30>|| রথের মেলা::-- (61 টি)
|| প্রভুর দর্শন ||
<---আদ্যনাথ--->
রথযাত্রায় দিব্য দর্শন,
যুগের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ।
প্রভু আজ এলেন ঘরের বাহিরে,
হাজার হাজার জনমানবের ভিড়ে।
সুশোভিত রথযাত্রার প্রধান আকর্ষণ,
জগন্নাথ দেবের মনমুগ্ধকর ভূষণ।
যত দেখি প্রাণের প্রভুরে চোখ সরেনা,
আরও কাছে পেতে চাই মন ভরেনা।
প্রভু তিনজনে বসেন সদা হৃদকমলে,
রথযাত্রায় প্রভুর দর্শনে মুগ্ধ সকলে।
মানবের উদ্ধার কল্পে প্রভু সচেতন,
কলিযুগে রথযাত্রায় প্রভুর আকর্ষণ।
জাতিধর্ম নির্বিশেষে দিতে সহজ দর্শন,
প্রভুর অশেষকৃপা রথযাত্রায় নগরভ্রমণ।
<----আদ্যনাথ রায় চৌধুরী---->
--------------------------------------
আজ এক মহান উৎসব রথযাত্রা উৎসব।
এই রথযাত্রা উপলক্ষে সারা পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারত জুড়ে চলে উৎসব এবং মেলা।
কলকাতার ইসকন থেকে শুরু করে মাহেশ, রথতলার মতো একাধিক জায়গায় রথযাত্রাও মেলার জন্য ভক্তদের ভিড় ঢল নামে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের মনেই আনন্দের স্রোত বয়ে চলে।
ওড়িশা পুরী বাদেও পশ্চিমবঙ্গের নানান স্থানে হয় রথযাত্রা উৎসব ও মেলা।
পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে কয়েকটি বিখ্যাত রথযাত্রা। যাতে অংশ নেন হাজার হাজার ভক্ত।
এখানে কলকাতার আশেপাশের কয়েকটি মেলার সংক্ষিপ্ত কিছু লিখলাম।
যেটুকু সংগ্রহ করতে পেরেছি সেই টুকুই লিখলাম।
বিঃদ্রঃ সম্পুর্ন লেখাটি তথ্য সংগৃহিত।
আমি মনেকরি এখানে যেকয়টি রথের মেলার কথা লিখলাম সেগুলি ছাড়া আরও অনেক অনেক রথ বার হয় আজকের দিনে।
কিছু রথের ঠিকানা::---
★(1)-মাহেশ । Mahesh :
পশ্চিমবঙ্গের সবেচেয়ে বিখ্যাত রথযাত্রার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মাহেশের রথযাত্রা। প্রায় ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি ধ্রুবনন্দ ব্রহ্মচারী দ্বারা শুরু হয় এই রথযাত্রা। কথিত আছে, সাধক ধ্রুভানন্দ ব্রহ্মচারী ৬২৭ বছর আগে পুরীতে গিয়ে প্রভু জগন্নাথকে ভোগ নিবেদনের জন্য স্বপ্নাদেশ পান। কিন্তু শ্রীক্ষেত্রে গিয়েও তিনি ভোগ দিতে পারেননি। শোনা যায়, ফিরে এসে তিনি ফের স্বপ্নাদেশ পান, গঙ্গায় ভেসে আসা নিমকাঠ দিয়ে বিগ্রহ তৈরির জন্য। পাশাপাশি মানা হয়, মাহেশের রথের চূড়ায় একটি নীলকণ্ঠ পাখি বসে থাকে। পুরীর রথযাত্রা শুরু হলে সে উড়ে যায়। এরপরেই রথ তার যাত্রা শুরু করে অর্থাৎ চলতে শুরু করে। মানা হয়, এই নীলকণ্ঠ পাখিটি শুধু প্রধান পুরোহিতই দেখতে পান।
প্রায় ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাশি সময় থেকে শুরু হয় মাহেশের রথযাত্রা
আগে কাঠের রথ থাকলেও, ১৩৭ বছর আগে তৈরী করা হয় লোহার রথ। যা তৈরী করে মার্টিন বার্ন কোম্পানী
