए अनुकूल समय आने              वाला है। मंगलवार को हनुमानजी को सिंदूर अर्पित करें।
39- आप भगवान सत्यनारायण की कथा करवाएं तभी आपके कष्टों का निवारण संभव है। आपको सफलता भी          मिलेगी।
40- आपके लिए हनुमानजी का पूजन करना श्रेष्ठ रहेगा। खेती और व्यापार में लाभ होगा तथा हर क्षेत्र में सफलता        मिलेगी।
41- आपको धन की प्राप्ति होगी। कुटुंब में वृद्धि होगी एवं चिंताएं दूर होंगी। कुलदेवी का पूजन करें।
42- आपको शीघ्र सफलता मिलने वाली है। माता-पिता व मित्रों का सहयोग मिलेगा। खर्च कम करें और गरीबों            का दान करें।
43- रुका हुआ कार्य पूरा होगा। धन संबंधी समस्याएं दूर होंगी। मित्रों का सहयोग मिलेगा। सोच-समझकर                  फैसला लें। श्रीकृष्ण को माखन-मिश्री का भोग लगाएं।
44- धार्मिक कार्यों में मन लगाएं तथा प्रतिदिन पूजा करें। इससे आपको लाभ होगा और बिगड़ते काम बन                  जाएंगे।
45- धैर्य बनाएं रखें। बेकार की चिंता में समय न गवाएं। आपको मनोवांछित फल की प्राप्ति होगी। ईश्वर का               चिंतन करें।
46- धार्मिक यात्रा पर जाना पड़ सकता है। इसमें लाभ मिलने की संभावना है। रोज गायत्री मंत्र का जप करें।
47- प्रतिदिन सूर्य को अध्र्य दें और पूजन करें। आपको शत्रुओं का भय नहीं सताएगा। आपकी मनोकामना पूरी            होगी।
48- आप जो कार्य कर रहे हैं वही करते रहें। पुराने मित्रों से मुलाकात होगी जो आपके लिए फायदेमंद रहेगी।               पीपल को रोज जल चढ़ाएं।
49- अगर आपकी समस्या आर्थिक है तो आप रोज श्रीसूक्त का पाठ करें और लक्ष्मीजी का पूजा करें। आपकी             समस्या दूर होगी।
50- आपका हक आपको जरुर मिलेगा। आप घबराएं नहीं बस मन लगाकर अपना काम करें। रोज पूजा अवश्य         करें।
51- आप जो व्यापार करना चाहते हैं उसी में सफलता मिलेगी। पैसों के लिए कोई गलत कार्य न करें। आप रोज          जरुरतमंद लोगों को दान-पुण्य करें।
52- एक महीने के अंदर ही आपकी मुसीबतें कम हो जाएंगी और सफलता मिलने लगेगी। आप कन्याओं को              भोजन कराएं।
53- यदि आप विदेश जाने के बारे में सोच रहे हैं तो अवश्य जाएं। इसी में आपको सफलता मिलेगी। आप                   श्रीगणेश का आराधना करें।
54- आप जो भी कार्य करें किसी से पुछ कर करें अन्यथा हानि हो सकती है। विपरीत परिस्थिति से घबराएं नहीं।           सफलता अवश्य मिलेगी।
55- आप मंदिर में रोज दीपक जलाएं, इससे आपको लाभ मिलेगा और मनोकामना पूरी होगी।
56- परिजनों की बीमारी के कारण चिंतित हैं तो रोज महामृत्युंजय मंत्र का जप करें। कुछ ही दिनों में आपकी यह        समस्या दूर हो जाएगी।
57- आपके लिए समय अनुकूल नहीं है। अपने कार्य पर ध्यान दें। प्रमोशन के लिए रोज गाय को रोटी खिलाएं।
58- आपके भाग्य में धन-संपत्ति आदि सभी सुविधाएं हैं। थोड़ा धैर्य रखें व भगवान में आस्था रखकर लक्ष्मीजी को         नारियल चढ़ाएं।
59- जो आप सोच रहे हैं वह काम जरुर पूरा होगा लेकिन इसमें किसी का सहयोग लेना पड़ सकता है। आप              शनिदेव की उपासना करें।
60- आप अपने परिजनों से मनमुटाव न रखें तो ही आपको सफलता मिलेगी। रोज हनुमानजी के मंदिर में                  चौमुखी दीपक लगाएं।
61- यदि आप अपने करियर को लेकर चिंतित हैं तो श्रीगणेश की पूजा करने से आपको लाभ मिलेगा।
62- आप रोज शिवजी के मंदिर में जाकर एक लोटा जल चढ़ाएं और दीपक लगाएं। आपके रुके हुए काम हो               जाएंगे।
63- आप जिस कार्य के बारे में जानना चाहते हैं वह शुभ नहीं है उसके बारे में सोचना बंद कर दें। नवग्रह की पूजा        करने से आपको सफलता मिलेगी।
64- आप रोज आटे की गोलियां बनाकर मछलियों को खिलाएं। आपकी हर समस्या का निदान स्वत: ही हो                जाएगा।

1 = 2 = 3 = 4 = 5 = 6 = 7 = 8


16= 15= 14 = 13 = 12 = 11 =10 = 9


17 =18 = 19 = 20 = 21 = 22 =23 = 24


32 =31 = 30 = 29 = 28 = 27 =26 = 25


33 =34 = 35 = 36 = 37 = 38 =39 = 40


48 =47 = 46 = 45 = 44 = 43 =42 = 41


49 =50 = 51 = 52 = 53 = 54 =55 = 56


64 =63 = 62 =61 = 60 = 59 =58 = 57
===========================
4>डाकिनी :: एक प्रचंड शक्ति

तंत्र जगत में डाकिनी का नाम अति प्रचलित है |सामान्यजन भी इस नाम से परिचित हैं |डाकिनी नाम आते ही एक उग्र स्वरुप की भावना मष्तिष्क में उत्पन्न होती है |अथवा एक भयानक स्वरुप और गुण की महिला की आकृति उभरती है जो पैशाचिक गुण रखती है |वास्तव में यह ऊर्जा का एक अति उग्र स्वरुप है अपने सभी रूपों में |डाकिनी की कई परिभाषाएं हैं |डाकिनी का अर्थ है --ऐसी शक्ति जो "डाक ले जाए "|यह ध्यान रखले लायक है की प्राचीनकाल से और आज भी पूर्व के देहातों में डाक ले जाने का अर्थ है -चेतना का किसी भाव की आंधी में पड़कर चकराने लगना और सोचने समझने की क्षमता का लुप्त हो जाना |यह शक्ति मूलाधार के शिवलिंग का भी आधार है |
तंत्र में काली को भी डाकिनी कहा जाता है यद्यपि डाकिनी काली की शक्ति के अंतर्गत आने वाली एक अति उग्र शक्ति है |यह काली की उग्रता का प्रतिनिधित्व करती हैं और इनका स्थान मूलाधार के ठीक बीच में माना जाता है |डाकिनी पृथ्वी की सतह पर क्रियाशील शक्तियों में से सर्वाधिक शक्तिशाली एक शक्ति है जबकि काली ब्रह्माण्ड की सर्वाधिक शक्तिशाली शक्तियों में से एक |डाकिनी ,काली का पृथ्वी की सतह पर एक स्वरुप है जो उनकी समस्त उग्रता के साथ उपस्थित है |यह प्रकृति की सर्वाधिक उग्र शक्ति है |यह समस्त विध्वंश और विनाश की मूल हैं ,|इन्ही के कारण काली को अति उग्र देवी कहा जाता है जबकि काली सम्पूर्ण सृष्टि की उत्पत्ति की भी मूल देवी हैं |

जिस प्रकार भैरव एक उग्र शक्ति हैं उसी तरह समान ऊर्जा स्त्री रूप में डाकिनी के पास है |यह कहा जाए की यह और अधिक उग्र है तो अतिशयोक्ति नहीं होगी |इसलिए इसकी साधना की हिम्मत कोई कोई ही साधक जूता पाता है और गलतियों पर अथवा शक्ति सँभालने की क्षमता न होने पर ख़तरा हो जाता है |वैसे भी यह खुद को जल्दी किसी के नियंत्रण में नहीं आने देती और तीब्र प्रतिक्रिया करती है |तंत्र में डाकिनी की साधना स्वतंत्र रूप से भी होती है और माना जाता है की यदि डाकिनी सिद्ध हो जाए तो काली की सिद्धि आसान हो जाती है और काली की सिद्धि अर्थात मूलाधार की सिद्धि हो जाए तो अन्य चक्र अथवा अन्य देवी-देवता आसानी से सिद्ध हो सकते हैं कम प्रयासों में |इस प्रकार सर्वाधिक कठिन डाकिनी नामक काली की शक्ति की सिद्धि ही है |

डाकिनी नामक देवी की साधना अघोरपंथी तांत्रिकों की प्रसिद्द साधना है |हमारे अन्दर क्रूरता ,क्रोध ,अतिशय हिंसात्मक भाव ,नख और बाल आदि की उत्पत्ति डाकिनी की शक्ति से अर्थात तरंगों से होती है |डाकिनी की सिद्धि पर व्यक्ति में भूत-भविष्य-वर्त्तमान जानने की क्षमता आ जाती है ,किसी को नियंत्रित करने की क्षमता ,वशीभूत करने की क्षमता आ जाती है |यह साधक की रक्षा करती है और मार्गदर्शन भी |यह डाकिनी साधक के सामने लगभग काली के ही रूप में अवतरित होती है और स्वरुप उग्र हो सकता है |इस रूप में माधुर्य-कोमलता का अभाव होता है |सिद्धि के समय यह पहले साधक को डराती है ,फिर तरह तरह के मोहक रूपों में भोग के लिए प्रेरित करती है[यद्यपि मूल रूप से यह उग्र और क्रूर शक्ति है ,भ्रम उत्पन्न और लालच के लिए ऐसा कर सकती है ] ,इसके भय और प्रलोभन से बच गए तो सिद्ध हो सकती है |मस्तिष्क को शून्यकर इसके भाव में डूबे बिना यह सिद्ध नहीं होती |इसमें और काली में व्यावहारिक अंतर है जबकि यह काली के अंतर्गत ही आती है |इसे जगाना पड़ता है जबकि काली एक जाग्रत देवी हैं |डाकिनी की साधना में कामभाव की पूर्णतया वर्जना होती है |

