Sunday, June 25, 2023

28>|| বিশাল বুদ্ধমূর্তি ||

     28>  || বিশাল বুদ্ধমূর্তি ||

                 

বুদ্ধমূর্তি::--‘লেশান জায়ান্ট বুদ্ধমূর্তি'।


৭১ মিটার (২৩২ ফুট ১১.276 ইঞ্চি)

উচ্চতার এই উপবিষ্ট বুদ্ধমূর্তিটি। পায়ের পাতার বিস্তার ৯ মিটার

  যাতে একশো জন মানুষ অনায়াসে বসতে পারেন। তাঁর ২৪ মিটার চওড়া কাঁধটি একটি বাস্কেটবল কোর্টের সমান আকারের। এমনকি মূর্তির পায়ের কড়ে আঙুলের নখেও এক জন মানুষ বসতে পারেন অনায়াসে। 

বুদ্ধমূর্তির ১০ মিটার চওড়া মাথায় নির্মিত কোঁকড়ানো চুলের স্থাপত্যে নিপুণ ভাবে তৈরি করা হয়েছিল ১০২১টি ঝুঁটি বা খোঁপা।

বুদ্ধমূর্তির কানগুলি প্রতিটি প্রায় সাত মিটার লম্বা। তবে এই কানগুলি কিন্তু নির্মিত কাঠ দিয়ে, ওপরে মাটির আবরণ। সেই প্রাচীন সময়ে কাঠের তৈরি এই কানগুলি কী ভাবে পাথরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল, সেই কারিগরি কৌশল বিস্ময়কর। তবে সব থেকে বিস্ময়কর, মূর্তিতে বৃষ্টি ইত্যাদিতে জমে যাওয়া জল নির্গমনের জন্য মূর্তির ভিতরে নিষ্ক্রমণ-নালি বা পথ তৈরির ভাবনা এবং তৈরির কারিগরি কৌশলটি। 


যাকে বলাহয় ‘লেশান জায়ান্ট বুদ্ধদেব'।

এটি আছে চিনের সিচুয়ান প্রদেশে।

মিনজিয়াং, দাদু এবং কুইনজ এই তিন নদীর সঙ্গম স্থলে।

চিনের তিন নদীর সঙ্গমস্থলে বুদ্ধদেবের  এই প্রস্তর-স্থাপত্যটি হাজার বছরের বেশি প্রাচীন।


সওয়া সহস্র বৎসরেরও বেশি সময়ের প্রাচীন এই বিশাল বুদ্ধ মূর্তি তিনটি নদীর সঙ্গমস্থলের এক পাহাড়ের গায়ে পাথর কেটে তৈরি ।'লেশান জায়ান্ট বুদ্ধ’ যেটি

১৯৯৬ সালে পেয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’-এর তকমা। এই অনন্য স্থাপত্যকর্মটি হয়ে উঠেছে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ পর্যটনকেন্দ্র। প্রতি বৎসর পঁচিশ লক্ষেরও বেশি মানুষ আসেন এটি দেখতে।

বুদ্ধমূর্তিটির নাম ‘লেশান জায়ান্ট বুদ্ধ’। 


এটি  প্রাচীনতম এবং বুদ্ধের দীর্ঘতম ও বৃহত্তম প্রস্তর-স্থাপত্য। অবস্থান চিনের সিচুয়ান প্রদেশের লেশান শহরের পূর্ব দিকে। সংলগ্ন পাহাড়টি মাউন্ট লিংগিয়ান। এই পাহাড়ের লাল বেলেপাথর সরাসরি কেটে খোদিত ৭১ মিটার উচ্চতার এই উপবিষ্ট বুদ্ধমূর্তিটি। 


অনিন্দ্য শিল্পবোধ আর চমৎকার কারিগরি কুশলতায় তা নির্মিত হয়েছিল হাজার হাজার শ্রমিকের পরিশ্রমে। 


এই বুদ্ধ মূর্তি-র অনন্যতা যেমন নিখুঁত শিল্পসৌষ্ঠবে, তেমনই তার আকারের বিশালত্বেও। জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণ করা হয়েছিল রীতিমতো বিজ্ঞানসম্মত ভাবে এবং সামনে থেকে যাতে নজরে না আসে সেই আড়ালটি বজায় রেখে।


‘লেশান জায়ান্ট বুদ্ধ’ নিয়ে স্থানীয় মানুষেরা বলেন, ‘পাহাড়টিই বুদ্ধ আর বুদ্ধই একটি পাহাড়’। এ নিয়ে প্রচলিত আছে অনেক অলৌকিক বিশ্বাস। ওই অঞ্চলের মানুষেরা মনে করেন, স্থানীয় বিভিন্ন আনন্দ বা দুঃখের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ফুটে ওঠে বুদ্ধমূর্তির মুখে। দুঃখে তাঁর চক্ষু হয় নিমীলিত, আর সুখের ঘটনায় মুখে ফুটে ওঠে আনন্দের অভিব্যক্তি। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও বায়ুদূষণের প্রভাবে এমনটা মনে হতে পারে, আবার কাজ করতে পারে স্থানীয়দের আবেগ ও কল্পনাপ্রসূত বিভ্রম। আবার বুদ্ধমূর্তির মাথার পিছনে কখনও কখনও দেখা যায় জ্যোতির্বলয় বা ‘হেলো’। বিজ্ঞানীদের মত, এটি মেঘের জলকণায় সূর্যালোক প্রতিফলনের ফল।

=========================




No comments:

Post a Comment