১২৫ টন ওজনের এই রথ ৫০ ফুট উঁচু এবং এতে রয়েছে ১২টি চাকা। বর্তমানে এই রথের দেখভাল করেন কলকাতা শ্যামবাজারের বসু পরিবার। চারতলা বিশিষ্ট এই রথের একতলায় চৈতন্যলীলা, দ্বিতীয় তলে কৃষ্ণলীলা এবং তৃতীয় তলে রামলীলা চিত্রিত আছে। চার তলায় বসানো হয় বিগ্রহ। যেহেতু, নারায়ণই কলিকালের জগন্নাথ, সেই কারণে নারায়ণ শিলাকেই প্রথমে রথে চড়ানো হয়। তারপর সুভদ্রা, বলরাম এবং সব শেষে রথে তোলা হয় জগন্নাথ দেবকে। প্রতি বছর মাহেশের রথযাত্রায় অংশ নেন এ রাজ্যের ছাড়াও ভিন রাজ্যের বাসিন্দারাও। মাহেশে রথযাত্রা ছাড়াও জগন্নাথ মন্দিরের পাশে স্থানপিঁড়ির মাঠে মেলাতে ভক্ত ও আম জনতার জন্য বড় আকর্ষণ।
★ (2)--মায়াপুর । Mayapur :
মায়াপুরে রথের দিন থেকে উল্টোরথ পর্যন্ত মেলা চলে মেলা চলে।
এক সময়ে মায়াপুর আর রাজাপুর নামের দু’টি গ্রাম ছিল। রাজাপুরের বেশিরভাগই ছিলেন বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মানুষ। কথিত আছে যে, ৫০০ বছর আগে এক পুরোহিত স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। যার পর থেকেই রথযাত্রার সূচনা করা হয় এখানে। তবে মায়াপুরের মন্দির থেকে কিন্তু রথ বের হয়না। বরং রথে চড়ে বলরাম, জগন্নাথ এবং সুভদ্রা আসেন এই মন্দিরে। সেখানে ৮দিন থেকে ৯ দিনের মাথায় রথে চড়েই আবার ফেরত যান রাজাপুর।
৫০০ বছর আগে এক পুরোহিত স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর থেকেই রথযাত্রার সূচনা করা হয় মায়াপুরে।
★-(3)-- ইসকন।-----
কলকাতার ইসকনের রথযাত্রা পুরীর রথযাত্রার পর হয়ে উঠেছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা। ১৯৭২ সালে ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য, কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি অভয় চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে রমরমা করে পালন করা হয় এখানে রথযাত্রা। চলতি বছর ইসকনের রথযাত্রা ৫২ বছরে পড়ল।
এবারের রথযাত্রায় ইসকন বিশ্বব্যাপী ১৭০টিরও বেশি দেশে এবং ৮০০টিরও বেশি শহর ও জনপদে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।
এবার ভক্তরা নিজেদের বাড়িতে রান্না করা নিরামিষ ভোগ জগন্নাথদেবকে নিবেদন করতে পারবেন। সরাসরি পূজারিরা রথেই তা পুজো করে ফেরত দেবেন ভক্তদের।
★.(4)- শ্যামবাজার থেকে ডানলপ বি. টি. রোডের উপর চিড়িয়া মোড়ে রাস্তার দুইদিকে মেলা হয়। শুদু রথের দিন এই মেলা বসে।
★.(5) ব্যারাকপুরে ষষ্ঠীতলাতে সাত দিন ধরে রথের মেলা হয়।
★.★(6)--রথতলা, কমারহাটি বেলঘরিয়া::–--
কলকাতায় ২০০ বছর ধরে ধুমধাম করে রথযাত্রা পালন করা হয় কামারহাটির রথতলায়।
৩৩ ফুট উচ্চতার রথে চেপে এদিন রথতলা থেকে মাসির বাড়ি যাবেন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা। রথযাত্রার পাশাপাশি রথতলা বিখ্যাত রথের মেলার জন্যও।
শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বেলঘরিয়ার রথ তলার মতিলাল সেন ঠাকুরবাড়ির রথ দর্শনে এসেছিলেন।
বেলঘড়িয়াতে বি টি রোডের উপর রথতলার মোড়ে কেবলমাত্র রথের দিন মেলা হয়। রাস্তার দুইপাশে মেলা বসে।
★ (7)- বেলঘড়িয়ার 234 বাস স্ট্যান্ডের কাছে দেওয়ান পাড়ার মাঠে একটা নতুন মেলা গত বছর থেকে শুরু হয়েছে। চলবে 10 দিন। এছাড়াও বেলঘরিয়া দেশপ্রিয় নগরে একটি রথের মেলা হয় ইদানিং হচ্ছে।