तंत्र जगत में एक और डाकिनी की साधना होती है जो अधिकतर वाममार्ग में साधित होती है |यह डाकिनी प्रकृति [पृथ्वी] की ऋणात्मक ऊर्जा से उत्पन्न एक स्थायी गुण है और निश्चित आकृति में दिखाई देती है |इसका स्वरुप सुन्दर और मोहक होता है |यह पृथ्वी पर स्वतंत्र शक्ति के रूप में पाई जाती है |इसकी साधना अघोरियों और कापालिकों में अति प्रचलित है |यह बहुत शक्तिशाली शक्ति है और सिद्ध हो जाने पर साधक की राह बेहद आसान हो जाती है ,यद्यपि साधना में थोड़ी सी चूक होने अथवा साधक के साधना समय में थोडा सा भी कमजोर पड़ने पर उसे ख़त्म कर देती है |यह भूत-प्रेत-पिशाच-ब्रह्म-जिन्न आदि से उन्नत शक्ति होती है |यह कभी-कभी खुद किसी पर कृपा कर सकती है और कभी किसी पर स्वयमेव आसक्त भी हो सकती है |तंत्र कहानियों में इसके किन्ही व्यक्तियों पर आसक्त होने ,विवाह करने और संतान तक उत्पन्न करने की कथाएं मिलती हैं |इसका स्वरुप एक सुन्दर ,गौरवर्णीय ,तीखे नाक नक्श [नाक कुछ लम्बी ]वाली युवती की होती है जो काले कपडे में ही अधिकतर दिखती है |काशी के तंत्र जगत में इसकी साधना ,विचरण और प्रभाव का विवरण मिलता है |इस शक्ति को केवल वशीभूत किया जा सकता है ,इसको नष्ट नहीं किया जा सकता ,यह सदैव व्याप्त रहने वाली शक्ति है जो व्यक्ति विशेष के लिए लाभप्रद भी हो सकती है और हानिकारक भी |इसे नकारात्मक नहीं कहा जा सकता अपितु यह ऋणात्मक शक्ति ही होती है यद्यपि स्वयमेव भी प्रतिक्रिया कर सकती है |सामान्यतया यहनदी-सरोवर के किनारों , घाटों ,शमशानों, तंत्र पीठों ,एकांत साधना स्थलों आदि पर विचरण कर सकती हैं ,जो उजाले की बजाय अँधेरे में होना पसंद करती हैं |इस डाकिनी और मूलाधार की डाकिनी में अंतर होता है |

मूलाधार की डाकिनी व्यक्ति के मूलाधार से जुडी होती है ,कुंडलिनी सुप्त तो वह भी सुप्त |तंत्र मार्ग से कुंडलिनी जगाने की कोसिस पर सबसे पहले इसका ही जागरण होता है |इसकी साधना स्वतंत्र रूप से भी होती है और कुंडलिनी साधना के अलावा भी यह साधित होती है |कुंडलिनी की डाकिनी शक्ति की साधना पर प्रकृति की डाकिनी का आकर्षण हो सकता है और वह उपस्थित हो सकती है, यद्यपि प्रकृति में पाई जाने वाली डाकिनी प्रकृति की स्थायी शक्ति है जिसकी साधना प्रकृति भिन्न होती है किन्तु गुण-भाव समान ही होते हैं |इसमें अनेक मतान्तर हैं की डाकिनी की स्वतंत्र साधना पर काली से सम्बंधित डाकिनी का आगमन होता है अथवा प्रकृति की डाकिनी का ,क्योकि प्रकृति भी तो काली के ही अंतर्गत आता है |वस्तुस्थिति कुछ भी हो किन्तु डाकिनी एक प्रबल शक्ति होती है और यह इतनी सक्षम है की सिद्ध होने पर व्यक्ति की भौतिक और आध्यात्मिक दोनों ही आवश्यकताएं पूर्ण कर सकती है तथा साधना में सहायक हो मुक्ति का मार्ग प्रशस्त कर सकती है |
===================================


5> दुःख दारिद्रय निवारक चमत्कारी उपाय ==64 योगिनी तंत्र:-

उपाय के लिए रविपुष्य नक्षत्र (जिस रविवार को पुष्य नक्षत्र हो) चुनिए इस दिन कहीं सिद्ध भैरव जी के मन्दिर से उनके चरणों की कालिमा एकत्र कर लें। इसे स्याही की तरह प्रयोग करना है। एक साफ-सा आयताकार भोजपत्र ले लें। इस पत्र पर यंत्र अंकित करना है। सिरस के वृक्ष की एक लकड़ी से कलम बना लें। यह न मिले तो अनार के वृक्ष की लकड़ी से बना लें।

भोजपत्र पर शतरंज के कोष्ठकों की तरह 64 कोष्ठक बना लें। प्रत्येक कोष्ठक में क्रमशः एक-एक योगिनी का नाम अंकित कर लें। लिखने का क्रम बाएं से दाएं तथा नीचे से ऊपर की ओर रहे, इसका ध्यान रखें। यदि सक्षम हैं तो यह यंत्र तांबे, चांदी अथवा सोने की शीट पर अंकित करवाकर प्राण-प्रतिष्ठा कर लें। 64 योगिनीयों के नाम निम्न प्रकार हैं।

दिव्ययोगिनी, 2. महायोगिनी, 3. सिद्धयोगिनी, 4. गणेश्वरी, 5. प्रेताक्षी, 6. डाकिनी, 7. काली, 8. कालरात्रि, 9. निशाचरी, 10. हुंकारी, 11. रूद्रवैताली, 12. खर्परी, 13. भूतयामिनी, 14. ऊर्ध्वकेशी, 15. विरुपाक्षी, 16. शुष्कांगी, 17. मॉसभोजनी, 18. फेत्कारी, 19. वीरभद्राक्षी, 20. धूम्राक्षी, 21. कलहप्रिया, 22. रक्ता, 23. घाररक्ताक्षी, 24. विरुपाक्षी, 25. भयंकरी, 26. चौरिका, 27. मारिका, 28. चंडी, 29. वाराही, 30. मुंडधारिणी, 31. भैरवी, 32. चक्रिणी, 33. क्रोधा, 34. दुर्मुखी, 35. प्रतवाहिनी, 36. कंटकी, 37. दीर्घलंबौष्ठी, 38. मालिनी, 39. मंत्रयोगिनी, 40. कालाग्रि, 41. मोहिनी, 42. चक्री, 43. कंकाली, 44. भुवनेश्वरी, 45. कुंडलाक्षी, 46. जुही, 47. लक्ष्मी, 48. यमदूती, 49. करालिनी, 50. कौशिकी, 51. भाक्षिणी, 52. यक्षी, 53. कौमारी, 54. यंत्रवाहिनी, 55. विशाला, 56. कामुकी, 57. व्याघ्री, 58. याक्षिणी, 59. प्रेतभूषणी, 60. धूर्जटा, 61. विकटा, 62. घोरा, 63. कपाला, 64. लांगली।

कालरात्रि शुष्कांगी विरुपाक्षी चक्रिणी कालागि यमदूती कामुकी लांगली

काली विरुपाक्षी घाररक्ताक्षी भैरवी मंत्रयोगिनी लक्ष्मी विशाला कपाला

डाकिनी ऊर्ध्वकेशी रक्ता मुंडधारिणी मालिनी जुही यंत्रवाहिनी घोरा

प्रेताक्षी भूतयामिनी कलहप्रिया वाराही दीर्घलंबौष्ठी कुंडलाक्षी कौमारी विकटा

गणेश्वरी खर्परी धूम्राक्षी चंडी कंटकी भुवनेश्वरी यक्षी धूर्जटा

सिद्धयोगिनी रूद्रवैताली वीरभद्राक्षी मारिका प्रतवाहिनी कंकाली भाक्षिणी प्रेतभूषणी

महायोगिनी हुंकारी फेत्कारी चौरिका दुर्मुखी चक्री कौशिकी याक्षिणी

दिव्ययोगिनी निशाचरी मॉसभोजनी भयंकरी क्रोधा मोहिनी करालिनी व्याघ्री

यंत्र के सूखने तक प्रतीक्षा करें। जिस क्रम से नाम अंकित किए थे उसी क्रम से प्रत्येक कोष्ठक में एक चुटकी नागकेसर चढ़ाएं। यथा भक्ति यंत्र की धूप-दीप से पूजा अर्चना करें। अनामिका उंगली का पोर दबाते हुए यह उंगली अब पहले कोष्ठक में रखें तथा इसमें अंकित पहला नाम दिव्ययोगिनी 64 बार ‘‘ॐ दिव्ययोगिनी नमः’’ जपें। दूसरी बार दूसरे कोष्ठक पर उंगली रखकर 64 बार दूसरा नाम महायोगिनी जपें, ‘‘ॐ महायोगिनी नमः’’। इसी प्रकार यंत्र के प्रत्येक कोष्ठक में उंगली रखते हुए वह नाम 64-64 बार जपें। अन्त 11 माला ‘‘ॐ ऐं ह्रीं क्लीं श्री हंसौः चतुःषश्ठियोगिनोभ्यो नमः’’ जप करके यंत्र को ऐसे ही सुरक्षित रख लें। अगले दिन यंत्र बनाने की प्रक्रिया छोड़कर 64 कोष्ठकों में उंगली रखकर 64-64 बार नाम जप करें और अन्त में योगिनी महामंत्र की ग्यारह माला जप करें। यह तांत्रिक अनुष्ठान 64 दिन चलेगा। चौसठवें अर्थात् अन्तिम दिन मंत्र जप के बाद योगिनी महामंत्र की एक माला से हवन करें। हवन सामग्री में कमलगट्टे, गूगल, जौ, बताशे, घृत तथा पंचमेवा अवश्य मिला लें। इन चौसठ दिनों में नित्य गुग्गुल धूनी करें। शान्तिकुज हरिद्वार में गुग्गुल की अगरबत्ती मिलती है यह उपयोग करें तो थोड़ी सुविधा हो जाएगी। अन्तिम दिन एक, दो अथवा अधिक, अपने सामर्थ्य अनुसार सौभाग्यशाली स्त्रीयों को भोजन दक्षिणा से प्रसन्न करके उनका आशीष लें।

यंत्र को सुन्दर सा फ्रेम करवाकर अपने आवास, दुकान फैक्ट्री आदि में उत्तर दिशा वाली दीवार में रख दें अथवा टांग दें। पुष्प की माला सदैव इस यंत्र पर चढ़ी रहे। यंत्र पर चढ़े हुए नागकेसर एक लाल कपड़े में बांधकर यंत्र के पास ही रख लें। सम्भव हो तो नित्य योगिनी महामंत्र की एक माला जप करें।