★.(8)-বেলঘড়িয়া স্টেশনের কাছে সাতের পল্লিতে ISCON এর মেলা হয় 7 দিন ধরে। রোজ ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
★.(9)-- সোদপুরে পঞ্চাচরণতলায় মেলা চলে রথের দিন থেকে উল্টোরথ পর্যন্ত।
★.(10)-- বিরাটির মহাজাতি নগরে বড় করে রথের মেলা হয়। চলে প্রায় এক মাস। মহাজাতি নগর বিরাটী স্টেশন এবং বিরাটী মোড়ের মাঝামাঝি জায়গায়।
★.(11)-- বারাসাতের সরজিনী পল্লী ( হেলাবরতলা) তে একটি ভালো রথ এর মেলার আয়োজন হয় রথ থেকে উল্টোরথ মেলা থাকে।
★.(12)-- বারাসাতের ডাকবাঙলো এর কাছে রথতলায় মেলা বসে। এটি
হৃদয়পুরের মেলা হিসাবেই সকলে জানে।
এটি একটি বড় মেলা 7 দিন চলে।
★ (13)--. নাগেরবাজার মোড় থেকে ডায়মন্ড সিটি পর্যন্ত যশোর রোডের দুইপাশে মেলা বসে। কেবলমাত্র রথের দিন মেলা হয়।
★.(14) এয়ারপোর্ট 1নম্বর এর কাছেও একটা রথ এর মেলা হয় যেটা দমদম গোড়াবাজার থেকে সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ি(মিলন সংঘ ক্লাব এর কাছে) অব্দি আসে, মেলা রথ থেকে উল্টারথ অব্দি থাকে।
★.(15) শিয়ালদহ এ মৌলালীর কাছে 1 মাস ধরে মেলা হয়। গত বছর হয় নি। এ বছরে হবে কিনা ঠিক নেই। (সম্ভবত যানজটের কারণে মেলাটি বন্ধ হয়ে গেছে)
★.(16)-- সল্টলেক করুনাময়ী 15দিন ধরে মেলা হয়। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই বছর ১৩ ই জুলাই থেকে রথের মেলা শুরু হচ্ছে।
★.(17)-- কসবাতে রথতলা মিনিবাস স্ট্যান্ডের কাছএ 15 দিন ধরে রথের মেলা হয়।
★.(18)-- রুবির কাছে ও 1 মাস ধরে মেলা হয়।
★. (19)--মুকুন্দপুরে 15 দিন ধরে মেলা হয়।
★.(20)-- দুর্গানগর স্পোর্টিং ক্লাব এর মাঠ এ একটা বড় রথ এর মেলা। বন
★.(21)-- হুগলী জেলার শ্রীরামপুর এর কাছে বিখ্যাত মাহেশের রথ। অতি প্রাচীন এই রথ। এখনে রথ উপলক্ষে এক মাস ব্যাপি রথের মেলা চলে।
★ (22)--হুগলির দশঘড়ার রথ:::---
এখানে শুরুতে তিনটি রথ ছিল।
উড়িষ্যার কর্নপুরের দেবকিশোর রাজবংশের উত্তরসূরি সদানন্দ দ্বাদশ শতকে এই রথের সূচনা করেন।একাধিক বার এই রথ আগুনে পুড়ে যায়। রথ ঘিরে অনেক মামলা মোকদ্দমাও হয়েছে।
পরবর্তীকালে জনৈক বিশ্বাস পরিবারের উদ্যোগে এই প্রাচীন রথ কিছুটা হলেও কৌলীন্য ফিরে পায়।
★. (23)--- দক্ষিণ কলকাতায় ঢাকুরিয়া ব্রীজের কাছে রথের দিন এবং উল্টো রথের দিন মেলা হয়।
★. (24)---আগে রাসবিহারী মোড়ে যে মেলা হতো সেটা যানবাহনের অসুবিধার জন্য সরানো হয়েছে। এখন হয় চেতলাতে মেলা বসে। চেতলা ব্রিজ এর নিচে আদি গঙ্গার ধারে চলে এসেছে । মেলা চলে 15 ধরে।
★.(25)-- গড়িয়াতে 6 বাস স্ট্যান্ড থেকে নাকতলা পর্যন্ত মেলা বসে। এখন নাকতলা গীতাঞ্জলি মেট্রার সামনে বড় করে রথের মেলা বসে। রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা কেও সাজান হয়। আগে এক মাস ধরে এই হোত। এখন শুধু রথের দিন ও উল্টো রথের দিন মেলা হয় । বহু বছরের পুরনো এই মেলা। মূলত গাছ বিক্রি হলেও অন্যান্য জিনিসও পাওয়া যায়।