आप कुछ ही समय में चमत्कारी रुप से अपने तथा अपने आस-पास के वातावरण में परिवर्तन अनुभव करने लगेगें। ऋण का भार, व्यापार अथवा अन्य कार्य का अकस्मात् बाधित हो जाना, धन संपदा के लिए लोगों से बैर, भूमि-भवन आदि के क्रय विक्रय में व्यवधान आदि अनेक बातों से आप अपने मुक्त कर शान्तिमय जीवन जीने लगेंगे।

यह उपाय सरलतम उपायों की श्रंखला में कठिन अवश्य है परन्तु यदि संयम से कर लिया जाए तो बहुत ही प्रभावशाली सिद्ध होता है। समय के अभाव में जो साधक यह करने में असमर्थ में वह यह यंत्र बनाकर रख लें तथा योगिनी महामंत्र की एक माला नित्य जप करें। पूजा के समय यंत्र को गूगुल की धूनी अवश्य दें। इस सरल उपाय से भी कई लोगों को लाभ पहुचा है। मै बार-बार लिख रहा हॅू कि लाभ के पीछे आपके प्रारब्ध का भी महत्वपूर्ण योगदान है।
==================================
6>चंडिका प्रयोग

प्रस्तुत साधना तब करे जब जीवन पूरी तरह अस्त व्यस्त हो गया हो.कोई मार्ग नज़र न आ रहा हो.दरिद्रता दिन प्रतिदिन बढ़ती जा रही हो.क्युकी ये प्रयोग मारण प्रयोग है,अरे नहीं किसी व्यक्ति का नहीं, अपने कष्टो पर भी तो मारण किया जा सकता है न

दरिद्रता,रोग,गृह क्लेश और भी न जाने क्या क्या कष्ट है जीवन में,जो आपको रात दिन तील तील मारते रहते है,इससे पहले कि ये आपको पूरी तरह मारदे आप कर ही दीजिये इन पर चंडिका प्रयोग।

ये प्रयोग तीन दिन का है,किसी भी रविवार या अमावस्या कि रात्रि १२ बजे इसे किया जा सकता सकता है.दक्षिण कि और मुख कर बैठ जाये,आसन वस्त्र लाल हो तथा जाप होगा रुद्राक्ष कि माला से.सामने महाकाली का कोई भी चित्र स्थापित करे लाल वस्त्र पर.माँ का सामान्य पूजन करे,तील के तेल का दीपक हो.भोग में माँ को गूढ़ अर्पण करे.रक्त पुष्पो से पूजन करे.इसके बाद २१ माला आप मंत्र का जाप करे.भोग नित्य स्वयं खा ले.अंतिम दिन जाप के बाद घी में कालीमिर्च तथा काले तील मिलाकर १०८ आहुति प्रदान करे,तथा अंत में एक निम्बू पर मंत्र को २१ बार पड़कर फुक मार दे.और मंत्र पड़ते हुए ही निम्बू अग्नि कुंड में डाल दे.नित्य पूजन के बाद भी स्नान कर लिया करे.

मंत्र: क्रीं ह्रीं क्रीं महाकाली चण्डिके आपदउद्दारिणी अनंगमालिनि सर्वोपद्रव नाशिनी क्रीं ह्रीं क्रीं फट।

मित्रो इस प्रकार ये प्रयोग पूर्ण होता है,जो आपके जीवन से समस्त शोक दुःख आदि को दूर कर देगा।
================================


7>तंत्र, मंत्र, यंत्र और योग साधना का लाभ..

हिंदू धर्म में हजारों तरह की साधनाओं का वर्णन मिलता है। साधना से सिद्धियां प्राप्त होती हैं। व्यक्ति सिद्धियां इसलिए प्राप्त करना
चाहता है, क्योंकि या तो वह उससे सांसारिक लाभ प्राप्त करना चाहता है या फिर आध्यात्मिक लाभ।
मूलत:---------
साधना के चार प्रकार माने जा सकते हैं- तंत्र साधना, मंत्र साधना, यंत्र साधना और योग साधना। तीनों ही तरह की साधना के कई उप प्रकार हैं। आओ जानते हैं साधना के तरीके और उनसे प्राप्त होने वाला लाभ...

  तांत्रिक साधना...

तांत्रिक साधना दो प्रकार की होती है- एक वाम मार्गी तथा दूसरी दक्षिण मार्गी। वाम मार्गी साधना बेहद कठिन है। वाम मार्गी तंत्र साधना में 6 प्रकार के कर्म बताए गए हैं जिन्हें षट् कर्म कहते हैं।

तांत्रिक साधना दो प्रकार की होती है-

एक वाम मार्गी तथा दूसरी दक्षिण मार्गी। वाम मार्गी साधना बेहद कठिन है। वाम मार्गी तंत्र साधना में 6 प्रकार के कर्म बताए गए हैं जिन्हें षट् कर्म कहते हैं।

शांति, वक्ष्य, स्तम्भनानि, विद्वेषणोच्चाटने तथा।
गोरणों तनिसति षट कर्माणि मणोषणः॥

अर्थात शांति कर्म, वशीकरण, स्तंभन, विद्वेषण, उच्चाटन, मारण ये छ: तांत्रिक षट् कर्म।

इसके अलावा नौ प्रयोगों का वर्णन मिलता है:-

मारण मोहनं स्तम्भनं विद्वेषोच्चाटनं वशम्‌।
आकर्षण यक्षिणी चारसासनं कर त्रिया तथा॥

मारण, मोहनं, स्तम्भनं, विद्वेषण, उच्चाटन, वशीकरण, आकर्षण, यक्षिणी साधना, रसायन क्रिया तंत्र के ये 9 प्रयोग हैं।
रोग कृत्वा गृहादीनां निराण शन्तिर किता।
विश्वं जानानां सर्वेषां निधयेत्व मुदीरिताम्‌॥
पूधृत्तरोध सर्वेषां स्तम्भं समुदाय हृतम्‌।
स्निग्धाना द्वेष जननं मित्र, विद्वेषण मतत॥
प्राणिनाम प्राणं हरपां मरण समुदाहृमत्‌।

जिससे रोग, कुकृत्य और ग्रह आदि की शांति होती है, उसको शांति कर्म कहा जाता है और जिस कर्म से सब प्राणियों को वश में किया जाए, उसको वशीकरण प्रयोग कहते हैं तथा जिससे प्राणियों की प्रवृत्ति रोक दी जाए, उसको स्तम्भन कहते हैं तथा दो प्राणियों की परस्पर प्रीति को छुड़ा देने वाला नाम विद्वेषण है और जिस कर्म से किसी प्राणी को देश आदि से पृथक कर दिया जाए, उसको उच्चाटन प्रयोग कहते हैं तथा जिस कर्म से प्राण हरण किया जाए, उसको मारण कर्म कहते हैं।

मंत्र साधना भी कई प्रकार की होती है। मं‍त्र से किसी देवी या देवता को साधा जाता है और मंत्र से किसी भूत या पिशाच को भी साधा जाता है। मंत्र का अर्थ है मन को एक तंत्र में लाना। मन जब मंत्र के अधीन हो जाता है तब वह सिद्ध होने लगता है। ‘मंत्र साधना’ भौतिक बाधाओं का आध्यात्मिक उपचार है।

मुख्यत: 3 प्रकार के मंत्र होते हैं- 1. वैदिक मंत्र, 2. तांत्रिक मंत्र और 3. शाबर मंत्र।

मंत्र जप के भेद- 1. वाचिक जप, 2. मानस जप और 3. उपाशु जप।


वाचिक जप में ऊंचे स्वर में स्पष्ट शब्दों में मंत्र का उच्चारण किया जाता है। मानस जप का अर्थ मन ही मन जप करना। उपांशु जप का अर्थ जिसमें जप करने वाले की जीभ या ओष्ठ हिलते हुए दिखाई देते हैं लेकिन आवाज नहीं सुनाई देती। बिलकुल धीमी गति में जप करना ही उपांशु जप है।

मंत्र नियम :

मंत्र-साधना में विशेष ध्यान देने वाली बात है- मंत्र का सही उच्चारण। दूसरी बात जिस मंत्र का जप अथवा अनुष्ठान करना है, उसका अर्घ्य पहले से लेना चाहिए। मंत्र सिद्धि के लिए आवश्यक है कि मंत्र को गुप्त रखा जाए। प्रतिदिन के जप से ही सिद्धि होती है।

किसी विशिष्ट सिद्धि के लिए सूर्य अथवा चंद्रग्रहण के समय किसी भी नदी में खड़े होकर जप करना चाहिए। इसमें किया गया जप शीघ्र लाभदायक होता है। जप का दशांश हवन करना चाहिए और ब्राह्मणों या गरीबों को भोजन कराना चाहिए।

यंत्र साधना सबसे सरल है। बस यंत्र लाकर और उसे सिद्ध करके घर में रखें लोग तो अपने आप कार्य सफल होते जाएंगे। यंत्र साधना को कवच साधना भी कहते हैं।

यं‍त्र को दो प्रकार से बनाया जाता है- अंक द्वारा और मंत्र द्वारा। यंत्र साधना में अधिकांशत: अंकों से संबंधित यंत्र अधिक प्रचलित हैं। श्रीयंत्र, घंटाकर्ण यंत्र आदि अनेक यंत्र ऐसे भी हैं जिनकी रचना में मंत्रों का भी प्रयोग होता है और ये बनाने में अति क्लिष्ट होते हैं।

इस साधना के अंतर्गत कागज अथवा भोजपत्र या धातु पत्र पर विशिष्ट स्याही से या किसी अन्यान्य साधनों के द्वारा आकृति, चित्र या संख्याएं बनाई जाती हैं। इस आकृति की पूजा की जाती है अथवा एक निश्चित संख्या तक उसे बार-बार बनाया जाता है। इन्हें बनाने के लिए विशिष्ट विधि, मुहूर्त और अतिरिक्त दक्षता की आवश्यकता होती है।

यंत्र या कवच भी सभी तरह की मनोकामना पूर्ति के लिए बनाए जाते हैं जैसे वशीकरण, सम्मोहन या आकर्षण, धन अर्जन, सफलता, शत्रु निवारण, भूत बाधा निवारण, होनी-अनहोनी से बचाव आदि के लिए यंत्र या कवच बनाए जाते हैं।

दिशा- प्रत्येक यंत्र की दिशाएं निर्धारित होती हैं। धन प्राप्ति से संबंधित यंत्र या कवच पश्चिम दिशा की ओर मुंह करके रखे जाते हैं तो सुख-शांति से संबंधित यंत्र या कवच पूर्व दिशा की ओर मुंह करके रख जाते हैं। वशीकरण, सम्मोहन या आकर्षण के यंत्र या कवच उत्तर दिशा की ओर मुंह करके, तो शत्रु बाधा निवारण या क्रूर कर्म से संबंधित यंत्र या कवच दक्षिण दिशा की ओर मुंह करके रखे जाते हैं। इन्हें बनाते या लिखते वक्त भी दिशाओं का ध्यान रखा जाता है।