★.(26)--- হুগলী জেলায় গুপ্তিপাড়া স্টেশনের কাছে রথের মেলা বিখ্যাত। হাওড়া থেকে কাটোয়াগামী ট্রেনে চেপে যাওয়া যায়। লোকাল ট্রেনে যেতে সময় লাগে 1 ঘন্টা 40 মিনিটের মত সময় লাগে। মেলা 7 দিন ধরে চলে।
★ (27)-গুপ্তিপাড়া::-----
পশ্চিমবঙ্গের আরেক প্রাচীন ও খ্যাত নাম রথযাত্রা হলো গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা। ১৭৪০ সালে মধুসূদানন্দ দ্বারা সূচনা হয় গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা। এখানকার রথযাত্রার রয়েছে এক আলাদা বৈশিষ্ট্য। প্রথমত, গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রায় রথের উচ্চতা হয় ৩৬ ফুট। এমনকি আগে গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবনচন্দ্র মন্দির থেকে ১২ চাকার রথে চেপে যাত্রা করতেন জগন্নাথ দেব। তবে ১৮৭৩ সালে এক দুর্ঘটনার পরে কমিয়ে দেওয়া হয় রথের চাকার সংখ্যা। এছাড়াও গুপ্তিপাড়ার রথ যাত্রায় ৪০ কুইন্টাল খাবার লুঠ করারপ্রথা আছে।
★.(28)--- খিদিরপুর মোড়ে রথের মেলা । 70 বছর বেশী সময় ধরে এই মেলা হয়ে আসছে। মেলা বলে মূলত উপর মেইন রাস্তার দুইধারে । খিদিরপুর মিশ্র ধর্মের মানুষের এলাকা বলেই সব শ্রেণীর মানুষই এই মেলায় অংশ নেন ।
★. (29)-- নৈহাটি তে এক সপ্তাহ ধরে মেলা থাকে। এই রথের মেলার নাম
বঙ্কিমেই রথ। নৈহাটির কাঠালপাড়ার
রথও সেই রাধারানী উপন্যাসের মতোই প্রাচীন।কারণ এই রথ শুরু করেছিলেন সাহিত্যসম্রাটের দাদা ।তিনি এই রথটি
তৈরি করে মা দুর্গাসুন্দরীর নামে উৎসর্গ কিরেছিলেন।
রাধাবল্লভ-এর পুজো হয়। এক সপ্তাহে শ্রীকৃষ্ণের প্রতিটি খণ্ডের কাহিনী মূর্তির মাধ্যমে সাজানো হয়। রাধাবল্লভ মন্দির ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের পারিবারিক মন্দির। 1862 সালে বঙ্কিমচন্দ্রের বড় দাদা শ্যামাচরণ চট্টোপাধ্যায় এই রথযাত্রা শুরু করেছিলেন। মেলা উপলক্ষে তাঁর আবাস গৃহ টিও খোলা থাকে। নৈহাটী স্টেশন এর ঠিক আগে- ডান দিকে পড়বে এই মেলাটি। স্টেশন এ নেমে পুব দিকে এসে যে কোনো লোক কে জিজ্ঞেস করলে দেখিয়ে দেবে।
★. (30)---তারাপীঠে একমাত্র রথের দিন বিকেলবেলা "তারা মা" রথে চেপে তারাপীঠ প্রদক্ষিণ করেন। বাতাসা বৃষ্টির দিয়ে এর সূচনা হয়। এই উপলক্ষে মেলা বসে।
★.(31)--- চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জের যাদবেন্দ্রনাথ ঘোষ ছিলেন চাল ব্যবসায়ী।
স্বপ্নাদেশ পেয়ে ১৭৭৪সালে রথযাত্রার সূচনা করেন তিনি।
গঞ্জবাজারের রথ হয় এবং মেলা হয় সোজারথ থেকে উল্টারথ পর্যন্ত। খুব ঐতিহ্যবাহী মন্দির ও রথযাত্রা আর ওখানকার মানুষজন ও খুব ভালো।
লক্ষ্মীগঞ্জ থেকে বেরিয়ে তালডাঙায় মাসির বাড়ি গিয়ে পৌঁছয় রথ।
★.(32)-- দুর্গাপুরে চিত্রালয় মেলার মাঠে রথের মেলা হয়। এছাড়াও দুর্গাপুরে ISKON একটা মেলা হয়।
★.(33)---- দক্ষিন ২৪ পরগনার রাজপুরের কাছে হরিনাভীতে বেশ বড় করে একটা মেলা হয়। এটা অনেক পুরানো মেলা। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন থেকে দক্ষিন দিকে 10 মিনিট গেলে এই মেলাটি উড়বে। মেলা চলে রথের দিন থেকে উল্টোরথ পর্যন্ত।