सभी साधनाओं में श्रेष्ठ मानी गई है योग साधना। यह शुद्ध, सात्विक और प्रायोगिक है। इसके परिणाम भी तुरंत और स्थायी महत्व के होते हैं। योग कहता है कि चित्त वृत्तियों का निरोध होने से ही सिद्धि या समाधि प्राप्त की जा सकती है- 'योगश्चित्तवृत्तिनिरोधः'।

मन, मस्तिष्क और चित्त के प्रति जाग्रत रहकर योग साधना से भाव, इच्छा, कर्म और विचार का अतिक्रमण किया जाता है। इसके लिए यम, नियम, आसन, प्राणायाम और प्रत्याहार ये 5 योग को प्राथमिक रूप से किया जाता है। उक्त 5 में अभ्यस्त होने के बाद धारणा और ध्यान स्वत: ही घटित होने लगते हैं।

योग साधना द्वार अष्ट सिद्धियों की प्राप्ति की जाती है। सिद्धियों के प्राप्त करने के बाद व्यक्ति अपनी सभी तरह की मनोकामना पूर्ण कर सकता है।

जानिए... योग साधना की सात बाधाएं

योग साधना की सात बाधा

योग एक ‍कठिन साधना है। इसका अभ्यास किसी गुरु के सानिध्य में रहकर ही किया जाता है। विभिन्न योगाचार्यों अनुसार अभ्यास के समय कुछ आदतें साधक के समक्ष बाधाएँ उपस्थित कर सकती हैं, जिससे हठ योग साधना में विघ्न उत्पन्न होता हैं। ये आदतें निम्न हैं:- अधिक आहार, अधिक प्रयास, दिखावा, नियम विरुद्ध, लोक-संपर्क तथा चंचलता।

1.अधिक आहार : अधिक आहार की आदत योग में बाधा उत्पन्न करती है। डटकर भोजन करने वाले आलस्य, निद्रा, मोटापा आदि के शिकार बन जाते हैं। यौगिक आहार नियम को जानकर ही आहार करें। आहार संयम होना आवश्यक है।
2.अधिक प्रयास : कुछ अभ्यास ठीक से नहीं हो पाते तब साधक जोर लगाकर अधिक प्रयास से अभ्यास को साधना चाहता है, यह आदत घातक है। शरीर और मन की क्षमता को ध्यान में रखते हुए अपनी ओर से कभी अधिक प्रयास नहीं करना चाहिए।
3.दिखावापन : इसे योगाचार्य प्रजल्प भी कहते हैं। कुछ लोग अपने अभ्यासों के संबंध में लोगों के समक्ष बढ़ा-चढ़ाकर बखान करते हैं। बहुत से अपने अभ्यास की थोड़ी बहुत सफलता का प्रदर्शन भी करते हैं। यही दिखावेपन की आदत योगी को योग से दूर कर देती है। अतः जो भी अभ्यास करें, उसकी चर्चा, जहाँ तक हो सके दूसरों से खासकर अनधिकारी व्यक्तियों से कभी न करें।
4.नियम विरुद्ध : योग के नियम के विरुद्ध है मन से नियम बनाना, इसे नियमाग्रह कहते हैं। बहुत से लोग कुछ खास नियम बना लेते हैं और आग्रह रखते हैं कि उसी के अनुसार चलेंगे। एक अर्थ में यह ठीक है और ऐसा करना भी चाहिए। किन्तु कभी-कभी यह विघ्नकारक भी हो जाता है।

उदाहरणार्थ-

जैसे खाने के नियम बना लेते हैं कि एक फल ही खाऊँगा या सप्ताह में तीन दिन ही खाऊँगा। अभ्यास के नियम कि स्नान के बाद ही अभ्यास करेंगे या सुबह ही करेंगे या किसी खास स्थान में ही करेंगे। बुखार होगा तब भी अभ्यास नहीं छोड़ेगे। इस तरह मनमाने नियम से शरीर और मन को कष्ट होता है जबकि योग कहता है कि मध्यम मार्ग का अनुसरण करो। नियम हो लेकिन सख्‍त न हो। नियमों में लचीलापन बना रहना चाहिए।

5.जन-संपर्क : योग का अभ्यास करने वाले को अधिक जन-संपर्क में नहीं रहना चाहिए। उसे बहस, वाद-विवाद, सांसारिक चर्चा से दूर रहना चाहिए। अधिक जन संपर्क या संग से खानपान की बुरी आदतें भी बनने लगती हैं। अतः जहाँ तक संभव हो लोगों से कम संपर्क रखें।
6.चंचलता : कभी यहाँ, कभी वहाँ, कभी कुछ, कभी कुछ, यह शरीर की चंचल प्रवृत्ति ठीक नहीं होती। शारीरिक चंचलता से मन की चंचलता या मन की चंचलता से शारीरिक चंचलता उत्पन्न होती है। अतः शरीर को भी स्थिर रखें, अधिक दौड़धूप न करें और मन को भी शांत व स्थिर रखें। अधिक इधर-उधर की न सोचें।

7.संकल्प और धैर्य : संकल्पवान और धैर्यशील व्यक्ति ही योग में सफल हो सकता। संकल्प और धैर्य के अभाव में योग ही नहीं किसी भी विद्या या कार्य में सफलता अर्जित नहीं की जा सकती। संकल्प और धैर्यशीलता से ही सभी तरह की बाधाओं को पार किया जा सकता है अत: संकल्प और धीरज का होना बहुत जरूरी है।

इस प्रकार उपर्युक्त यह सात विघ्नकारक तत्व हैं, जिनसे योगाभ्यास में बाधा उत्पन्न होती है। सच्चा साधक इन विघ्नों से सदा दूर रहकर और अपनी आदतों में सुधार कर अपने योगाभ्यास को सफल बनाता है।
==============================================
8>काले जादू और बुरी नजर से बचाती है ये साधारण लगने वाली चीजे

कालेजादू और बुरी दृष्टि से बचाने के लिए वास्तुशास्त्र में सकारात्मक ऊर्जा को बढ़ने के लिए या किसी भी प्रकार के वास्तु दोष को दूर करने के लिए घर की छत पर उत्तर पूर्व दिशा में पांच तुलसी का पौधा लगाना चाहिए। पांच नहीं तो कम से कम एक तुलसी का पौधा इस दिशा में जरुर लगाएं। इससे घर में आने वाले नकारात्मक प्रभाव में कमी आती है। वास्तुविज्ञान में बताया गया है बाहर से घर में आने वाले लोग भी कई बार नकारात्मक उर्जा लेकर आते हैं। जिनके घर के मुख्य द्वार पर तुलसी का पौधा होता है उनके घर में इस तरह के नकारात्मक उर्जा का प्रवेश नहीं हो पाता है।

सूरज भगवन की तस्वीर भी शुभ फलदायी होती होती है, पर इन्हे के घर में कहीं भी लगाने से आपके शुभ फल नहीं मिलता है। घोड़े की तस्वीर लगाने के लिए पूर्व दिशा को शुभ माना गया है। सूर्यदेव पूर्व दिशा से उदित होते हैं और उनके रथ में सात अश्व माने गए हैं। माना जाता है कि ऐसी तस्वीरों से घर में सकारात्मक उर्जा का संचार होता है जो लोगों को स्वस्थ और उर्जावान बनाए रखता है। ऐसी तस्वीरों को उन्नति और सफलता का भी प्रतीक माना गया है।

मेहमानो को जिस कमरे में बिठाते है वंहा श्री कृष्ण की बाललीलाओं वाली तस्वीर और अपने गुरु या किसी महापुरुष जिनसे आपको प्रेरणा मिलती हो उनकी तस्वीर लगाना चाहिए। ऐसी तस्वीरों से आपको सकारात्मक उर्जा का लाभ मिलता है। वास्तु सिद्घांत के अनुसार घर के अग्नेय कोण यानी (दक्षिण पूर्व) हिस्से में हवन की तस्वीर लगानी चाहिए। लेकिन अगर आपके घर में शयन कक्ष आग्नेय कोण में है तब इस तस्वीर की बजाय समुद्र की तस्वीर लगाएं। लेकिन ध्यान रखें समुद्र शांत हो।
वास्तु विज्ञान में शंख का बड़ा महत्व बताया गया है। घर में जब भी विशेष पूजा जैसे होली दिवाली, रामनवमी, कृष्णजन्माष्टमी, नवरात्रे के दिन शंख को पूजा स्थल में रखकर इसकी धूप-दीप से पूजा की जाए तो घर में वास्तु दोष का प्रभाव कम होता है। शंख में गाय का दूध रखकर इसका छिड़काव घर में किया जाए तो इससे भी सकारात्मक उर्जा का संचार होता है। अगर संभव हो तो शाम ढ़लने से पहले और सूर्योदय के समय शंख बजाएं इससे घर और आपके आस-पास का वातावरण शुद्घ और उर्जावान बना रहता है।

घर के बहार नकारात्मक उर्जा और वास्तुदोष से मुक्त रखने के लिए मुख्य द्वार पर स्वास्तिक या ओम लगाना चाहिए। गणेश जी की मूर्ति पर मुख्य द्वार पर लगाई जाती है लेकिन गणेश जी की मूर्ति लगाते समय यह ध्यान रखना चाहिए कि गणेश जी का मुख घर के अंदर की तरफ हो।

जिन घर में रसोई घर दक्षिण पूर्व में नहीं हो तब वास्तुदोष को दूर करने के लिए रसोई के उत्तर पूर्व यानी ईशान कोण में सिंदूरी गणेश जी की तस्वीर लगानी चाहिए।
====================================================
9>गुंजा=श्वेत कुच, लाल कुच

गुंजा का प्रयोग अनेक तांत्रिक कार्यों में होता है. यह एक लता का बीज होता है. जो लाल रंग का होता है. सफ़ेद और काले रंग की गुंजा भी मिल सकती है. काली गुंजा बहुत दुर्लभ होती है और वशीकरण के कार्यों में रामबाण की तरह काम करती है. गुंजा के बीजों के अलावा उसकी जड़ को बहुत उपयोगी मन गया है. गुंजा की महिमा कुछ इस प्रकार है

-

१. आप जिस व्यक्ति का वशीकरण करना चाहते हों उसका चिंतन करते हुए मिटटी का दीपक लेकर अभिमंत्रित गुंजा के ५ दाने लेकर शहद में डुबोकर रख दें. इस प्रयोग से शत्रुभी वशीभूत हो जाते हैं. यह प्रयोग ग्रहण काल, होली, दीवाली, पूर्णिमा, अमावस्या की रात में यह प्रयोग में करने से बहुत फलदायक होता है.
२. गुंजा के दानों को अभिमंत्रित करके जिस व्यक्ति के पहने हुए कपड़े या रुमाल में बांधकर रख दिया जायेगा वह वशीभूत हो जायेगा. जब तक कपड़ा खोलकर गुंजा के दाने नहीं निकले जायेंगे वह व्यक्ति वशीकरण के प्रभाव में रहेगा.
३. जिस व्यक्ति को नजर बहुत लगती हो उसको गुंजा का ब्रासलेट कलाई पर बांधना चाहिए. किसी सभा में या भीड़ भाद वाली जगह पर जाते समय गुंजा का ब्रासलेट पहनने से दूसरे लोग प्रभावित होते हैं.
४. गुंजा की माला गले में धारण करने से सर्वजन वशीकरण का प्रभाव होता है.
काली गुंजा की विशेषता है कि जिस व्यक्ति के पास होती है, उस पर मुसीबत पड़ने पर इसका रंग स्वतः ही बदलने लगता है ।
रक्तगुंजा: गुंजा का बीज होता है, जो लाल रंग का होता है। इस पर काले रंग का छोटा सा बिंदू बना होता है। लक्ष्मी की प्राप्ति व उसे चिरकाल तक स्थिर रखने हेतु गुंजा का प्रयोग किया जाता है। तंत्रशास्त्र में इसका कई रूपों में प्रयोग होता है।

============================================================

गुंजा

गुंजा की लता पर लगी फली में बीज

गुंजा या रत्ती (Coral Bead) लता जाति की एक वनस्पति है। शिम्बी के पक जाने पर लता शुष्क हो जाती है। गुंजा के फूल सेम की तरह होते हैं। शिम्बी का आकार बहुत छोटा होता है, परन्तु प्रत्येक में 4-5 गुंजा बीज निकलते हैं अर्थात सफेद में सफेद तथा रक्त में लाल बीज निकलते हैं। अशुद्ध फल का सेवन करने से विसूचिका की भांति ही उल्टी और दस्त हो जाते हैं। इसकी जड़े भ्रमवश मुलहठी के स्थान में भी प्रयुक्त होती है।

गुंजा गुंजा दो प्रकार की होती है।विभिन्न भाषाओं में नामअंग्रेजी Coral Bead हिन्दी गुंजा, चौंटली, घुंघुची, रत्ती संस्कृत सफेद केउच्चटा, कृष्णला, रक्तकाकचिंची बंगाली श्वेत कुच, लाल कुच मराठी गुंजा गुजराती धोलीचणोरी, राती, चणोरी तेलगू गुलुविदे फारसी चश्मेखरुस अरबी हबसुफेद

हानिकारक प्रभाव

पाश्चात्य मतानुसार गुंजा के फलों के सेवन से कोई हानि नहीं होती है। परन्तु क्षत पर लगाने से विधिवत कार्य करती है। सुश्रुत के मत से इसकी मूल गणना है।

गुंजा को आंख में डालने से आंखों में जलन और पलकों में सूजन हो जाती है।

गुण

दोनों गुंजा, वीर्यवर्द्धक (धातु को बढ़ाने वाला), बलवर्द्धक (ताकत बढ़ाने वाला), ज्वर, वात, पित्त, मुख शोष, श्वास, तृषा, आंखों के रोग, खुजली, पेट के कीड़े, कुष्ट (कोढ़) रोग को नष्ट करने वाली तथा बालों के लिए लाभकारी होती है। ये अन्यंत मधूर, पुष्टिकारक, भारी, कड़वी, वातनाशक बलदायक तथा रुधिर विकारनाशक होता है। इसके बीज वातनाशक और अति बाजीकरण होते हैं। गुन्जा से वासिकर्न भि कर सक्ते ही ग्न्जा

अंग्रेजी Coral Bead हिन्दी गुंजा, चौंटली, घुंघुची, रत्ती संस्कृत सफेद केउच्चटा, कृष्णला, रक्तकाकचिंची बंगाली श्वेत कुच, लाल कुच मराठी गुंजा गुजराती धोलीचणोरी, राती, चणोरी तेलगू गुलुविदे फारसी चश्मेखरुस अरबी हबसुफेद============================================================

चमत्कारी तंत्र वनस्पति गुंजा

चमत्कारी है गुंजा
तांत्रिक जड़ीबूटियां भाग -9

गुंजा एक फली का बीज है। इसको धुंघची, रत्ती आदि नामों से जाना जाता है। इसकी बेल काफी कुछ मटर की तरह ही लगती है किन्तु अपेक्षाकृत मजबूत काष्ठीय तने वाली। इसे अब भी कहीं कहीं आप सुनारों की दुकानों पर देख सकते हैं। कुछ वर्ष पहले तक सुनार इसे सोना तोलने के काम में लेते थे क्योंकि इनके प्रत्येक दाने का वजन लगभग बराबर होता है करीब 120 मिलीग्राम। ये हमारे जीवन में कितनी बसी है इसका अंदाज़ा मुहावरों और लोकोक्तियों में इसके प्रयोग से लग जाता है।

यह तंत्र शास्त्र में जितनी मशहूर है उतनी ही आयुर्वेद में भी। आयुर्वेद में श्वेत गूंजा का ही अधिक प्रयोग होता है औषध रूप में साथ ही इसके मूल का भी जो मुलैठी के समान ही स्वाद और गुण वाली होती है। इसीकारण कई लोग मुलैठी के साथ इसके मूल की भी मिलावट कर देते हैं।

वहीं रक्त गूंजा बेहद विषैली होती है और उसे खाने से उलटी दस्त पेट में मरोड़ और मृत्यु तक सम्भव है। आदिवासी क्षेत्रों में पशु पक्षी मारने और जंगम विष निर्माण में अब भी इसका प्रयोग होता है।

गुंजा की तीन प्रजातियां मिलती हैं:-

1• रक्त गुंजा: लाल काले रंग की ये प्रजाति भी तीन तरह की मिलती है जिसमे लाल और काले रंगों का अनुपात 10%, 25% और 50% तक भी मिलता है।

ये मुख्यतः तंत्र में ही प्रयोग होती है।

श्वेत गुंजा • श्वेत गुंजा में भी एक सिरे पर कुछ कालिमा रहती है। यह आयुर्वेद और तंत्र दोनों में ही सामान रूप से प्रयुक्त होती है। ये लाल की अपेक्षा दुर्लभ होती है।

काली गुंजा: काली गुंजा दुर्लभ होती है, आयुर्वेद में भी इसके प्रयोग लगभग नहीं हैं हाँ किन्तु तंत्र प्रयोगों में ये बेहद महत्वपूर्ण है।

इन तीन के अलावा एक अन्य प्रकार की गुंजा पायी जाती है पीली गुंजा ये दुर्लभतम है क्योंकि ये कोई विशिष्ट प्रजाति नहीं है किन्तु लाल और सफ़ेद प्रजातियों में कुछ आनुवंशिक विकृति होने पर उनके बीज पीले हो जाते हैं। इस कारण पीली गूंजा कभी पूर्ण पीली तो कभी कभी लालिमा या कालिमा मिश्रित पीली भी मिलती है।

इस चमत्कारी वनस्पति गुंजा के कुछ प्रयोग:-

1• सम्मान प्रदायक :

शुद्ध जल (गंगा का, अन्य तीर्थों का जल या कुएं का) में गुंजा की जड़ को चंदन की भांति घिसें। अच्छा यही है कि किसी ब्राह्मण या कुंवारी कन्या के हाथों से घिसवा लें। यह लेप माथे पर चंदन की तरह लगायें। ऐसा व्यक्ति सभा-समारोह आदि जहां भी जायेगा, उसे वहां विशिष्ट सम्मान प्राप्त होगा।

2• कारोबार में बरकत

किसी भी माह के शुक्ल पक्ष के प्रथम बुधवार के दिन 1 तांबे का सिक्का, 6 लाल गुंजा लाल कपड़े में बांधकर प्रात: 11 बजे से लेकर 1 बजे के बीच में किसी सुनसान जगह में अपने ऊपर से 11 बार उसार कर 11 इंच गहरा गङ्ढा खोदकर उसमें दबा दें। ऐसा 11 बुधवार करें। दबाने वाली जगह हमेशा नई होनी चाहिए। इस प्रयोग से कारोबार में बरकत होगी, घर में धन रूकेगा।

3"• ज्ञान-बुद्धि वर्धक :

(क) गुंजा-मूल को बकरी के दूध में घिसकर हथेलियों पर लेप करे, रगड़े कुछ दिन तक यह प्रयोग करते रहने से व्यक्ति की बुद्धि, स्मरण-शक्ति तीव्र होती है, चिंतन, धारणा आदि शक्तियों में प्रखरता व तीव्रता आती है।

(ख) यदि सफेद गुंजा के 11 या 21 दाने अभिमंत्रित करके विद्यार्थियों के कक्ष में उत्तर पूर्व में रख दिया जाये तो एकाग्रता एवं स्मरण शक्ति में लाभ होता है।

4• वर-वधू के लिए :

विवाह के समय लाल गुंजा वर के कंगन में पिरोकर पहनायी जाती है। यह तंत्र का एक प्रयोग है, जो वर की सुरक्षा, समृद्धि, नजर-दोष निवारण एवं सुखद दांपत्य जीवन के लिए है। गुंजा की माला आभूषण के रूप में पहनी जाती है।

5• पुत्रदाता :

शुभ मुहुर्त में श्वेत गुंजा की जड़ लाकर दूध से धोकर, सफेद चन्दन पुष्प से पूजा करके सफेद धागे में पिरोकर। “ऐं क्षं यं दं” मंत्र के ग्यारह हजार जाप करके स्त्री या पुरूष धारण करे तो संतान सुख की प्राप्ती होती है।

6• वशीकरण -

(क) आप जिस व्यक्ति का वशीकरण करना चाहते हों उसका चिंतन करते हुए मिटटी का दीपक लेकर अभिमंत्रित गुंजा के ५ दाने लेकर शहद में डुबोकर रख दें. इस प्रयोग से शत्रु भी वशीभूत हो जाते हैं. यह प्रयोग ग्रहण काल, होली, दीवाली, पूर्णिमा, अमावस्या की रात में यह प्रयोग में करने से बहुत फलदायक होता है.