★.(34)-- দক্ষিন ২৪ পরগনার বারুইপুরে চৌধুরি জমিদার বাড়িতে রথযাত্রা উৎসব হয় । এই উপলক্ষে মেলা হয়। মেলা চলে রথের দিন থেকে উল্টোরথ পর্যন্ত।
★. (35) হাওড়া জেলায় আন্দুলে একটা বড় রথের মেলা হয়। আগে 15 দিন ধরে চললেও এখন 10 দিন মেলা চলে।
★. (36)--কলকাতার পার্ক স্ট্রীট ময়দানে ISKCON রথটি রথের দিন থেকে উল্টো রথ পর্যন্ত রাখা থাকে। সেই উপলক্ষে ISKCON দ্বারা একটা মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এখানে প্রতিদিন ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
★. (37)--গঙ্গাসাগরে কাটাখালের কাছে রথের মেলা হয়। 7 দিন ধরে চলে।
★. (38))উত্তর চব্বিশ পরগনার সোদপুরে এক মাস ধরে মেলা বসে। জায়গাটা বঙ্কিম পল্লী খেলার মাঠ নাটাগর সোদপুর
★.(39)-- কলকাতায় 57 ওয়ার্ডে( Dhapa Mothpukur ) রথের মেলা হয়।
★.(40) -- মধ্যামগ্রামে কালিবাড়ীর পাশে রথের মেলা বসে।
★. (41)---বর্ধমানে কাঞ্চননগর এ রথ্তলা জায়গাটির নাম ই হয়েছে বিখ্যাত রথের মেলার জন্য। বর্ধমানের রাজবাড়ী টি আগে ছিল এই কাঞ্চননগর এলাকায়। সেই আমল থেকেই এই রথ যাত্রা ও রথের মেলা হয় এ আসছে। প্রায় যাবত হয় মেলাটি আগে এক মাস 5 এখন 7 দিন চলে। বর্ধমান স্টেশন থেকে কাঞ্চননগর টোটোতে যেতে 15 -20 মিনিট লাগে।
★.(42)-- এছাড়াও বর্ধমানে লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দিরেও রথের মেলা হয়।
★.(43)-- পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মহিষাদলে রাজবাড়ির কাছে অতি প্রাচীন রথের মেলা হয়। গত এখানকার রথটিও বিশাল বড়। 1776 সালে এই উৎসব এবং মেলা রানী জানকি দেবী শুরু করেন। মেলা চলে প্রায় 15 দিন।
★.(44)--- ত্রিবেণী তে রথের মেলা হয়। একটা হয় চন্দ্রহাটী গঙ্গার ধারে ডি কে হাইস্কুলের সামনে। আর একটা মনসা তলায় বাঁশবেড়িয়াতে পৌরসভার কাছেও একটা মেলা হয়। এইসব মেলা হয় সাতদিন ধরে।
★. (45)---ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে রথ উপলক্ষে মেলা বসে। 10-15 দিনের বেশি এই মেলা চলে। এছাড়াও ঠাকুরপুকুর ছাড়িয়ে বিদ্যানগর, বিবিরহাট, রায়পুরের দিকে গেলে বা ওদিকে ডায়মন্ডহারবারের দিকে যাওয়া গেলেও রাস্তার ধারে ধারে রথ উপলক্ষে বহু বহু পুরনো মেলার চল আছে।
★. (46)-----ভদ্রেশ্বরে গৌরহাটিতে রথে এবং উল্টো রথে মেলা হয়।
★.(47)--- কল্যানীতে রথতলাতে 10 দিন ধরে রথের মেলা হয়।
★.(48)-- হুগলী জেলার রাজবলহাটে বেশ বড় করে রথের মেলা হয়। এটিও একটি প্রাচীন রথ উৎসব।
★.(49)-- হাওড়ার বেলগাছিয়াতে রথের দিন এবং উল্টোরথের দিন মেলা বসে।
★. (50)--হাওড়া জেলার মৌরীগ্রামে বড় করে রথের মেলা হয়।
★. (51)--পশ্চিম মেদিনীপুর শহরে রথের দিন থেকে উল্টোরথ পর্যন্ত মেলা চলে ।
★.(52)-- টালীগঞ্জের কবরডাঙ্গাতে ( বেহালা ঠাকুরপুকুর এর কাছে) অনেক বছর ধরে রথের সময় মেলা বসে। চলে প্রায় 15 দিন।