(ख) गुंजा के दानों को अभिमंत्रित करके जिस व्यक्ति के पहने हुए कपड़े या रुमाल में बांधकर रख दिया जायेगा वह वशीभूत हो जायेगा. जब तक कपड़ा खोलकर गुंजा के दाने नहीं निकले जायेंगे वह व्यक्ति वशीकरण के प्रभाव में रहेगा.

( गुंजा की माला गले में धारण करने से सर्वजन वशीकरण का प्रभाव होता है.

7• विद्वेषण में प्रयोग :

किसी दुष्ट, पर-पीड़क, गुण्डे तथा किसी का घर तोड़ने वाले के घर में लाल गुंजा - रवि या मंगलवार के दिन इस कामना के साथ फेंक दिये जाये - 'हे गुंजा ! आप मेरे कार्य की सिद्धि के लिए इस घर-परिवार में कलह (विद्वेषण) उत्पन्न कर दो' तो आप देखेंगे कि ऐसा ही होने लगता है।

8• विष-निवारण :
गुंजा की जड़ धो-सुखाकर रख ली जाये। यदि कोई व्यक्ति विष-प्रभाव से अचेत हो रहा हो तो उसे पानी में जड़ को घिसकर पिलायें।

इसको पानी में घिस कर पिलाने से हर प्रकार का विष उतर जाता है।

9• दिव्य दृष्टि :-

(क) अलौकिक तामसिक शक्तियों के दर्शन :

भूत-प्रेतादि शक्तियों के दर्शन करने के लिए मजबूत हृदय वाले व्यक्ति, गुंजा मूल को रवि-पुष्य योग में या मंगलवार के दिन- शुद्ध शहद में घिस कर आंखों में अंजन (सुरमा/काजल) की भांति लगायें तो भूत, चुडैल, प्रेतादि के दर्शन होते हैं।

(ख) गुप्त धन दर्शन :

अंकोल या अंकोहर के बीजों के तेल में गुंजा-मूल को घिस कर आंखों पर अंजन की तरह लगायें। यह प्रयोग रवि-पुष्य योग में, रवि या मंगलवार को ही करें। इसको आंजने से पृथ्वी में गड़ा खजाना तथा आस पास रखा धन दिखाई देता है।

10• शत्रु में भय उत्पन्न :

गुंजा-मूल (जड़) को किसी स्त्री के मासिक स्राव में घिस कर आंखों में सुरमे की भांति लगाने से शत्रु उसकी आंखों को देखते ही भाग खड़े होते हैं।

11• शत्रु दमन प्रयोग :

यदि लड़ाई झगड़े की नौबत हो तो काले तिल के तेल में गुंजामूल को घिस कर, उस लेप को सारे शरीर में मल लें। ऐसा व्यक्ति शत्रुओं को बहुत भयानक तथा सबल दिखाई देगा। फलस्वरूप शत्रुदल चुपचाप भाग जायेगा।

12• रोग - बाधा

(क) कुष्ठ निवारण प्रयोग :

गुंजा मूल को अलसी के तेल में घिसकर लगाने से कुष्ठ (कोढ़) के घाव ठीक हो जाते हैं।

(ख)अंधापन समाप्त :

गुंजा-मूल को गंगाजल में घिसकर आंखों मे लगाने से आंसू बहुत आते हैं।नेत्रों की सफाई होती है आँखों का जाल कटता है।

देशी घी (गाय का) में घिस कर लगाते रहने से इन दोनों प्रयोगों से अंधत्व दूर हो जाता है।

(ग) वाजीकरण:

श्वेत गुंजा की जड को गाय के शुद्ध घृत में पीसकर लेप तैयार करें। यह लेप शिश्न पर मलने से कामशक्ति की वृद्धि के साथ स्तंभन शक्ति में भी वृद्धि होती है।

13: नौकरी में बाधा
राहु के प्रभाव के कारण व्यवसाय या नौकरी में बाधा आ रही हो तो लाल गुंजा व सौंफ को लाल वस्त्र में बांधकर अपने कमरे में रखें।

**दुर्लभ काली गुंजा के कुछ प्रयोग:

1• काली गुंजा की विशेषता है कि जिस व्यक्ति के पास होती है, उस पर मुसीबत पड़ने पर इसका रंग स्वतः ही बदलने लगता है ।

2• दिवाली के दिन अपने गल्‍ले के नीचे काली गुंजा जंगली बेल के दाने डालने से व्‍यवसाय में हो रही हानि रूक जाती है।

3• दिवाली की रात घर के मुख्‍य दरवाज़े पर सरसों के तेल का दीपक जला कर उसमें काली गुंजा के 2-4 दाने डाल दें। ऐसा करने पर घर सुरक्षित और समृद्ध रहता है।

4• होलिका दहन से पूर्व पांच काली गुंजा लेकर होली की पांच परिक्रमा लगाकर अंत में होलिका की ओर पीठ करके पाँचों गुन्जाओं को सिर के ऊपर से पांच बार उतारकर सिर के ऊपर से होली में फेंक दें।

5• घर से अलक्ष्मी दूर करने का लघु प्रयोग-

ध्यानमंत्र :

ॐ तप्त-स्वर्णनिभांशशांक-मुकुटा रत्नप्रभा-भासुरीं ।
नानावस्त्र-विभूषितां त्रिनयनां गौरी-रमाभ्यं युताम् ।
दर्वी-हाटक-भाजनं च दधतीं रम्योच्चपीनस्तनीम् ।
नित्यं तां शिवमाकलय्य मुदितां ध्याये अन्नपूर्णश्वरीम् ॥

मन्त्र :

ॐ ह्रीम् श्रीम् क्लीं नमो भगवति माहेश्वरि मामाभिमतमन्नं देहि-देहि अन्नपूर्णों स्वाहा ।


विधि :

जब रविवार या गुरुवार को पुष्प नक्षत्र हो या नवरात्र में अष्टमी के दिन या दीपावली की रात्रि या अन्य किसी शुभ दिन से इस मंत्र की एक माला रुद्राक्ष माला से नित्य जाप करें । जाप से पूर्व भगवान श्रीगणेश जी का ध्यान करें तथा भगवान शिव का ध्यान कर नीचे दिये ध्यान मंत्र से माता अन्नपूर्णा का ध्यान करें ।

इस मंत्र का जाप दुकान में गल्ले में सात काली गुंजा के दाने रखकर शुद्ध आसन, (कम्बल आसन, या साफ जाजीम आदि ) पर बैठकर किया जाए तो व्यापार में आश्चर्यजनक लाभ महसूस होने गेगा ।

6• कष्टों से छुटकारे हेतु

यदि संपूर्ण दवाओं एवं डाक्टर के इलाज के बावजूद भी यदि घुटनों और पैरों का दर्द दूर नहीं हो रहा हो तो रवि पुष्य नक्षत्र, शनिवार या शनि आमवस्या के दिन यह उपाय करें। प्रात:काल नित्यक्रम से निवृत हो स्नानोपरांत लोहे की कटोरी में श्रद्धानुसार सरसों का तेल भरें। 7 चुटकी काले तिल, 7 लोहे की कील और 7 लाल और 7 काली गुंजा उसमें डाल दें। तेल में अपना मुंह देखने के बाद अपने ऊपर से 7 बार उल्टा उसारकर पीपल के पेड़ के नीचे इस तेल का दीपक जला दें 21 परिक्रमा करें और वहीं बैठकर 108 बार

ऊँ शं विधिरुपाय नम:।।

इस मंत्र का जाप करें। ऐसा 11 शनिवार करें। कष्टों से छुटकारा मिलेगा।


पीली गुंजा:

1• पीले रंग की गुंजा के बीज ,हल्दी की गांठे, सात कौडियों की पूजा अर्चना करके श्री लक्ष्मीनारायण भगवान के मंत्रों से अभिमंत्रित करके पूजा स्थान में रखने से दाम्पत्य सुख एवं परिवार,मे एकता तथा आर्थिक व्यावसायिक सिद्धि मिलती है

2• इसकी माला या ब्रेसलेट धारण करने से व्यक्ति का चित्त शांत रहता है, तनाव से मुक्ति मिलती है।
3• पीत गुंजा की माला गुरु गृह को अनुकूल करती है।
4• अनिद्रा से पीड़ित लोगों को इसकी माला धारण करने से लाभ मिलता है।
5• बड़ी उम्र के जो लोग स्वप्न में डरते हैं या जिन्हें अक्सर ये लगता है की कोई उनका गला दबा रहा है उन्हें इसकी माला या ब्रेसलेट पहनना चाहिए।

अन्य किसी जानकारी, समस्या समाधान और कुंडली विश्लेषण हेतु सम्पर्क कर सकते हैं।
===================================================

क्या आप जानते है बड़े काम की और चमत्कारी होती है गूंजा


गुंजा या रत्ती (Coral Bead) लता जाति की एक वनस्पति है। शिम्बी के पक जाने पर लता शुष्क हो जाती है। गुंजा के फूल सेम की तरह होते हैं। शिम्बी का आकार बहुत छोटा होता है, परन्तु प्रत्येक में 4-5 गुंजा बीज निकलते हैं अर्थात सफेद में सफेद तथा रक्त में लाल बीज निकलते हैं। अशुद्ध फल का सेवन करने से विसूचिका की भांति ही उल्टी और दस्त हो जाते हैं। इसकी जड़े भ्रमवश मुलहठी के स्थान में भी प्रयुक्त होती है

इसको चिरमिटी, धुंघची, रत्ती आदि नामों से जाना जाता है। इसे आप सुनारों की दुकानों पर देख सकते हैं। इसका वजन एक रत्ती होता है, जो सोना तोलने के काम आती है। यह तीन रंगों में मिलती है। सफेद गुंजा का प्रयोग तंत्र तथा उपचार में होता है, न मिलने पर लाल गुंजा भी प्रयोग में ली जा सकती है। परंतु काली गुंजा दुर्लभ होती है।

गुंजा का प्रयोग अनेक तांत्रिक कार्यों में होता है. यह एक लता का बीज होता है. जो लाल रंग का होता है. सफ़ेद और काले रंग की गुंजा भी मिल सकती है. काली गुंजा बहुत दुर्लभ होती है और वशीकरण के कार्यों में रामबाण की तरह काम करती है. गुंजा के बीजों के अलावा उसकी जड़ को बहुत उपयोगी मन गया है. गुंजा की महिमा कुछ इस प्रकार है -

वर-वधू के लिए : विवाह के समय लाल गुंजा वर के कंगन में पिरोकर पहनायी जाती है। यह तंत्र का एक प्रयोग है, जो वर की सुरक्षा, समृद्धि, नजर-दोष निवारण एवं सुखद दांपत्य जीवन के लिए है। गुंजा की माला आभूषण के रूप में पहनी जाती है। भगवान श्री कृष्ण भी गुंजामाला धारण करते थे। पुत्र की चाह वाली स्वस्थ स्त्री, शुभ नक्षत्र में गुंजा की जड़ को ताबीज में भरकर कमर में धारण करें। ऐसा करने से स्त्री पुत्र लाभ करती है।