★. (53)---বামনঘাটা বাসন্তী রোডের উপর তাড়দা রথের মেলা হয় এছাড়া ভোজেরহাটেও একটা রথের মেলা হয়
★. (54)--বর্ধমানের অণ্ডালের কাছে উখরা তে প্রাচীন সময় থেকে রথ যাত্রা এবং এই উপলক্ষে বেশ বড় মেলা হয় এখানে ।
★.(55)--- বড়িশা শখের বাজারে পূজা কমিটি সামান্য দক্ষিনার বিনিময়ে সুন্দর ভোগ প্রদান করেন সাধারনের মধ্যে । এই উপলক্ষে মেলা বসে।
★.(56)--- শ্যামনগরে অহপুর ঘোষ বাড়ির মাঠে রথের মেলা হয়।
★. (57)--হাওড়া জেলার জ়গদীশপুরে বড় করে রথের মেলা বসে। হাওড়া বা ধর্মতলা থেকে জাঙ্গীপাড়া বা চন্ডীতলা গামী বাসে করে এই জগদীশপুর যাওয়া যায়। E13/1, 57 এবং 57A নম্বরের বাস যায়। ধর্মতলা থেকে Baluhati - Esplanade (রুট নং –৩০) মিনিবাস যায়। এছাড়া শিয়ালদহ থেকে লোকাল ট্রেনে ডানকুনি ওখান থেকে ম্যাজিক গাড়িতে জগদীশপুর যাওয়া যায়।
★-(58)--- ডানকুনির গরলগাছার রথ::--
এই রথের সূচনা করেন সেখানকার মুখোপাধ্যায় পরিবার । মুখার্জি বাড়ির দুর্গাপুজো যেমন বিখ্যাত ,তেমনি রথযাত্রা উৎসব হয় মহা ধুমধামের সঙ্গে।
★ (59)----আমাদপুর::----
বর্ধমান জেলার মেমারি অঞ্চলের ছোট্ট গ্রাম আমোদপুর বা আমাদপুর। গ্রাম ছোট্ট হলেও, এই গ্রামে রথযাত্রা পালন করা হয় ধুমধাম করে। এই গ্রামের রথযাত্রায় অংশ নিতে ভিড় করেন অগুনতি ভক্তরা। গ্রামের জমিদার পরিবারের দেবতা হলেন রাধামাধব। সেই রাধামাধবকে নিয়েই হয় রথযাত্রা। এদিন তাঁর পুজো করা হয় গ্রামেরই এক প্রাচীন মন্দিরে। রথযাত্রার দিন সকালে প্রথমে রাধামাধবকে মা দুর্গার মন্দির বা দুর্গাবাড়িতে এবং পরে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়।
★ (60)--রাজবলহাট::--
হুগলির রাজবলহাট খুবই বিখ্যাত জায়গা। এই জায়গা তাঁত কাপড়ের জন্য পরিচিত হলেও, রথযাত্রার জন্যও বিখ্যাত রাজবলহাট। আমাদপুরের মতোই এখানেও রথে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা থাকেন না। এই রথে থাকেন এলাকার বিখ্যাত মন্দিরের পূজ্য দেবতা রাধাকৃষ্ণ ও
গৌর-নিতাই। ১২চাকার এই রথটি দড়ির বদলে লোহার শিকল দিয়ে টানা হয়।
★ (61)---মহিষা দল,পূর্ব মেদিনীপুরের রথ::--
রাজত্ব না থাকলেও রাজপরিবারের ভূমিকাই প্রধান।
মহিষাদলে কুলদেবতাকে নিয়ে মাসির বাড়ি চললেন জগন্নাথ।
শ্রী ভগবতীচরণ প্রধান ১৮৯৭ সালে তাঁর ‘মহিষাদল রাজবংশ’ বইতে উল্লেখ করেন–“মহিষাদলের রথ বঙ্গের একটি প্রধান দৃশ্য। ইহার উৎসব উপলক্ষ্যে নানা স্থানের ব্যবসায়ীগণ স্ব স্ব পণ্যদ্রব্য আনয়ন করে। সপ্তাহকাল ব্যাপিয়া নরস্রোত জলস্রোতের ন্যায় যেন কেন্দ্রাভিমুখে ধাবিত হইতে থাকে। রাজপথ মস্তকময় হইয়া উঠে। উৎসবভূমি যেন একটি সঞ্চরমান মস্তকময় ক্ষেত্ররূপে প্রতীয়মান হয়।”
বাংলার শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মহিষাদলের রথযাত্রা প্রায় 215 বছর ধরে চলা এই রথযাত্রা বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম গর্ব। বলা হয় পুরী, মাহেশের পরেই মহিষাদলের রথ তার ব্যাপকতায় ও বৈচিত্র্যে অনন্যতা দাবি করে।
মহিষাদলের রথযাত্রা মহিষাদল রাজপরিবারের অবদান। আজও রাজপরিবারের ভূমিকাই প্রধান।
পুরীর রথযাত্রার অনুকরণে আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়াতে যে রথযাত্রার সূচনা হল তা ছিল কাঠের সতেরো(১৭) চূড়ার রথ। তখনকার দিনে তৈরি করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৬০০০ সিক্কা টাকা। রথটি বর্গাকার হয়ে কৌণিক ভাবে উঠে গেছে। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৩২ ফুট। দ্বিতীয় তলের দৈর্ঘ ও প্রস্থ ২৫ ফুট। তৃতীয়তল ২০ ফুট, চতুর্থ তল ১৫ ফুট। পঞ্চম তলের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ হল ১০ ফুট। চৌত্রিশটি কাঠের চাকা একলাইনে নেই যাতে দু-চারটি চাকা খারাপ হলেও রথ চলাচলে কোন ব্যাঘাত না ঘটে। চাকাগুলো উচ্চতায় চার ফুট আর বেড় বারো ফুট। চারখণ্ড কাঠ দিয়ে একএকটা চাকা তৈরি।
সমস্ত রথে মোট বাহান্নটি খুঁটি আছে যার মধ্যে চারটে মোটা খুঁটি রথকে ধরে রাখে। চারটে খুঁটির মাঝে আছে ওপরে ওঠার সিঁড়ি। রথের প্রত্যেক তলের চারিদিকে হেঁটে চলাফেরাও করা যায়।
এখন যে রথটি মহিষাদলের রথতলা থেকে গুণ্ডিচাবাড়ি যায় তার উচ্চতা এক থাকলেও চূড়ার সংখ্যা কমে তেরো হয়েছে। কথিত আছে 1860 সালে রাজা লছমনপ্রসাদ গর্গের জনৈক ফরাসী বন্ধু মঁসিয়ে পেরু রথ দেখতে আসেন এবং তখনই তিনি রথের প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য একটি নকশা করেন। নকশায় যোগ হয় চারিদিকের ঝুলবারান্দা ও চারকোণের চারটি ঋষি মূর্তি। চূড়ার সংখ্যা কমে হয় তেরো।
রাজা সতীপ্রসাদ গর্গ দুটো সাদা ঘোড়া রথের আগে যোগ করেন। মহিষাদল রাজাদের অন্যান্য স্হাপত্যের মতো রথটির কাঠের কাজ মনোমুগ্ধকর। রথের কোণে কোণে লতাপাতার নকশার বদলে হাতি, ঘোড়া, বাঘ, সিংহ প্রভৃতি জানোয়ারের উপর বর্শা হাতে সৈন্য বা নর্তকীদের মিছিল দেখা যায়।
তারাপদ সাঁতরার মতো গবেষক এগুলিকে ‘মৃত্যুলতা ভাস্কর্য’ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী এই রথযাত্রা
সত্যিই অভিনবত্বের দাবি রাখে।
রানি জানকী স্বপ্নাদেশে গোপাল জিউকে এক মাঠের মাঝখান থেকে উদ্ধার করেন।
এই গোপাল জিউই রাজবংশের আরাধ্য
দেবতা।
আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়াতে রথে আরোহণ করেন রাজবংশের আরাধ্য দেবতা গোপাল জিউ। সঙ্গে থাকেন কেবলমাত্র জগন্নাথদেব। ঠিক আগের দিন রাজবংশের আরাধ্য শালগ্রাম শিলা ‘শ্রীধর জিউ’কে রথে এনে ‘রথের চক্ষুদান’ উৎসব হয় যা ‘নেত্র উৎসব’ হিসেবে বহুল জনপ্রিয়।
আটাশ থেকে তিরিশ কিলোগ্রাম ওজনের এক একটি পিতলের কলস ও দশ থেকে বারো কেজি ওজনের এক একটি চক্র রথের চূড়ায় লাগানো হয়। রথের দিন শোভাযাত্রা করে জগন্নাথ দেব, গোপাল জিউ ও শ্রীধর জিউকে নিয়ে এসে রথের ওপরে বসানো হয়। পুরীর রথে টান পড়লেই রাজবাড়ির কেউ পালকি করে এসে রথের রশিতে টান দেন।
অসংখ্য ভক্তের প্রবল হর্ষধ্বনির মধ্যে রথ এগিয়ে চলে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের গুণ্ডিচায় মাসির বাড়ির দিকে।