विद्वेषण में प्रयोग :

किसी दुष्ट, पर-पीड़क, गुण्डे तथा किसी का घर तोड़ने वाले के घर में लाल गुंजा - रवि या मंगलवार के दिन इस कामना के साथ फेंक दिये जाये - 'हे गुंजा ! आप मेरे कार्य की सिद्धि के लिए इस घर-परिवार में कलह (विद्वेषण) उत्पन्न कर दो' तो आप देखेंगे कि ऐसा ही होने लगता है। विष-निवारण : गुंजा की जड़ धो-सुखाकर रख ली जाये।

यदि कोई व्यक्ति विष-प्रभाव से अचेत हो रहा हो तो उसे पानी में जड़ को घिसकर पिलायें। इसको पानी में घिस कर पिलाने से हर प्रकार का विष उतर जाता है।

सम्मान प्रदायक :

==============================

शुद्ध जल (गंगा का, अन्य तीर्थों का जल या कुएं का) में गुंजा की जड़ को चंदन की भांति घिसें। अच्छा यही है कि किसी ब्राह्मण या कुंवारी कन्या के हाथों से घिसवा लें। यह लेप माथे पर चंदन की तरह लगायें। ऐसा व्यक्ति सभा-समारोह आदि जहां भी जायेगा, उसे वहां विशिष्ट सम्मान प्राप्त होगा। पुत्रदाता : पुत्र की चाह वाली स्वस्थ स्त्री, शुभ नक्षत्र में गुंजा की जड़ को ताबीज में भरकर कमर में धारण करें। ऐसा करने से स्त्री पुत्र लाभ प्राप्त करती है। शत्रु में भय उत्पन्न : गुंजा-मूल (जड़) को किसी स्त्री के मासिक स्राव में घिस कर आंखों में सुरमे की भांति लगाने से शत्रु उसकी आंखों को देखते ही भाग खड़े होते हैं।

अलौकिक तामसिक शक्तियों के दर्शन :

==========================================

भूत-प्रेतादि शक्तियों के दर्शन करने के लिए मजबूत हृदय वाले व्यक्ति, गुंजा मूल को रवि-पुष्य योग में या मंगलवार के दिन- शुद्ध शहद में घिस कर आंखों में अंजन (सुरमा/काजल) की भांति लगायें तो भूत, चुडैल, प्रेतादि के दर्शन होते हैं। ज्ञान-


बुद्धि वर्धक :

===============================

गुंजा-मूल को बकरी के दूध में घिसकर हथेलियों पर लेप करे, रगड़े कुछ दिन तक यह प्रयोग करते रहने से व्यक्ति की बुद्धि, स्मरण-शक्ति तीव्र होती है, चिंतन, धारणा आदि शक्तियों में प्रखरता व तीव्रता आती है। गुप्त धन दर्शन : अंकोल या अंकोहर के बीजों के तेल में गुंजा-मूल को घिस कर आंखों पर अंजन की तरह लगायें। यह प्रयोग रवि-पुष्य योग में, रवि या मंगलवार को ही करें। इसको आंजने से पृथ्वी में गड़ा खजाना तथा आस पास रखा धन दिखाई देता है।

शत्रु दमन प्रयोग : काले तिल के तेल में गुंजामूल को घिस कर, उस लेप को सारे शरीर में मल लें। ऐसा व्यक्ति शत्रुओं को बहुत भयानक तथा सबल दिखाई देगा। फलस्वरूप शत्रुदल चुपचाप भाग जायेगा। कुष्ठ निवारण प्रयोग : गुंजा मूल को अलसी के तेल में घिसकर लगाने से कुष्ठ (कोढ़) के घाव ठीक हो जाते हैं।

अंधापन समाप्त : गुंजा-मूल को गंगाजल में घिसकर आंखों मे लगाने से आंसू बहुत आते हैं। देशी घी (गाय का) में घिस कर लगाते रहने से इन दोनों प्रयोगों से अंधत्व दूर हो जाता है।

१. आप जिस व्यक्ति का वशीकरण करना चाहते हों उसका चिंतन करते हुए मिटटी का दीपक लेकर अभिमंत्रित गुंजा के ५ दाने लेकर शहद में डुबोकर रख दें. इस प्रयोग से शत्रु भी वशीभूत हो जाते हैं. यह प्रयोग ग्रहण काल, होली, दीवाली, पूर्णिमा, अमावस्या की रात में यह प्रयोग में करने से बहुत फलदायक होता है.

२. गुंजा के दानों को अभिमंत्रित करके जिस व्यक्ति के पहने हुए कपड़े या रुमाल में बांधकर रख दिया जायेगा वह वशीभूत हो जायेगा. जब तक कपड़ा खोलकर गुंजा के दाने नहीं निकले जायेंगे वह व्यक्ति वशीकरण के प्रभाव में रहेगा.

३. जिस व्यक्ति को नजर बहुत लगती हो उसको गुंजा का ब्रासलेट कलाई पर बांधना चाहिए. किसी सभा में या भीड़ भाद वाली जगह पर जाते समय गुंजा का ब्रासलेट पहनने से दूसरे लोग प्रभावित होते हैं.

४. गुंजा की माला गले में धारण करने से सर्वजन वशीकरण का प्रभाव होता है.

काली गुंजा की विशेषता है कि जिस व्यक्ति के पास होती है, उस पर मुसीबत पड़ने पर इसका रंग स्वतः ही बदलने लगता है ।
==============================================================
रक्त गुंजा

रविवार के दिन पुष्य नक्षत्र हो,शुक्र तथा मंगल गोचर में अनुकूल हों अथवा कृष्ण पक्ष की अष्टमी को हस्त नक्षत्र हो, कृष्ण चतुर्दशी को स्वाति नक्षत्र हो या पूर्णिमा को शतभिषा नक्षत्र हो, तो आधी रात को निमंत्रण पूर्वक रक्त गुंजा की जड़ उखाड़ कर ले आएं। घर में लाकर उसकी मिट्टी हटा कर साफ कर दें फिर दूध से स्नान करवा कर धूप-दीप से पूजा करें। इस जड़ के घर में रहने से सर्प भय नहीं रहता…

गुंजा एक प्रकार का लाल रंग का बीज है जो देखने में बहुत सुंदर लगता है। इसके ऊपरी हिस्से पर छोटा सा काला बिंदु होता है। इसकी बेल जंगलों में वृक्षों पर लिपटी पाई जाती है। इसे रत्ती भी कहते हैं और किसी जमाने में इससे सोने की तौल की जाती थी। गुंजा का एक और प्रचलित नाम घुंघची है। यह दो प्रकार की होती है रक्तगुंजा और श्वेत गुंजा। इसके तांत्रिक प्रयोग निम्न हैं-

1-बकरी के दूध में गुंजा मूल को घिस कर हथेलियों पर रगड़ने से बुद्धि का विकास होता है। मेधा,चिंतन, धारणा, विवेक तथा स्मृति की प्रखरता के लिए यह प्रयोग उत्तम होता है।

2-रविवार के दिन पुष्य नक्षत्र हो,शुक्र तथा मंगल गोचर में अनुकूल हों अथवा कृष्ण पक्ष की अष्टमी को हस्त नक्षत्र हो , कृष्ण चतुर्दशी को स्वाति नक्षत्र हो या पूर्णिमा को शतभिषा नक्षत्र हो, तो आधी रात को निमंत्रण पूर्वक रक्त गुंजा की जड़ उखाड़ कर ले आएं। घर में लाकर उसकी मिट्टी हटा कर साफ कर दें फिर दूध से स्नान करवा कर धूप-दीप से पूजा करें। इस जड़ के घर में रहने से सर्प भय नहीं रहता।

3- इसकी जड़ को घिस कर माथे पर तिलक की तरह लगाने से मनुष्य में सम्मोहक शक्ति आ जाती है और हर व्यक्ति उसकी बात मानने को तैयार हो जाता है।

4-कहते हैं कि गुंजा की जड़ को बेल पत्र के साथ घिस कर काजल की तरह लगाने से पिछले जीवन की घटनाएं याद आ जाती हैं।

इसकी जड़ को गाय के दूध में पीस कर शरीर पर लेपन करने से कोई भी तांत्रिक साधना सफल होती है यहां तक कि कभी-कभी अशरीरी आत्माएं भी वश में हो जाती हैं जो हमेशा साधक की सहायता करती हैं और उसे छोड़ कर कहीं नहीं जातीं।

श्वेत गुंजा के तांत्रिक प्रयोग

जिस दिन कृष्ण पक्ष की अष्टमी या चतुर्दशी हो उस दिन निम्न मंत्र पढ़ते हुए जंगल से श्वेत गुंजा की फली और वहीं से मिट्टी खोद कर लावे और अपने बगीचे में बो दे ।

मंत्र-ऊँ श्वेतवर्णे सितपर्वतवसिनि अप्रतिहते मम कार्य कुरु ठःठःस्वाहा।

फली लाने और उसे बोते समय यही मंत्र पढें़। फिर प्रति दिन सायंकाल उसमें पानी डालते रहें और इस मंत्र का जप करते रहें।

ऊँ सितवर्णे श्वेतपर्वतवासिनि सर्व कार्याणि कुरु कुरु अप्रतिहते नमो नमः।

गुंजा के बीजों को किसी वृक्ष के समीप बोना चाहिए तकि वह लता उसका सहारा लेकर चढ़ सके। जब लता बड़ी हो जाए तो उसी वृक्ष के नीचे बैठ कर अंगन्यास करें और उसकी पंचोपचार पूजा कर निम्न मंत्र की 21 माला जाप करें।

ऊँ श्वेत वर्णे पद्म मुखे सर्व ज्ञानमये सर्व शक्तिमिति सितपर्वतवासिनि भगवति हृं मम कार्य कुरु कुरु ठःठःनमः स्वाहा।

किसी भी कामना की पूर्ति के लिए संकल्प ले कर मंत्र जप करने पर कामना पूर्ण होती है।