এই উৎসব চলে প্রায় পনের দিন।
এ রথের মেলা বিখ্যাত প্রচুর ফল যেমন
আম-কাঁঠাল, এবং মাদুর, চারাগাছের জন্য বিক্রয়ের জন্য । কয়েকদিন ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়।
কয়েকশ লরি বোঝাই করে আসতো কাঁঠাল । দোকানে দোকানে বড়, ছোট, পাকা, খাজা কাঁঠালের সে স্তূপ দেখার মতো।
চলতো কাঁঠাল মুড়ির বনভোজন,
কলেজ-স্কুল প্রাঙ্গনে।
মেলার প্রধান আকর্ষণ মৃৎশিল্প, নাগরদোলা, সার্কাস।
এই রথের মেলায় ব্রিটিশ সরকারের
অত্যাচারের কাহিনী জানলে শিউরে উঠতে হবে::----
( "রথমেলার পূর্ব হতে মদ, তাড়ি ও বিদেশী বস্ত্রের দোকানে পিকেটিং হচ্ছিল। রথমেলায় জোর পিকেটিং চলতে লাগল। পুলিশ স্বেচ্ছাসেবকদের ধরে নিয়ে গিয়ে থানায় ভীষণ ভাবে প্রহার করে ছেড়ে দিতে লাগল। রথের দিন মদ দোকানে গোয়ালবেড়্যা গ্রামনিবাসী শ্রী ফণীন্দ্রনাথ পাঞ্জা পিকেটিং করতে থাকে। তাকে পুলিশ ধরতে এলে সে রাস্তার উপর শুয়ে পড়ে। পুলিশ তার দু’পা ধরে পাকা রাস্তার উপর দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যায়। সর্বশরীর রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ে। সমস্ত মানুষ ক্ষেপে ওঠে। মেলাতে প্রায় পাঁচশ স্বেচ্ছাসেবক ও সেবিকা উপস্থিত হয়। স্বেচ্ছাসেবক এবং স্বেচ্ছাসেবিকারা জাতীয় পতাকা হাতে প্রচার করতে লাগলেন। এই সব দেখে বর্বর পুলিশ তাদের উপর যে অত্যাচার চালায়, তা বর্ণনাতীত।”
পুলিশের অত্যাচারের বর্ণনা প্রচার করার সময় পুলিশ সুতাহাটা থানার শ্রীমতী সুবোধবালা কুইতিকে গ্রেফতার করে। এর প্রতিবাদে সবাই বিদ্রোহ করে বলতে থাকে রথের ওপর জাতীয় পতাকা না ওড়ালে রথ টানা হবে না। প্রায় দু’শ হাত যাওয়ার পর সবাই রথের রশি ছেড়ে দিল। রথ দাঁড়িয়ে পড়ল। মানুষ রথে জাতীয় পতাকা ওড়ানোর ব্যাপারে এককাট্টা। রাজপরিবার, পুলিশের কোনও অনুরোধেই কাজ হল না। এদিকে ব্রিটিশ সরকারের বিরোধিতা করার সাহস গর্গ পরিবারের ছিল না। বেগতিক বুঝে রাজার গড়ে আরেকটি যে ছোট রথ ছিল সেটি নিয়ে এসে বিগ্রহ বড় রথ থেকে নামিয়ে সেই রথে স্হাপন করে জগন্নাথদেবকে গুণ্ডিচাবাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। আটদিন পর ফের সেই ছোট রথে করেই জগন্নাথদেব রাজবাড়িতে প্রত্যাবর্তন করেন। বড় রথ পড়েই থাকে একইভাবে। বর্ষা শেষ হলে প্রায় একহাজার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে মাথাপ্রতি এক টাকা করে দিয়ে রথকে তার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হয়।
এখন মেদিনীপুর জেলার বহু স্হানে স্হানীয় ভাবে রথের মেলার প্রচলন হয়েছে তবুও মহিষাদলের এই রথযাত্রার আবেদন, গরিমা এবং ঐতিহ্য আজও অমলিন। সম্প্রতি রথটির আমূল সংস্কার হয়েছে। যদিও মেলার ধরন একটু হলেও পাল্টে গেছে, আগেকার মত এত দোকানপাট আর বসে না। আশা করা যায় সাধারণ মানুষের শুভকামনা ও আন্তরিক অংশগ্রহণে এই প্রাচীন রথযাত্রা বাংলার সংস্কৃতিকে আরও সম্পৃক্ত করবে। এগিয়ে যাবে বছরের পর বছর।" )
=======================