=====================================

वे विशेष उपाय हैं जिन्हें आप केवल दीवाली के दिन ही कर सकते हैं और पूरे वर्ष उनका असर बना रहता है। ये बहुत ही सस्ते और आसान हैं और असरदार इतने मानो चमत्कारी हों।
बुरी बलाओं से बचने के लिए
लगभग 100 ग्राम रत्ती या गुंजा या घुंघुची के दाने लें जो लाल रंग के हों। इन दानों को तांबे की कटोरी में रखें। फिर शनि के मंत्र की 11 मालाएं जपें। जप का समय है 23.29 से 1.51 तक। रात का जप ज्यादा महत्त्वपूर्ण होता है। यह जप पूर्ण समर्पण के साथ हो। यह आप के पास एक ऐसी औषधि तैयार हो गई जो आपको इन बातों में मदद करेगी-
ल्ल गुप्त शत्रु की चालों को समाप्त कर देगी।
ल्ल बच्चों को नजर दोष होने पर इसे काले कपड़े में बांधकर उनके गले में पहनाएं।
ल्ल यदि घर में गरीबी अचानक आई हो या संतान गर्भ में ही प्राण त्याग देती हो, तो इसके कुछ दाने अपने घर के कोनों में बिखरा दें।
ल्ल यदि आपने कोई नया घर लिया है जहां आपका मन उखड़ने लगा है या आपका मन अपने व्यापारिक प्रतिष्ठान से उखड़ रहा है, तो वहां इन दानों को पूजा स्थान में रखें।
अच्छी पढ़ाई व नौकरी में सफलता
दीवाली के दिन शाम 6.14 बजे से लेकर रात 8 बजे के बीच दूब घास, गुंजा तथा शमी अथवा पीपल की छोटी सी लकड़ी लेकर एक तांबे के बर्तन में रखें, फिर गणेश जी की पूजा करें। इसे सदैव पूजा में ही रहने दें। जो लोग पढ़ाई या नौकरी में बहुत संघर्ष कर रहे हैं उन्हें सफलता मिलेगी। इसे अपने बैग या पढ़ने की मेज या कार्य करने वाली मेज पर भी रख सकते हैं।
घबराहट व सिरदर्द की समस्या है तो
इस यंत्र को सादे कागज पर हल्दी का रंग बनाकर लिखें। लिखते समय 'ॐ' का जाप करते रहें। ऐसे कई सारे यंत्र बनाकर रख लें।
जब भी सिरदर्द, घबराहट या तनाव हो, तो इसे सिर पर बांधकर सो जाएं।
संपत्ति प्राप्ति के लिए
अनंतमूल की जड़ लें। उसे 'ॐ अं अंगारकाये नम:' की 11 मालाओं से सिद्ध करें। फिर उसे गले में पहनें। संपत्ति की समस्याएं समाप्त होंगी।
दुर्घटनाओं से बचने के लिए
अनंतमूल की जड़ तथा साबूत सुपारी लें। उसे महामृत्युंजय मंत्र की 11 मालाओं से सिद्ध करें। फिर उसे गले मे पहनें। यदि मारकेश भी लगा हो तो भी अकाल मृत्यु से बचा जा सकता है, इसे घर में कोई भी व्यक्ति परेशानी या मारकेश के संकट के समय पहन सकता है। इसे उस व्यक्ति को भी जरूर पहनना चाहिए जिसके चोटें बहुत लगती हों।
धन प्राप्ति के लिए
ल्ल काली व सफेद गुंजा के दाने पूजा में रखकर कनकधारा स्तोत्र का पाठ करें । इसे तीन बार लगातार करना होता है, इन दानों को हमेशा संभाल कर रखें।
ल्ल काली व सफेद गुंजा के दाने पूजा में रखकर 11 मालाएं ' ऊं श्रीं नम:' की जपें।
ल्ल एक और मंत्र देखें
ॐ श्रीं ॐ ह्रीं श्रीं क्लीं श्रीं क्लीं ॐ वित्तेश्वराय नम:।
शिवजी के सम्मुख बैठकर इस मंत्र का जप सवा लाख बार करें और इस मंत्र को रात 11.39 से 12.30 के बीच में प्रारम्भ करके सवा लाख जाप पूरे होने तक करें, जिसमें कई दिन लगेंगे, पर गरीबी मिटाने में इस मंत्र का जवाब नहीं।
ल्ल बेलपत्र या अशोक या आक या बरगद के 11 पत्तों पर सिंदूर और हल्दी मिलाकर उस पर 'पं दं लं' लिखकर बहते जल में प्रवाहित करें। इसे शाम 6.56 से लेकर 8.13 बजे के बीच करें। ल्ल 

=====================================
गुंजा 'रत्ती' सात सौ रुपए किलो, ढूंढ़ रहे व्यापारीUpdated: Tue, 09 Dec 2014 03:01 AM (IST)


0 जिले में अपने आप उगने वाली उपेक्षित सबसे महंगा बीज

विश्वबंधु शर्मा/ सजन बंजारा-जशपुर/कोतबा (निप्र)। जिले में गुंजा जिसे रत्ती भी कहा जाता है, सबसे दुर्लभ वनस्पतियों के नाम के साथ ही सबसे महंगे बीज के रूप में सामने आया है। इस बीज को लेकर पहली बार चौकाने वाले तथ्य सामने आए हैं। इस बीज को व्यापारी सात सौ रुपए किलो तक खरीदने को तैयार हैं और व्यापारी इस बीज को एडवांस में पैसे देकर भी खरीद रहे हैं।

गुंजा जिसे जिले में गूंज के नाम से लोग जानते हैं। नगरीय क्षेत्र के अधिकांश लोग गुंजा के बारे में जानकारी नहीं रखते, लेकिन ग्रामीण क्षेत्रों में गुंजा ग्रामीणों के आय का महत्वपूर्ण हिस्सा बनते जा रहा है। जिले में गुंजा की बिक्री ऊंची कीमतों पर खरीदी जा रही है। गुंजा को मुख्य रूप से तीन प्रजातियों के लिए जाना जाता है, जिसका रंग सफेद, लाल-काला और भूरा रंग से है। सबसे ऊंची कीमत सफेद गुंजा की है, जिसके संकलनकर्ताओं को सात सौ रुपए किलो मिल रहे हैं। गुंजा की तीन प्रजातियां जिले में उपलब्ध हैं, जिसकी अलग-अलग कीमत है। सबसे अधिक कीमत सफेद गुंजा के बीज की है, जिसकी कीमत सात सौ रुपए है। प्रतिस्पर्धा में इसकी कीमत अधिक भी होती है। लाल रंग के गुंज की कीमत 70 रुपए किलो है। तीसरी प्रजाति कुछ काली और भूरे रंग लिए होती है उसकी कीमत तीन सौ रुपए किलो है। स्थानीय व्यापारी विजय ने बताया कि वे 10 साल से खरीदी कर बाहर के व्यापारियों को गुंजा बेच रहे हैं, लेकिन उन्हें नहीं मालूम कि इसका उपयोग क्या है। उन्होंने बताया कि एक बात विचारणीय है कि इसके संकलन और बिक्री करने वाले परंपरागत रूप से ही लगे हैं।

दिसंबर माह में सबसे अधिक व्यवसाय

नवंबर और दिसंबर माह में बीज निकलते हैं और यही समय होता है, जब संकलनकर्ता इस बीज से आय अर्जित करते हैं। बड़े व्यापारियों को जब बीज के कीमत की जानकारी मिल रही है तो कई व्यापारी इस व्यवसाय में खुद को जोड़ने में लगे हैं और स्थिति यह है कि कोतबा, फरसाबहार ब्लाक, पत्थलगांव ब्लाक में व्यापारी ग्रामीणों को एडवांस के रूप में भी पैसे दे रहे हैं, जिससे संग्रहण उनकों मिले। पंड्रीपानी क्षेत्र की स्थिति यह है कि कई किसान अब इसके बीज को लगाने भी लगे हैं। किसान अपने खेतों व आसपास की झाड़ियों के नीचे इसके बीज को लगा रहे हैं। सवाल यह है कि इस बीज का व्यवसाय गुपचुप तरीके से ही क्यों हो रहा है। इस बात को लेकर कई सवाल भी सामने आते हैं, लेकिन कुछ जानकारों का कहना है कि दवाओं के रूप में ही इसका उपयोग होता है, जिसके कारण यह कीमती है। अधिकांश व्यापारियों को इस बात की जानकारी भी नहीं है कि यह कहां जाता है और एक के बाद एक व्यापारियों को यह बीज बेचे जा रहे हैं।

क्या है गुंजा

गुंजा को जिले के पत्थलगांव, फरसाबहार विकासखंड सहित अन्य क्षेत्र में गूंज के नाम से जाना जाता है। मुख्य रूप से इसके क्षेत्रीय व्यापारियों के साथ पत्थलगांव, धरमजयगढ़ व रायगड़ जिले में अधिक व्यापारी हैं। लता जाति की यह वनस्पति है, जिसमें फलियां होती हैं और पकने के बाद फलियां स्वयं फट जाती हैं, जिससे गुंजा का बीज निकलता है और यह बीज काफी कीमती हो रहा है, जिसका कारण इसकी दुर्लभता है। अंग्रेजी नाम कोरल बीड है। हिंदी में इसे गुंजा, चौटली, घुंघची, रत्ती आदि नामों से जाना जाता है। इसके संस्कृत नाम भी कई हैं, जिससे इसकी पौराणिकता भी स्पष्ट होती है। कुछ राज्यों में राज्य की भाषाओं में अलग-अलग नामों से भी यह प्रचलित है। वहीं फारसी में गुंजा को चश्मेखरूस और अरबी में हबसुफेद कहा जाता है। जिले में यह सड़कों के किनारे, निर्गुंडी के पौधों सहित अन्य पौधों और झाड़ियों में लताओं में स्वयं बढ़ता है।

औषधि निर्माण में होता है उपयोग

वनस्पतियों एंव आयर्ुेवेद के जानकार भूपेंद्र थवाईत ने बताया कि आयुर्वेद में गुंजा का विशेष महत्व है और पेट से संबंधित रोगों के लिए इसका प्रयोग किया जाता है। यह क्षेत्र में अत्यंत दुर्लभ वनस्पतियों में है और विशेष क्षेत्र में होने के कारण ही इसकी ऊंची कीमत है। उन्होंने बताया कि इसके जड़ और पत्तों का भी विशेष महत्व होता है और पत्ते और जड़ भी ऊंचे दामों मे बिकते हैं। पत्थलगांव के व्यापारी मो. हनीफ मेमन ने बताया कि छग में इसके उपयोग संबंधी जानकारी नहीं के बराबर है, लेकिन इसकी दिल्ली व महानगरों में अधिक मांग होती है। सबसे अधिक उपयोग गुंजा का हाजमे की दवा बनाने में किया जाता है और आयुर्वेद की दवा बनाने वाली कंपनियां इसे ऊंची कीमतों में खरीदते हैं।
===========================================